১২০ উন্নয়নশীল দেশের সংগঠন ন্যামের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন ২৫-২৬ অক্টোবর বাকু কংগ্রেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট বিকাল ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটির স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে বাকু হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
আজারবাইজানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আহমেদ ওগলু মাম্মাদ-গোলিয়েভ এবং তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা শেষে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে হিলটন বাকুতে নিয়ে যাওয়া হবে এবং আজারবাইজান সফরকালে তিনি এ হোটেলে অবস্থান করবেন।
শুক্রবার সকালে শেখ হাসিনা বাকু কংগ্রেস সেন্টারে ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের স্বাগত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে তিনি ন্যামের অন্য নেতাদের সাথে অনুষ্ঠানস্থলের প্লেনারি হলে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। পরে তিনি সেন্টারের ভোজ হলে প্রতিনিধিদলের প্রধানদের জন্য আয়োজিত আলোচনা ও মধ্যাহ্নভোজ এবং প্লেনারি সেশনে অংশগ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায় হায়দার আলিয়েভ সেন্টারে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ আয়োজিত আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনায় যোগ দেবেন।
শনিবার তিনি প্লেনারি সেশন, প্রতিনিধিদলের প্রধানদের জন্য আয়োজিত আলোচনা ও মধ্যাহ্নভোজ এবং সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
আজারবাইজানে দায়িত্ব পালনকারী তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের আয়োজনে হিলটন বাকুতে নৈশভোজেও যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী কয়েকজন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের সাথে বৈঠক করতে পারেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
চার দিনের আজারবাইজান সফর শেষ করে শেখ হাসিনা রবিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে বাকু হায়দার আলিয়েভ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
ফ্লাইটটির একই দিন বাংলাদেশ সময় রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
ঔপনিবেশিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়া ও আফ্রিকা, এশিয়া, লাতিন আমেরিকা ও অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামকালে এবং স্নায়ুযুদ্ধের চরম সময়ে ন্যাম প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সংস্থার কার্যক্রম ঔপনিবেশিকতা দূর করে অনেক দেশ ও মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জন এবং কতগুলো নতুন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মূল কারণ হিসেবে কাজ করে।
ন্যামে ১২০ সদস্য রাষ্ট্র, ১৭ পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও ১০ পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে। এর প্রথম সম্মেলন ১৯৬১ সালে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার মাঝে অবস্থিত আজারবাইজানের জনসংখ্যা ১ কোটি। বহু জাতি ও ধর্মের এ দেশটির নাগরিকদের ৯৬ শতাংশ মুসলিম।