আশুগঞ্জ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে মোহাম্মদ নামে দেড় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নাওঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ ওই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, শিশু মোহাম্মদ কয়েকদিন আগে তার মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। শিশুটি পরিবারের লোকজনের অজান্তে বাড়ির পাশের একটি পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।
ওসি আরও জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুটির লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পানিতে ডুবে ভাই ও বোনের মৃত্যু
মাগুরায় ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
১১ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে চাচাতো ২ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুরের পুকুরে এই ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- যাত্রাপুর বোট বাড়ির আব্দুস সালাম মিয়ার ছেলে সবুজ (৭) ও সালাম মিয়ার আপন ছোটভাই রুবেলের ছেলে সূর্য (৯)।
সবুজ ও সূর্য আপন চাচাতো ভাই। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সবুজ ও সূর্য দুজনেই সাতার জানত না। বিকালে পরিবারের সবার অগোচরে ২ ভাই গোসল করতে বাড়ির পাশের পুকুরে যায়। সেখানেই যে কোনভাবে তারা পানিতে ডুবে মারা যায়।
তারা আরও জানান, বিকালে সবুজের লাশ ভাসমান অবস্থায় পুকুরে দেখে এলাকাবাসী সবুজের লাশ উদ্ধার করে। পরে সূর্যকে খুঁজে না পাওয়ায় এলাকাবাসী পুকুরে তল্লাশি চালান। এ সময় সূর্যকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেসহ দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
১ বছর আগে
আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হচ্ছে অক্টোবরে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,৭অক্টোবর (ইউএনবি)-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লি. এর ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শেষে কমিশনিং কাজ চলছে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ কমিশনিং শেষ হবে। এরপরই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো.আবদুল মজিদ জানান, বর্তমানে প্রকল্পটির বাস্তব অগ্রগতি ৯৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ । নির্মাণ কাজ শেষে কমিশনিং কাজ চলছে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ কমিশনিং শেষ হবে। এবং এরপরই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার পরই বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হবে।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান জানান,দেশের প্রথম অর্থ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রকল্পটি চালু হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ যেমন বাড়বে তেমনি জ্বালানি দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে।
জানা যায়, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ২০০৩ সালের পহেলা জুন আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন যাত্রা শুরু করে কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১১ সালে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন নিজস্ব অর্থায়নে ৫৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় চালান মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে বিদ্যমান জ্বালানি ব্যবহার করে কম জ্বালানি দক্ষতা সম্পন্ন ইউনিটগুলোকে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ২০১৫ সালে ২০০ মেগাওয়াট মডিউলার পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (সাউথ) এবং ২০১৭ সালে আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (নর্থ) দুইটি স্থাপন হয় এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র দু’টি জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পুরাতন অবসরপ্রাপ্ত ইউনিটসমূহের (জিটি-এক, জিটি-দুই ও এসটি লে এসটি ইউনিট-তিন এর গ্যাস ব্যবহার করে উচ্চ ক্ষমতা ও জ্বালানি দক্ষতা সম্পন্ন আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (পূর্ব) প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
প্রকল্পটি ২২শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে একনেকে এর অনুমোদন লাভ করে। প্রকল্পটি এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, এপিএসসিএল এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
গত ২০ মার্চ ২০১৮ সালে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান চীনা ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট করপোরেশন এবং চীনা ন্যাশনাল করপোরেশন ফর ওভারসিস্ ইকনমিক কোঅপারেশন এর সঙ্গে প্রকল্পটির ইপিসি চুক্তি সাক্ষরিত হয় এবং ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই চুক্তিটি কার্যকর হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ইপিসি চুক্তি মূল্য প্রায় এক হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নেট উৎপাদন ক্ষমতা ৪২০.০০ মেগাওয়াট এবং জ্বালানি দক্ষতা প্রায় ৫৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অন্যান্য অনুসাঙ্গিক ব্যয় (পরামর্শক, সিডি ভ্যাট, ট্যাক্স) সহ মোট ব্যয় হবে প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটির অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ২ লাখ ৯৩১ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা।
গত ১ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী এর ডি-রেটেড উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট।
আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (পূর্ব) প্রকল্পটি উৎপাদনে গেলে এপিএসসিএল-এর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে প্রায় ১৭০০ মেগাওয়াট। এপিএসসিএল ডিপ্যান্ডেবল ও রিলেয়্যাবল বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পাসি হিসেবে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রকল্পটি গত জুন ২০২১ হতে উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও বিশ্বজুড়ে করোনা সক্রমণের কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে এক বছর পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে জেনারেটরের কারিগরি ত্রুটি এবং গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির ফলে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
‘মোংলা বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ স্থাপনে চুক্তি সাক্ষর রবিবার
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌপথ খনন ও টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি
অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌ-করিডোরের সক্ষমতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন এবং একে টেকসই খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আইউব আলী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বঙ্গ ড্রেজার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. আইনুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নৌপথের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমাতে দেশের নৌপথের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
আরও পড়ুন: জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া লঞ্চের টিকিট পাওয়া যাবে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে থমকে দেয়া হয়েছিল। পঁচাত্তর পরবর্তী সরকার দেশের নৌপথসহ কোনো পথেই উন্নয়ন করেনি, এরপর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের নৌপথ পুনরায় উদ্ধার ও উন্নয়নে হাত দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ যেই দুটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে তার কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের নৌপথের যে অগ্রগতি হবে তাতে দেশের নৌপথ ব্যবহারকারী পণ্যবাহী যান ও যাত্রীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
চুক্তিপত্র অনুযায়ী ১৩টি নৌরুটের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ খনন কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠান এবং ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠান। এজন্য ব্যয় হবে ৪৩০ কোটি টাকা।
প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন, ছয়টি স্থানে নৌযানসমূহের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, তিনটি ফেরি ক্রসিং এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং, চারটি প্যাসেঞ্জার ও দুটি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন, ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং দুটি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরের আশুগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে মূল নদী ও শাখাসমূহ (প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ) পারফরম্যান্স বেইজড কন্ট্রাক্ট ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ এবং নাব্যতা সংরক্ষণ করা হবে। এ নৌ-করিডোর মধ্যে ছয়টি স্থানে নৌযানসমূহের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত স্থানসমূহ হচ্ছে- ষাটনল, চরভৈরবী, চাঁদপুর, মেহেন্দীগঞ্জ, সন্দ্বীপ এবং নলচিরা; উক্ত নৌরুটের তিনটি ফেরি ক্রসিং (চাঁদপুর-শরিয়তপুর, লক্ষীপুর-ভোলা এবং ভেদুরিয়া-লাহারহাট) এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং; চারটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন (ঢাকা শ্মশানঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর এবং বরিশাল) এবং দুটি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন (পানগাঁও ও আশুগঞ্জ); নৌকরিডোরটির বিভিন্ন স্থানে (ভৈরব বাজার, আলু বাজার, হরিণা, হিজলা, মজুচৌধুরী, ইলিশা (ভোলা), ভেদুরিয়া, লাহারহাট, বদ্দারহাট, দৌলতখাঁ, চেয়ারম্যানঘাট (চর বাটা), সন্দ্বীপ, তজুমদ্দিন, মনপুরা এবং তমুরুদ্দিন) ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং দুটি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এই সরকারের সময়ে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
আশুগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পৃথক ঘটনায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলমগর ও যাত্রাপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতদের একজন সিলেটের জগন্নাথপুরের কাইয়ুম (৫৫)। নিহত অপর যুবকের (২৫) নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সালাউদ্দিন খান নোমান জানান, সকালে যাত্রাপুর এলাকায় রেললাইন পার হতে গিয়ে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতি ট্রেনে কাটা পড়ে ২৫ বছরের এক অজ্ঞাত যুবক নিহত হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আলমনগর এলাকায় একইভাবে ট্রেনে কাটা পড়ে কাইয়ুম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
নিহতদের লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
রেললাইনে গেম খেলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
২ বছর আগে
নাপা সিরাপে নয়, মায়ের পরকীয়ার জেরে সেই দুই শিশুর মৃত্যু
নাপা সিরাপ সেবনে নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সেই দুই শিশুকে পরকীয়ার জেরে মিষ্টির সাথে বিষ খাইয়ে তাদের মা লিমা বেগমই হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় লিমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরা) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহত দুই শিশুর বাবা ইসমাঈল হোসেন বাদী হয়ে লিমা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক সফিউল্লার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে আটক লিমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, লিমা আশুগঞ্জের একটি চালকলে কাজ করেন। তার স্বামী কাজ করেন ইটভাটায়। চালকলে কাজ করার সুবাদে আরেক শ্রমিক সফিউল্লার সাথে লিমার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেয়।
পড়ুন: আশুগঞ্জে ‘নাপা সিরাপ’ খেয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
তিনি জানান, পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিষ্টির সাথে বিষ মিশিয়ে দুই শিশু ইয়াছিন ও মোরসালিনকে খাইয়ে হত্যা করে মা লিমা বেগম। মৃত্যুর ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাহিত করার জন্য নাপা সিরাপের রিঅ্যাকশন হয়েছে বলে প্রচার করে। কিন্তু লিমার আচরণে প্রথমেই পুলিশের সন্দেহ হয়। অধিকতর জিজ্ঞাসায় তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় লিমার প্রেমিক সফিউল্লাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চললে।
এর আগে গত ১০ মার্চ আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের দুই ছেলে ইয়াছিন ও মোরসালিন নাপা সিরাপ খেয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।
পড়ুন: নাপা সিরাপের মান ঠিক আছে: ঔষধ প্রশাসন
নাপা সিরাপ খেয়ে ২ শিশুর মৃত্যু: আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
২ বছর আগে
নাপা সিরাপ খেয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যু: পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠালো ঔষধ প্রশাসন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খেয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি। রবিবার দুপুর সোয়া ১২টায় উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা নিহত দুই শিশুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আকিব হোসেন বলেন, ‘যে সিরাপটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। একই ওষুধের অন্যান্য ব্যাচের ওষুধ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
রবিবার আশুগঞ্জের দুর্গাপুরের দুই নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তারা নিহত দুই শিশুর মা লিমা বেগম, চাচা উজ্জ্বল মিয়া ও দাদি লিলুফা বেগমের সাক্ষ্য নেন।
আরও পড়ুন: নাপা সিরাপ খেয়ে ২ শিশুর মৃত্যু: আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ডা. আকিব হোসেন বলেন, ‘শিশুদের স্বজনরা জানিয়েছে ওষুধ খাওয়ানোর পরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওষুধটিতে সন্দেহজনক উপাদান শনাক্ত করতে হইতো সময় লাগবে।’
এ সময় কমিটির অন্য সদস্য অধিদপ্তরের দুজন উপপরিচালক, দুজন সহকারী পরিচালক ও একজন পরিদর্শক তার সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে গত ১০ মার্চ রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।
নিহতরা দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ইসমাঈল হোসেন ওরফে সুজন খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ সহোদরের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
পরিবারের সদস্যরা জানায়, দুদিন ধরে ছোট ছেলে মোরসালিনের জ্বর উঠে। এর আগ থেকেই বড় ছেলে ইয়াসিন খানেরও জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের মা লিমা বেগম তাদের দাদিকে দিয়ে মাঈন উদ্দিনের ওষুধের দোকান ‘মা ফার্মেসি’ থেকে নাপা সিরাপ আনান। এ সময় তাদের দুজনকেই নাপা সিরাপ খাওয়ানো হলে কিছুক্ষণ পর দুই শিশুই বমি করা শুরু করে।
অবস্থার অবনতি হলে তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসা জন্য জেলা সদর হাসাপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাত ৯টায় বড় ভাই ইয়াসিনের মৃত্যু হয় এবং রাত সাড়ে ১০টায় ছোট ভাই মোরসালিনের মৃত্যু হয়েছে।
২ বছর আগে
নাপা সিরাপ খেয়ে ২ শিশুর মৃত্যু: আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সাইন্টিফিক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জ্বরের সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তে আমরা কমিটি করে দিয়েছি। ইতোমধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ যা যা ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন সেই সব ব্যবস্থা নিয়েছে। ওষুধ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এ বিষয়ে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: আশুগঞ্জে ‘নাপা সিরাপ’ খেয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
এর আগে গত ১০ মার্চ রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।
নিহতরা দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ইসমাঈল হোসেন ওরফে সুজন খানের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, দুদিন ধরে ছোট ছেলে মোরসালিনের জ্বর উঠে। এর আগ থেকেই বড় ছেলে ইয়াসিন খানেরও জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের মা লিমা বেগম তাদের দাদিকে দিয়ে মাঈন উদ্দিনের ওষুধের দোকান ‘মা ফার্মেসি’ থেকে নাপা সিরাপ আনান। এ সময় তাদের দুজনকেই নাপা সিরাপ খাওয়ানো হলে কিছুক্ষণ পর দুই শিশুই বমি করা শুরু করে।
আরও পড়ুন: ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ সহোদরের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
অবস্থার অবনতি হলে তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসা জন্য জেলা সদর হাসাপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাত ৯টায় বড় ভাই ইয়াসিনের মৃত্যু হয় এবং রাত সাড়ে ১০টায় ছোট ভাই মোরসালিনের মৃত্যু হয়েছে।
২ বছর আগে
আশুগঞ্জে ‘নাপা সিরাপ’ খেয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খেয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু ইয়াসিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) দূর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক সুজন খানের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত দুই দিন যাবত ছোট ছেলে মোরসালিনের জ্বর উঠে। এর আগে থেকেই বড় ছেলে ইয়াসিন খানেরও জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুদের মা লিমা বেগম তাদের দাদিকে দিয়ে মাঈন উদ্দিনের ঔষধের দোকান ‘মা ফার্মেসী’ থেকে নাপা সিরাপ আনান। এ সময় তাদের দুজনকেই নাপা সিরাপ খাওয়ানো হলে কিছুক্ষণ পরই দুই শিশুই বমি করা শুরু করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বসতঘরে আগুন লেগে গৃহবধূর মৃত্যু
অবস্থার অবনতি হলে তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসা জন্য জেলা সদর হাসাপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাত ৯টায় বড় ভাই ইয়াসিনের মৃত্যু হয় এবং রাত সাড়ে ১০টায় ছোট ভাই মোরসালিনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই ঔষধের দোকান ‘মা ফার্মেসী’ মালিক মাঈন উদ্দিন পলাতক রয়েছে। সিরাপটির মোড়কে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত ১টায় শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঔষধের সিরাপটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উলিপুরে গণপিটুনীতে ‘গরু চোরে’র মৃত্যু
২ বছর আগে
আশুগঞ্জে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে জুবায়ের (৬) নামে এক শিশু নিহত ও তার বাবা-মাসহ আরও তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার আশুগঞ্জ বাজারের আলাই মোল্লা ভবনের নিচতলায় মকবুল হোসেন মাস্টারের বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ মকবুল মিয়া, তার স্ত্রী রেখা ও বড় ছেলে জয়কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে মকবুল হোসেন মাস্টারের বাসায় বিকট শব্দ হয়। তাৎক্ষণিক তার বাসা থেকে প্রথমে ধোঁয়া বের হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মকবুল হোসেন, তার স্ত্রী রেখা, তার বড় ছেলে জয় ও ছোট ছেলে জুবায়ের রুমের মধ্যে আটকা পড়ে। পরে এলাকাবাসী, পুলিশ, আশুগঞ্জ ও সরাইল ফায়ার সার্ভিসের লোকজন উদ্ধার কাজে এগিয়ে এসে এক ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: নীলক্ষেতে বইয়ের মার্কেটে আগুন
এসময় মকবুল হোসেন, রেখা ও জয়কে উদ্ধার করতে পারলেও ভেতরে আটকা পড়ে জুবায়ের। ভেতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় জুবায়ের।
আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ভবনের ভেতর থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলাবাগানে রেস্তোরাঁয় গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ৬
২ বছর আগে