রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের নভেম্বরে সারাদেশে ৫৪১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৭ জন নিহত ও ৬৭২ জন আহত হয়েছেন।
বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২০৭ জন (৩৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ) মোটরসাইকেল আরোহী; আটজন (১ দশমিক ৭১ শতাংশ) বাস যাত্রী ছিলেন; ২০ জন (৪ দশমিক ২৮ শতাংশ) ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপের আরোহী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৭ জন মারা গেছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
এরমধ্যে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, জিপের ১৩ জন (২ দশমিক ৭৮ শতাংশ), সিএনজি, ইজিবাইক ও অটোরিকশার মতো তিন চাকার গাড়ির ১০৬ জন (২২ দশমিক ৬৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি নসিমন-করিমনের ১৪ জন (২ দশমিক ৯৯ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা ও রিকশাভ্যানের ১৯ জন (৪ দশমিক ০৬ শতাংশ) আরোহী ছিলেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জাতীয় মহাসড়কে ১৮৭টি (৩৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ), আঞ্চলিক সড়কে ২৩২টি (৪২ দশমিক ৮৮ শতাংশ), গ্রামীণ সড়কে ৮১টি (১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ), শহুরে সড়কে ৩৩টি (৬ দশমিক ০৯ শতাংশ) এবং অন্যান্য স্থানে ৮টি (১ দশমিক ৪৭ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বরে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা বিভাগে ১৩৮টি দুর্ঘটনায় ১১৯ জন নিহত হয়েছে।
সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন সংখ্যক দুর্ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। মাত্র ২১টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে মোট ১৬ জনের।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় ২৬টি দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছেন।
বেপরোয়া গাড়ি চালানো, মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন, চালকদের জন্য নির্ধারিত বেতন ও কর্মঘণ্টা না থাকা, অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সীমিত সক্ষমতা এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির প্রকোপসহ দেশের সড়কে হতাহতের সংখ্যা বেশি হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী- অক্টোবর মাসে সারাদেশে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৩৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন