তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ’ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণ ঘটনায় আপনার কোনো প্রতিক্রিয়া শোনা যায়নি তাহলে কিভাবে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন; সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা এসপি-ডিসিদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করছি। থানা ও ডিস্ট্রিক্ট লেভেলে আমাদের যে অফিসাররা রয়েছেন তারা সরাসরি নির্যাতিতদের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন, তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করছেন। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছি। তাদের অনেক চিঠিপত্র আমরা দিচ্ছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সাংবাদিক সম্মেলনে দেখলেন না কিংবা পত্রিকায় একটা স্টেটমেন্ট দিলাম না সেজন্য মন্ত্রণালয় বসে আছে সেটা ঠিক না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের অনেক উদ্যোগ আছে। আমাদের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সার্ভিস আছে, আর ন্যাশনাল লেভেলে ১০৯ নম্বরটি কাজ করছে। এর বাইরে আমরা যখনই নারী নির্যাতনের ঘটনা শুনি, তখন আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করি। মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম শুধু মন্ত্রণালয়ে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অফিসাররা তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করে।
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কিন্তু খুবই তৎপর। গত কয়েক সপ্তাহে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছে। নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তবে এই নির্যাতনগুলো বন্ধ করতে হলে প্রথম থেকে পরিবার থেকে সচেতন থাকতে হবে। এখানে অ্যাওয়ারনেস গুরুত্বপূর্ণ। সবার এখানে সজাগ থাকতে হবে, সচেতন থাকতে হবে যাতে নির্যাতনকারী রেহাই না পায়,’ বলেন তিনি।