ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খেয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি। রবিবার দুপুর সোয়া ১২টায় উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা নিহত দুই শিশুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আকিব হোসেন বলেন, ‘যে সিরাপটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। একই ওষুধের অন্যান্য ব্যাচের ওষুধ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
রবিবার আশুগঞ্জের দুর্গাপুরের দুই নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তারা নিহত দুই শিশুর মা লিমা বেগম, চাচা উজ্জ্বল মিয়া ও দাদি লিলুফা বেগমের সাক্ষ্য নেন।
আরও পড়ুন: নাপা সিরাপ খেয়ে ২ শিশুর মৃত্যু: আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ডা. আকিব হোসেন বলেন, ‘শিশুদের স্বজনরা জানিয়েছে ওষুধ খাওয়ানোর পরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওষুধটিতে সন্দেহজনক উপাদান শনাক্ত করতে হইতো সময় লাগবে।’
এ সময় কমিটির অন্য সদস্য অধিদপ্তরের দুজন উপপরিচালক, দুজন সহকারী পরিচালক ও একজন পরিদর্শক তার সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে গত ১০ মার্চ রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।
নিহতরা দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ইসমাঈল হোসেন ওরফে সুজন খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ সহোদরের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
পরিবারের সদস্যরা জানায়, দুদিন ধরে ছোট ছেলে মোরসালিনের জ্বর উঠে। এর আগ থেকেই বড় ছেলে ইয়াসিন খানেরও জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের মা লিমা বেগম তাদের দাদিকে দিয়ে মাঈন উদ্দিনের ওষুধের দোকান ‘মা ফার্মেসি’ থেকে নাপা সিরাপ আনান। এ সময় তাদের দুজনকেই নাপা সিরাপ খাওয়ানো হলে কিছুক্ষণ পর দুই শিশুই বমি করা শুরু করে।
অবস্থার অবনতি হলে তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসা জন্য জেলা সদর হাসাপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাত ৯টায় বড় ভাই ইয়াসিনের মৃত্যু হয় এবং রাত সাড়ে ১০টায় ছোট ভাই মোরসালিনের মৃত্যু হয়েছে।