সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
আপিলকারী চার আসামি হলেন- ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ-দৌলা, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি, নুর উদ্দিন ও জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম হাইকোর্টে পৌঁছে। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় নথি উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়, যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত।
এছাড়া আইন অনুসারে আসামিরা আপিলও করতে পারেন। এখন ডেথ রেফারেন্স ও আপিল একসাথে শুনানি হবে হাইকোর্টে।
গত ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ১৬ আসামির প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশও দেয়া হয়।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছিলেন নুসরাতের মা শিরিন আখতার। ওইদিনই অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৩ এপ্রিল খুনিরা সিরাজের সাথে জেলখানায় পরামর্শ করে ৪ এপ্রিল মাদরাসার ছাত্রাবাসে নুসরাতকে খুন করার পরিকল্পনা নেয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৬ এপ্রিল নুসরাত মাদরাসায় আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে খুনিরা পরিকল্পিতভাবে সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত।