নাসা গ্রুপের মালিক নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে বাণিজ্যভিত্তিক ৩০ লাখ ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি সূত্র জানায়, মজুমদারের মালিকানাধীন নাসা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ফিরোজা গার্মেন্টস লিমিটেড ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের কাছ থেকে ১৩০টি লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বা বিক্রয় চুক্তি গ্রহণ করে। এসব চুক্তির আওতায় পোশাকগুলো যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হলেও তহবিল প্রত্যাবাসন না করেই বাংলাদেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে বলে সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংক থেকে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাইল জীবন বীমা
তদন্ত চলাকালীন আরও অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি জানতে পারে যে, মজুমদার তার মেয়ে আনিকা ইসলামের নামে ফিলিমোর গার্ডেন এবং ব্রান্সউইক গার্ডেনে বাড়ি লন্ডনে বিলাসবহুল সম্পত্তি কিনেছেন।
সিআইডির মিডিয়া উইংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, নজরুল ইসলাম মজুমদার শুল্কমুক্ত বন্ড সুবিধার আওতায় কাঁচামাল আমদানি করে দেশের বাজারে পণ্য বিক্রি করে শত শত কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন।
অধিকতর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নাসা গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত চারটি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ পেয়েছেন মজুমদার। সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে জড়িত আন্ডার-ইনভয়েসিং এবং ওভার-ইনভয়েসিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই তহবিলগুলো বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। এসব আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে পৃথক তদন্ত করছে ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরও পড়ুন: কামাল নাসের, নজরুল ইসলাম মজুমদার ও মেসবাহ উদ্দিন গ্রেপ্তার