নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- পবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক সন্তোষ কুমার বসু, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও ইউজিসি চেয়ারম্যান।
২৭ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালীর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন ইসরাত জাহান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবির বাদশা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাদী (ভুক্তভোগী) ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেন এবং বিজ্ঞ আদালত সমন নোটিশ ইস্যু করেছেন।’
এ বিষয়ে পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক সন্তোষ কুমার বসু বলেন, ‘মামলা হয়েছে কি না বলতে পারব না, এখনো কোনো কাগজপত্র পাইনি।’
আরও পড়ুন: পবিপ্রবিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ৪
ভিসি অধ্যাপক স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘শুনেছি মামলা হয়েছে, তবে এখনো কোনো কাগজ পাইনি। মামলা হলে অবশ্যই অফিশিয়ালি ফেস (মোকাবিলা) করব।’
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর সেকশন অফিসার পদে একজন ও ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর তিনজনসহ অন্যান্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তর।
সেকশন অফিসার পদের জন্য ঢাকার বাসিন্দা ইসরাত জাহান অনি (মামলার বাদী) আবেদন করেন। ফলে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর বাদীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ঢাকা হলে তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সাক্ষাৎকার দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক–কর্মকর্তা পদে বাছাইয়ের জন্য একাধিক কমিটি গঠন করে। যা বিধিবহির্ভূত বলে বিবরণে উল্লেখ করা হয়।
বিবরণে আরও বলা হয়, সেকশন অফিসারসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম ও টাকা লেনদেনের গুঞ্জন রয়েছে। এ প্রক্রিয়ার কারণে মামলার বাদী ইসরাত জাহান অনি উপযুক্ত প্রার্থী হয়েও নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন। এজাহারে সেকশন অফিসারসহ অন্যান্য পদের নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে আবারও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী