মন্ত্রিসভা 'জনপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন-২০২৩'-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এতে নির্বাচনের সময় নির্বাচনের পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের তাদের ‘পেশাগত ও আইনি’ দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার জন্য দুই থেকে সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ঢাকায় তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, ‘যদি কেউ গণমাধ্যম কর্মী ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের তাদের বৈধ কাজ করতে বাধা দেয়, তাহলে ওই ব্যক্তির দুই থেকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।’
তিনি বলেন, খসড়া আইন অনুসারে একজন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার অন্তত একদিন আগে সমস্ত ইউটিলিটি বিল ক্লিয়ার করতে হবে, অন্যথায় প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।
সচিব বলেন, প্রার্থীকে একটি টিআইএন প্রশংসাপত্র এবং একটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে কর প্রদানের রসিদও সংযুক্ত করতে হবে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এখন কোনো ব্যক্তি মনোনয়ন পত্র দাখিলের সাত দিন আগে সরকারের কোনো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা অন্য কোনো বিল পরিশোধে ব্যক্তিগতভাবে ব্যর্থ হলে নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এছাড়া বাংলা ক্যালেন্ডার বছরের পরিবর্তে প্রতি অর্থবছরে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের বিধান রেখে ভূমি উন্নয়ন কর আইন- ২০২৩-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি নির্বাচনে ইভিএম, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবে ইসি: কমিশনার রাশেদা সুলতানা
তিনি বলেন, ‘সমস্ত ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।’ ‘২৫ বিঘার কম (৮ দশমিক ২৫ একর) মালিকদের কর দিতে হবে না।
মাহমুদুল বলেন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) প্রত্যেক জমির মালিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ করের উল্লেখ করে একটি তালিকা তৈরি করবেন এবং তালিকাটি সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। যদি কেউ করের পরিমাণ নিয়ে সংক্ষুব্ধ হন তবে ব্যক্তি এসি ল্যান্ড এবং জেলা কালেক্টরের কাছে আপত্তি জানাতে পারেন। জেলা কালেক্টর ১৫ দিনের মধ্যে এটি নিষ্পত্তি করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে দেয়া রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ৬ এপ্রিল সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে।
আরও পড়ুন: টেকসই গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা