উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় শুক্রবার(১৯ জানুয়ারি) শুরু হওয়া ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
'অংশীদারিত্বমূলক বৈশ্বিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি' শীর্ষক ১৯তম ন্যাম সম্মেলন স্পেক রিসোর্ট মিউননিও কনভেনশন সেন্টারে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
১৭ জানুয়ারি উগান্ডায় বহুপক্ষীয় সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও কুয়াশা ও দৃশ্যমানতা কম থাকায় ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের যাত্রা একদিন বিলম্বিত হয়েছে।
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম)। সংস্থাটির ১২০টি সদস্যের মধ্যে ৪৪টি কমনওয়েলথের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটি বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশগুলোর একটি গ্রুপ যা অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করে।
মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অভিন্ন বৈশ্বিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
উগান্ডার কাম্পালায় ন্যামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম সম্মেলনে দেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য তুলে ধরে এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: অভিন্ন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির আহ্বান ঢাকার
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা ও কার্যকর অর্থনৈতিক সহযোগিতার নীতির ওপর জোর দিয়েছিলেন, যা ৫০ বছর পরও প্রাসঙ্গিক।
ফলাফল নথি, কাম্পালা ঘোষণা ও ফিলিস্তিন বিষয়ক ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার মধ্য দিয়ে ন্যামের দুই দিনব্যাপী মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ১৮ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। ১৯ ও ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে ওই ঘোষণা ও নথিগুলো গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত অগ্রগতির কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে তার পদযাত্রা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে তাকে পুনঃনির্বাচিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার চিন্তা নাকচ করল যুক্তরাষ্ট্র
তিনি স্বল্পোন্নত দেশ ন্যাম দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে সহায়তার জন্য এবং পরিণত হওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ন্যামের অভ্যন্তরে কার্যকর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র সচিব ফিলিস্তিন বিষয়ক ন্যাম মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির বৈঠকে যোগ দেন এবং ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও নিপীড়ন থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তির জন্য বৈধ অধিকার ও ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি বাংলাদেশের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত কৌশল ব্যবহার করতে আন্দোলনের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চীন-আইএফসিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের