শাস্তি
‘আপত্তিকর’ আচরণের শাস্তি পেলেন মার্তিনেস
আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ তুলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো ‘দিবু’ মার্তিনেসকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। এর ফলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আগামী ১০ অক্টোবর ভেনিজুয়েলা এবং ১৫ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে তাকে পাবে না আর্জেন্টিনা।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)।
এ মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত কলম্বিয়া ও চিলির বিপক্ষে ম্যাচে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ এনেছে ফিফা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে গত ৫ সেপ্টেম্বর চিলির বিপক্ষে জয়ের পর কোপা আমেরিকার রেপ্লিকা ট্রফি নিয়ে অশালীন ভঙ্গিতে উদযাপন করেন দিবু। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর ট্রফি নিয়ে তিনি যেভাবে উদযাপন করেছিলেন, তারেই পুনরাবৃত্তি করেন তিনি। তার এই উদযাপন সে সময়ই সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কলম্বিয়ার মধুর প্রতিশোধ
এর পরের ঘটনাটি পাঁচ দিন পরের। সেদিন কলম্বিয়ার বিপক্ষে হেরে ১২ ম্যাচের অপরাজিত পথচলা থামে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের। ওই ম্যাচে একজন ক্যামেরাম্যানের সরঞ্জামে ধাক্কা মেরে ফের খবরের শিরোনাম ৩২ বছর বয়সী এই গোলকিপার।
সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি কারও দিকে চাপ মারছেন।
পরে জনি জ্যাকসন নামের ওই ক্যামেরাম্যান কলম্বিয়ান সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন, মার্তিনেস তার গায়ে হাত তুলেছেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় ভক্তদের সতর্ক করল আর্জেন্টিনা
এসব ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে আচরণভঙ্গের দায়ে মার্তিনেসকে শাস্তি দিয়েছে ফিফা। তবে ফিফার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয় বলে জানিয়েছে এএফএ।
বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা বাছাইপর্বের ৮ ম্যাচ শেষে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কলম্বিয়া এবং ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় উরুগুয়ে। এছাড়া আট ম্যাচ তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে রয়েছে ব্রাজিল।
১ মাস আগে
আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে ও খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে এ দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, 'আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে।’
গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী ও জনগণকে দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার 'ভয়াবহ গণহত্যা' চালিয়েছে বলে সমালোচনা করেন তিনি।
দলের পক্ষ থেকে এর আগেও ওই হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘আমি আজকেও এসেছি এখানে যারা আছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমরা দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’
দেশকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করার আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী ও জনগণ জীবন দিয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
ফখরুল বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেন।
আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
২ মাস আগে
ব্যবসার আড়ালে টাকা লুটকারীদের শাস্তি দিন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ব্যবসায়ী নেতারা
ব্যবসার নামে যারা অর্থ লুটপাট করেছেন তাদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকেরগভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠকে তারা এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় এখন ২৭৮৪ মার্কিন ডলার: বিবিএস
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, 'যারা ব্যবসার নামে সম্পদ লুটপাট করেছে, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছে এবং যারা ব্যাংক লুট করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে বলেছি। আমরা ব্যবসায়ীরা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন,‘আমরা প্রতারণা, লুটপাট ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে। মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।’
তিনি উল্লেখ করেন, 'আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে ঋণের কিস্তির মেয়াদ বাড়াতে বলেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা না হলে অনেক ব্যবসা খেলাপি হয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, 'মার্কিন ডলারের উচ্চ বিনিময় হারের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা গভর্নরকে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’
মাহবুবুল বলেন, অর্থনীতি সুশৃঙ্খল রাখতে ব্যবসায়ীরা কাজ করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব ভালো পদক্ষেপে ও দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করবেন।
বিকেএমইএ'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইডিএফের অর্থ বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এতে আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। সেখানে তিন মাসের কিস্তি পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
হাতেম আরও বলেন, ছয়টি ব্যাংকের কার্যক্রমে বিধিনিষেধ আরোপের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিকেএমইএ নেতা হাতেম বলেন, 'সব ব্যাংকিং নীতিমালা ঠিক ছিল না, সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুদের হার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইডিএফের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ব্যবসায়ীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে থাকবে, যারা জালিয়াতি করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।’
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
২ মাস আগে
জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ: শাস্তি এড়ানো, না কি বিবেকের ডাকে সাড়া?
শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার ই-মেইলের মাধ্যমে উপাচার্য নুরুল আলমের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন করিম।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুল করিমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত চলমান থাকায় সম্ভাব্য শাস্তির আশঙ্কায় পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: পাঞ্জাবি-পায়জামা ইস্ত্রি করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেনা সদস্যের মৃত্যু
জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের এমবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা কমিটি পুনর্গঠন এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সহযোগিতার অভিযোগ উঠে তৎকালীন বিভাগীয় সভাপতি জাহিদুল করিমের বিরুদ্ধে। এঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গ্রহণ করে ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর সুপারিশ প্রদানের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৫(ক) (২) উপধারা মোতাবেক আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যার কার্যক্রম বর্তমানে চলমান থাকা অবস্থায় তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করেন, জাহিদুল করিম তদন্তে শাস্তির আশঙ্কা থেকে চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ‘উদ্দেশ্যমূলক ও দূরভিসন্ধি’ থেকে দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাকে কারণ হিসেবে অব্যাহতি পত্রে উল্লেখ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে জানায়, তার বিরুদ্ধে গঠিত আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলবে এবং তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর তদনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে জাহিদুল করিম বলেন, তার স্ত্রী ওই ব্যাচের ছাত্রী হলেও তিনি কোনো অ্যাকাডেমিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। তার পরীক্ষার সময় অসদুপায় অবলম্বন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না এবং এটিকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।
ব্যাচের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি (চতুর্থ এমবিএ, ২০১৭-১৮) অধ্যাপক আউয়াল আল কবির বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষায় তার (জাহিদ করিমের) অনিয়মের বিষয়টি আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: জাবিতে পুলিশের হাতে সাংবাদিক ‘লাঞ্ছিত’
অধ্যাপক কবীর বলেন, 'এখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের আরেক অধ্যাপক ইউএনবিকে বলেন, করিমের অসদাচরণের বিষয়টি নজরে এলে বিভাগে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা তার বিরুদ্ধে তৎকালীন উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে বাঁচাতে তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করা হয় এবং তাকে শিক্ষা ছুটিতে বিদেশে পাঠানো হয়।’
'শিক্ষক সমাজের বিবেক নষ্ট হয়েছে'
এর আগে গত ২৫ জুলাই সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দেন। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে তিনি স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে চান বলে জানান।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তিনি প্রায় ১৪ বছর ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষকতা করছেন।
দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে সরকারের অবহেলা এবং তার সহকর্মী শিক্ষকদের 'পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব' তাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে।
তিনি সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিতে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবির বিরুদ্ধে সরকারের আগ্রাসী অবস্থানের কারণে অনেক শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন।
সরকার চাইলে দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে পারত, তাহলে এত প্রাণ হানির ঘটনা ঘটত না। যেসব শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে, তাদের নিয়ে তাদের পরিবারের অনেক স্বপ্ন ছিল। সন্তান হারানোর বেদনায় তারা আজ দিশেহারা। তাদের সাথে সাথে সমগ্র জাতি আজ শোকাহত। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তা এই জাতির জন্য একটি কালো অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং কিছু সংখ্যক প্রতিবাদী শিক্ষকদের রক্তাক্ত করার মধ্যদিয়ে ১৯৭১ সালের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।
‘এই হত্যাকাণ্ড দেখেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকদের আমি নির্লিপ্ত থাকতে দেখেছি। শিক্ষকদের ভূমিকা আজ জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। রাজনৈতিক দলীয় করণের কারণে শিক্ষক সমাজের বিবেক লোপ পেয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। শহীদ সব শিক্ষার্থী এবং আহত সব শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রকাশ করছি এবং তাদের জন্য দোয়া করছি। সমগ্র বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজের মূল্যবোধ এবং নৈতিকতাবোধ কে জাগ্রত করতে আমি সহযোগী অধ্যাপক, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সার্ক কালচারাল সেন্টারের উপপরিচালক হলেন জাবি অধ্যাপক
৩ মাস আগে
শাস্তি পেতে পারেন বেলিংহ্যাম
স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে সমতাসূচক গোলটি করার পর অশালীন অঙ্গভঙ্গিতে উদযাপন করায় শাস্তি পেতে পারেন ইংল্যান্ডের রিয়াল মাদ্রিদ তারকা জুড বেলিংহ্যাম।
রবিবার (৩০ জুন) এক গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে প্রায় হেরেই বসেছিল ইংলিশরা। তবে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান বেলিংহ্যাম। এরপর ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে আরও একটি গোল করে ইংল্যান্ডকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন।
ম্যাচ চলাকালে টেলিভিশনের ক্যামেরায় বেলিংহ্যামের উদযাপনে কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েনি। তবে ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়েছে, যাতে দেখা গেছে, স্লোভাকিয়ার বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে হাত দিয়ে দৃষ্টিকটু অঙ্গভঙ্গি করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বেলিংহ্যামের শেষের নাটকের পর স্লোভাকিয়াকে কাঁদিয়ে শেষ আটে ইংল্যান্ড
অবশ্য, বেলিংহ্যামের দাবি, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উদ্দেশে তিনি ওই আচরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘স্টেডিয়ামে উপস্থিত কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে লক্ষ্য করে রসিকতার জন্য এটি করেছিলাম। স্লোভাকিয়া দল যেভাবে খেলেছে, তাতে তাদের প্রতি আমার শুধুই সম্মান রয়েছে।’
তবে, এই ধরনের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ার মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ফলে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরপরই নড়েচড়ে বসেছে উয়েফা।
এ বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। এক্ষেত্রে ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে কোয়ার্টার ফাইনালে বেলিংহ্যামকে নাও পেতে পারে দল।
আগামী শনিবার (৬ জুন) শেষ আটে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: বিরল কীর্তিতে রোনালদোর পাশে বসলেন ইয়ামাল
৪ মাস আগে
তৃতীয় ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনা কোচের শাস্তি
দল নিয়ে বারবার দেরি করে মাঠে আসায় শাস্তি পেয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। এর ফলে রবিবার সকালে পেরুর বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ডাগআউটে দেখা যাবে না তাকে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কনবেমবল জানিয়েছে, কোপা আমেরিকার প্রথম দুই ম্যাচেই বিরতির পর দেরি করে দল নিয়ে (মাঠে) ফেরার কারণে লিওনেল স্কালোনিকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এমনকি, ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও তিনি উপস্থিত হতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।
চিলির কোচ রিকার্দো গারেসাও একই কারণে শাস্তি পেয়েছেন। একই দিন ও সময়ে কানাডার বিপক্ষে কোয়ার্টারে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে চিলি।
আরও পড়ুন: ইনজুরিতে মেসি, পেরুর বিপক্ষে বিশ্রাম
এ বিষয়ে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার সহকারী কোচ ওয়াল্টার স্যামুয়েল বলেন, ‘এ বিষয়ে কোচ স্কালোনি কিছুটা হতাশ। গত ছয় বছরে এ ধরনের শাস্তির মুখে আমরা কখনোই পড়িনি। তিনি (স্কালোনি) দলের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, বিষয়টি খানিকটা অস্বাভাবিক।’
কোপা আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী, খেলোয়াড়দের বিরতির পর সঠিক সময়ে অবশ্যই মাঠে থাকতে হবে। একবার এ ভুল ক্ষমা করা হলেও দ্বিতীয়বার এর জন্য শাস্তির বিধান রেখেছে ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল।
গত ২১ জুন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হারের পর বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ তোলে কানাডা। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচেও একই ভুল করে বসে আর্জেন্টিনা।
কোপা আমেরিকায় প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শেষ আট নিশ্চিত করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে তৃতীয় ম্যাচে জয় প্রয়োজন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল।
রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থাকা পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে স্কালোনির শিষ্যরা। একই সময় কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে চিলি ও কানাডা।
আরও পড়ুন: প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে শঙ্কা কাটাল ব্রাজিল
দুই ম্যাচে এক জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে কানাডা। অন্যদিকে, এক ড্রয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে চিলি। ফলে ড্র করতে পারলেও কোয়ার্টারের টিকিট পাওয়া তুলনামূলক সহজ হবে কানাডার জন্য। আর শেষ আট নিশ্চিত করতে জয়ের বিকল্প নেই চিলির।
শেষ আটে খেলার স্বপ্ন অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি পেরুরও। আর্জেন্টিনাকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে নকআউট পর্বে উঠে যেতে পারে তারাও।
৪ মাস আগে
দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
একইসঙ্গে যাত্রীদের হতাহতের ঘটনায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
৭ মাস আগে
নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল
সাধারণ নীতিমালা ছাড়া শাস্তি হিসেবে ‘মৃত্যুদণ্ড’ আরোপ কেন সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
শাস্তি হিসেবে ‘মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এ রুল দেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায় বহাল: ভেঙে ফেলতে হবে গুলশান শপিং সেন্টার
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।
এ বিষয়ে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ড আরোপ সংবিধানের কয়েকটি (৭, ২৭, ৩১, ৩২ ও ৩৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুইজন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বিধানের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত ৭ ডিসেম্বর রিটটি করেন।
আরও পড়ুন: আসামিদের গণহারে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে না: হাইকোর্ট
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এছাড়াও জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এসব দলিলে সইকারী দেশ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১২টি দেশ মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। রিট আবেদনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অধস্তন আদালতের কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরাতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
৯ মাস আগে
পেঁয়াজ মজুদকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে: ভোক্তার মহাপরিচালক
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ভোক্তা অধিকারবিষয়ক সচেতনতামূলক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের জন্য কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার আরও জোরদার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নতুন পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। এছাড়া পেঁয়াজ মজুদকারীদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে কিছু মজুদদারকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বাকি মজুদদারদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে।’
তিনি বলেন, খাতুনগঞ্জ ও শ্যামবাজারে কে পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখেছিল এবং কীভাবে গুদামে সাজানো পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে দেশের ৫৪টি জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মাংস ও আলুর বাজারে অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও সরকার এখন পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে কাজ করছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ভোক্তা অধিকারবিষয়ক এক বিতর্কে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ও রানার্সআপ হয়েছে ইডেন মহিলা কলেজ।
চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের বর্তমান পরিস্থিতি দেখায় যে কালোবাজার সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, যারা বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখেছেন তারা লোকসান এড়াতে চাইলে দ্রুত বাজারে পণ্য সরবরাহ করবেন।’
আরও পড়ুন: কপ-২৮ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক: সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও কম কার্বনের পথে বাংলাদেশ
রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নতুন মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর কোনো কারণ নেই।
১১ মাস আগে
মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
দেশে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বাদী হয়ে এ রিট করেন।
রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।
আগামী রবিবার (৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এই মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ১ শতাংশ ভোটারের সই করা তালিকা দাখিলের বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
এছাড়া, জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদ, ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং ১৯৮৪ সালের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে মৃত্যুদণ্ডকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এসব দলিলে সইকারী দেশ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১২টি দেশ মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। রিট আবেদনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণার আবেদন জানানো হয়েছে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভুটান ও নেপালসহ বিশ্বের অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক দলিলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নিষিদ্ধ করার পক্ষে বাংলাদেশ সইকারী দেশ। সে হিসেবে সেসব দলিল অনুসরণ করাই আন্তর্জাতিক আইনের রীতি। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদেও আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডের বিধান আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এসব কারণে রিটটি দায়ের করেছি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের আদেশ ১০ ডিসেম্বর
তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
১১ মাস আগে