নাগরিক-কেন্দ্রিক কনস্যুলার কার্যক্রমের ব্যাপারে কাজ চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ - ভারত।
সোমবার রাজধানী ঢাকায় তৃতীয় ভারত-বাংলাদেশ কনস্যুলার ডায়লগে দেশ দুটি এই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সেক্রেটারি (সিপিভি এবং ওআইএ) ড. আউসফ সাঈদ এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ও রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কনস্যুলার, ভিসা এবং পারস্পরিক আইনি সহায়তা সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা ও উন্নতি সাধনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালে এই কনস্যুলার ডায়লগ কার্যক্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কনস্যুলার ইস্যুতে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য দুই পক্ষই কার্যপ্রণালী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। এর মধ্যে একে অপরের আটক করা নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চূড়ান্তকরণ এবং আটক জেলেদের দ্রুত মুক্তির প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। পর্যটক, শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়িক ভিসা সম্পর্কিত রিভাইজড ট্রাভেল অ্যারেঞ্জমেন্টস (২০১৮) এর অধীনে থাকা নীতিমালার আরও নিবিড় বাস্তবায়নের সঙ্গে ভিসা পদ্ধতি এবং প্রবেশ ও প্রস্থানের নিয়মাবলীকে আরও উদারপন্থী করার মাধ্যমে ভ্রমণকে আরও সহজ করে তোলার বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত ছিল। সন্ত্রাসবাদ, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধ এবং পারস্পরিক আইনি সহায়তা বৃদ্ধিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাকে দুই পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অনন্য বন্ধুত্ব এবং বিশেষ বন্ধনের কথা বিবেচনা করে, বিশেষত দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার এই ৫০তম বার্ষিকীতে, তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সহজতর আদান-প্রদানের মাধ্যমে জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। পরবর্তী কনস্যুলার ডায়লগ নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে: শ্রীংলা
ভারত-বাংলাদেশের ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ ভাষাপ্রেমীদের মিলন মেলা