ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, ডাউন লাইন দিয়ে চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ এলাকায় ঢাকাগামী মালবাহী কন্টেইনার ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকামুখী আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ছোটহরণ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হলেও ক্রসিংয়ের কারণে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়েছে। এতে দুভোর্গের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
মালবাহী ট্রেনটিতে কর্মরত পরিচালক ইমতিয়াজ রহমান জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মালবাহী একটি কন্টেইনার ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন অতিক্রম করে কিছুদূর যাওয়ার পর বড়হরণ এলাকায় একটি বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকামুখী আপলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বিকল্প ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটি উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী ট্রেন আখাউড়া থেকে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। উদ্ধার শেষে আপ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় ট্রেন আটকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
১ মাস আগে
বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌর এলাকায় এ আদেশ কার্যকর থাকবে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবুল মুনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা। সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু একই স্থানে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন বিরোধী অপর পক্ষ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: রাবিতে দুই বিভাগের ফুটবল খেলায় ‘স্লেজিং’: সংঘর্ষে আহত ১০
এরই মধ্যে সোমবার উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে সম্মেলন বিরোধীপক্ষ সাবেক সাংসদ ও বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল খালেক ও রফিক শিকদারের সমর্থকদের সঙ্গে অপরপক্ষ কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয় এবং বেশ কিছু দোকানপাট ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এক পক্ষ সম্মেলন করার বিষয়ে ও অন্য পক্ষ প্রতিহতের বিষয়ে অনড় থাকে। এ অবস্থায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
গত ২৩ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর, কসবা, আখাউড়া উপজেলা ও পৌর এবং সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এই ৪ উপজেলায়ই বিএনপির একাধিক পক্ষ রয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই এ আদেশ কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।
এই সময় উল্লিখিত স্থানের মধ্যে কোথাও কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করা যাবে না। এছাড়া জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি, র্যাব ও পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
১ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যালয়ে হঠাৎ অসুস্থ ১০ শিক্ষার্থী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ১০ স্কুলশিক্ষার্থী অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে সাতজনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাইতলা জগেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীরা হলো- সারিকা আক্তার, আশা মনি, চাঁদনী আক্তার, আফরিন আক্তার, ইসরাত জাহান, আশা মনি, সানজিদা আক্তার।
অভিভাবকরা জানায়, দুপুরে ক্লাস চলাকালীন প্রথমে একজন শিক্ষার্থী শ্বাসকষ্ট অনুভব করে। পরে একে একে ১০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিকালে পরিবারের লোকজন তাদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অভিভাবকদের কেউ কেউ এটিকে জরায়ু ক্যান্সারের টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বলে অভিযোগ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. অনিক দেব বলেন, ‘এটি টিকার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নয়। কারণ টিকা দেওয়া হয়েছে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। আমি এটিকে পেনিক অ্যাটাক বলে মনে করছি।’
তিনি আরও জানান, এর সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই, ২ থেকে ১ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা সুস্থ হয়ে যাবে।
১ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিষপানে ২ শিশুসহ মায়ের ‘আত্মহত্যা’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশু সন্তানসহ এক নারী বিষপান করে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে কী কারণে তারা মৃত্যুবরণ করেছেন তা জানা যায়নি।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা সরকার বাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঘাটুরা সরকার বাড়ি এলাকার শারমিন আক্তার এবং তার দুই মেয়ে রওজা ও নওরিন।
আরও পড়ুন: সিলেট কারাগারে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে হাজতির আত্মহত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন মিতুল বলেন, ‘বিষ খাওয়া অবস্থায় এক নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। কিছু সময় পর দুই শিশুকে আনা হয়, তাদের পরীক্ষা করে মৃত পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পর মাও মারা যান।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত কর্মচারীরা জানান, স্ত্রী ও দুই শিশুকে নিয়ে আশরাফ নামের এক ব্যক্তি হাসপাতালে আসেন। তিনি জানান, স্ত্রী তার দুই শিশুকে বিষপান করিয়ে নিজে বিষপান করেন।
তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা নিহতের স্বজনরা বলতে পারেননি বলে জানান জরুরি বিভাগে দায়িত্বরতরা। তিনজনের মৃত্যুর খবর শুনে স্বামীসহ তার স্বজনরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে এসেছি। তারা বিষপান করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
১ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে ২ জেলের মৃত্যু
মাছ ধরা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে দিশু দাস (৫৯) ও রবীন্দ্র দাস (৩৭) নামে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে এমসি কলেজের শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দিশু ধরনি দাসের ছেলে ও রবীন্দ্র গৌরাঙ্গ দাসের ছেলে। এরা দুইজনই সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নে বাসিন্দা।
মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলামিনুল হক পাভেল বলেন, দিশু ও রবীন্দ্র তিতাস নদীতে মাছ ধরতে যান। এসময় বৃষ্টি
হচ্ছিল। মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পৃথক বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু
২ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘ছানামুখী’ পেল জিআই পণ্যের স্বীকৃতি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুস্বাদু মিষ্টি ছানামুখী ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই ছানামুখীর সুনাম রয়েছে সারা দেশে।
এছাড়া কোনো একটি পণ্য চেনার জন্য জিআই স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দেয় ডিপিডিটি।
জেলা প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ছানামুখী জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
একটি দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেটিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিল্পকলায় মিষ্টি মেলা: বাহারি মিষ্টির স্বাদ-গন্ধে মাতোয়ারা রাজধানীবাসী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম বলেন, ছানামুখী জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকারিভাবে ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। জেলার ব্র্যান্ডবুকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২৪ সেপ্টেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) ছানামুখী জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে নিশ্চিত করে। ডিপিডিটিতে ছানামুখী ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নম্বর ৪১।
২৪ সেপ্টেম্বর ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসানের সই করা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো জিআই সনদে উল্লেখ রয়েছে, ভৌগোলিক নির্দেশক (যার নমুনা এতদসঙ্গে সংযুক্ত আছে) নিবন্ধন বইয়ে জেলা প্রশাসকের নামে ২৯ ও ৩০ শ্রেণিতে জিআই-৭৫ নম্বরে ছানামুখী মিষ্টি পণ্যের জন্য চলতি বছরের ৮ এপ্রিল থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তৎকালীন জেলা প্রশাসক (১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত) মো. শাহগীর আলম প্রথমে ও পরে সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান গত ২ এপ্রিল ছানামুখীকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) খাবার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ডিপিডিটির রেজিস্ট্রারের কাছে ১০ পৃষ্ঠার একটি আবেদন পাঠান।
সেখানে ছানামুখী মিষ্টান্নের বৈশিষ্ট্য, ভৌগোলিক নাম, ছানামুখীর বর্ণনা, উৎপাদনের প্রদ্ধতিসহ নানা বিষয় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, জেলা তথ্য বাতায়নে পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে উল্লেখ আছে এই ছানামুখীর নাম। ছানামুখীর উৎপত্তি ব্রিটিশ রাজত্বকালে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। এক কেজি ছানামুখী তৈরিতে গাভির ৭ থেকে ৮ লিটার দুধ লাগে। প্রতি কেজি ছানামুখীর দাম ৭০০ টাকা।
মাতৃভাণ্ডারের দুলাল চন্দ্র পাল বলেন, ৭ থেকে ৮ লিটার দুধের সঙ্গে ১ কেজি চিনি দিয়ে তৈরি হয় ১ কেজি ছানামুখী। প্রথমে গাভির দুধ জ্বাল দিয়ে এরপর ঠান্ডা করে ছানায় পরিণত করতে হবে। পরে ওই ছানাকে কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে সব পানি ঝরে যায়। এভাবে দীর্ঘক্ষণ ঝুলিয়ে রাখলে ছানা শক্ত হবে। শক্ত ছানাকে ছুরি দিয়ে ছোট ছোট করে কাটতে হবে। এরপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তাতে পানি, চিনি ও এলাচি দিয়ে ফুটিয়ে সিরা তৈরি করতে হবে। এরপর ছানার টুকরাগুলো চিনির সিরায় ছেড়ে নাড়তে হবে। সবশেষে চিনির সিরা থেকে ছানার টুকরাগুলো তুলে একটি বড় পাত্রে রাখতে হবে। পাত্রকে খোলা জায়গা বা পাখার নিচে রেখে নেড়ে শুকাতে হবে। এতেই প্রস্তুত হয়ে যাবে ছানামুখী।
আরও পড়ুন: লালবাগে মিষ্টির দোকানে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
ঈদের দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
২ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন থেকে পড়ে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মো. ওয়ালিউল্লাহ নিবির (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
নিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল এলাকার আমান মিয়ার ছেলে এবং শহরের ইউনাইটেড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেনের দরজায় বসে ছিলেন নিবির। ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে প্রবেশ করলে প্লাটফর্মের দেয়ালে ধাক্কা লেগে নিবির দরজা থেকে ছিটকে ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত বিশ্বাস বলেন, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু
২ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তাইয়ান আহমেদ ফাহাদ (৩০) নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুইজন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে রাধিকা-নবীনগর সড়কের ব্রাহ্মণহাতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাহাদ জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পৌর এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
আহতরা হলেন- ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব লিটন সরকার (৩০) ও সদর ইউনিয়নের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান (৪০)।
হাসপাতাল ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির সভায় অংশ নেওয়ার জন্য দুই ছাত্রদল নেতাসহ চারজন দুইটি মোটরসাইকেল করে কসবায় আসছিলেন। ব্রাহ্মণহাতা এলাকায় পৌঁছলে একটি বেপরোয়া অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাইয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও ট্রলারডুবিতে নিহত ১২, নিখোঁজ ৫ শতাধিক জেলে
৩ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় অস্ত্র জব্দ, ৪ যুবক গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় অস্ত্র জব্দসহ চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পুনিয়াউট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে পালানোর সময় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ গ্রেপ্তার ৫
গ্রেপ্তার চার যুবক হলেন- রিপন মিয়া (২২), মোহাম্মদ আমির হোসেন (২০), মোহাম্মদ হৃদয় (১৮) ও আকাশ মিয়া (১৮)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় একটি মোবাইল ফোন ও কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার চার যুবককে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মোজাফফর।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিমসহ ৩ জন গ্রেপ্তার
৩ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও মেয়ে নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক্টরের পেছনে ধাক্কা লেগে প্রাইভেটকারে থাকা মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বেতবাড়িয়া নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে জুলাইয়ে ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, আহত ৩৬
নিহতরা হলেন, জেলার সরাইল উপজেলার তেলিকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ ইব্রাহীম মিয়ার স্ত্রী ফয়েজ বানু (৪৫) ও তার মেয়ে ফেরদৌসী (২০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাইভেটকারটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বেতবাড়িয়া এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে দাঁড়িয়ে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি বহনকারী ট্রাক্টরকে পেছন থকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এই ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা মা-মেয়ে নিহত হয়।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সারোয়ার হোসেন বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। ট্রাক্টরটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের শ্রমিক নিহত
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক নিহত
৩ মাস আগে