নির্বাচন সংস্কার কমিশনের (ইআরসি) প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে যেসব অনিয়ম হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আমরা গত তিনটি নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট অপরাধ পর্যালোচনা করছি, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়মের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ থাকবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে বিইআরসির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
মতবিনিময়ের ফলাফল সম্পর্কে ড. মজুমদার বলেন, সাংবাদিকরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, সংসদের সংরক্ষিত আসনের পালাক্রমে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা, সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা বিদ্যমান ৫০টি আসনের পরিবর্তে ১০০-তে উন্নীত করা, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করাসহ বেশ কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা সাংবাদিকদের বলেন, কেন তারা এত খারাপ ও ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজন করেছেন এবং কারা নির্দেশ দিয়েছে তা জানতে তিনি সংস্কার কমিশনকে বিগত তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বসার প্রস্তাব দিয়েছেন।
বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়মের জন্য দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার সুপারিশ করতে সংস্কার কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আগের তিন সিইসি হলেন-কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, নির্বাচনে অর্থের ব্যবহার বন্ধে নির্বাচনি প্রচারের ব্যয় রাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে।
সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছি।
বিকেলে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আরেকটি মতবিনিময় সভায় বসে সংস্কার কমিশন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে একদরে গ্যাস বিক্রি হবে: বিইআরসির চেয়ারম্যান