ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘দগ্ধ আরও দুইজন হাসপাতালে মারা গেছেন।’
তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি। এর আগে, শনিবার রাত পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন মো. দেলোয়ার (৪৮), মো. নিজাম ওরফে মিজান (৪০), নাদিম (৪০), জুয়েল (৭), মো. জামাল (৪০), সাব্বির (১৮), জুবায়ের (১৮), হুমায়ুন কবীর (৭০), কুদ্দুস বেপারী (৭০), মো. ইব্রাহিম (৪২), মোস্তফা কামাল (৩৪), রিফাত (১৮), জুনায়েত (২৮), মো. রাসেদ (৩০), মাইনুদ্দিন (১২), জয়নাল (৫০), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), নয়ন (২৭), রাসেল (৩৪) এবং বাহাউদ্দিন (৫৫)।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শনিবার সন্ধ্যায় ১৬ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানিয়েছেন ডা. সামন্ত।
তিনি জানান, মসজিদে সাতটি এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণের পরে আহত ৩৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন,’ বলেন তিনি।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এশার নামাজের সময় মসজিদের সবগুলো এসি বিস্ফোরিত হয়ে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বায়তুস সালাম মসজিদে মসল্লিরা নামাজ শেষ করার পরপরই এ ঘটনা ঘটে। একটি এসি বিস্ফোরিত হয়ে মসজিদের ভেতরে আগুন লেগে যায়। পরে, বাকি আরও ছয় এসির বিস্ফোরণ ঘটে।