নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসী লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সুধীজনের সঙ্গে এক ‘আন্তরিক সন্ধ্যায়’ মিলিত হন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিল, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ কম্যুনিটির বিভিন্ন অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী তার বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা ও গভীরতা উল্লেখপূর্বক বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে সকলকে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে তিনি সেগুলোর চর্চা অব্যাহত রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার মধ্যে প্রসারের মাধ্যমে ‘সাংস্কৃতিক কূটনীতি’ জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপট উল্লেখপূর্বক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে তার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রবাসীদের সেবার মান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
মতবিনিময়কালে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। তিনি তাদের বিভিন্ন মন্তব্য ও প্রশ্নের জবাব দেন এবং স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিরাজমান কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন। নতুন দায়িত্বভার গ্রহন করায় তিনি উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: টোকিওতে এফইসি-বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনার অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও সংস্কৃতির মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উপদেষ্টার দায়িত্ব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর মতো একজন যোগ্য ব্যক্তিকে অর্পণ করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিলও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন।
কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা তার স্বাগত বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্পকে বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মনোমুগ্ধকর আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে। সকলের অংশগ্রহণে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ব্রিটিশ মন্ত্রীর অভিনন্দন