চট্টগ্রামের পটিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পটিয়া-দোহাজারি লাইনে ডেমু ট্রেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম হতে পটিয়া-দোহাজারি রেললাইনে স্বাধীনতার পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে লোকাল ট্রেন চলাচল করলেও এবার প্রথম আধুনিক ও যুগোপযোগী কোনো ট্রেনের সংযোজন হয়েছে। অবশেষে পটিয়া-দোহাজারি রেলপথের নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হলো। পটিয়া-দোহাজারি রেললাইনে চালু করা হলো দ্রুতগতির অত্যাধুনিক ডেমু (ডিজেল ইলেকট্রিক মালটিপল ইউনিট) ট্রেন।’
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, চীন থেকে আনা নতুন এ ডেমু ট্রেন চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারিসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের চলাচলের পথ সুগম করবে। এ রুটে আপাতত একটা ডেমু ট্রেন সংযোজন করেছি। আমি আগামী মাসে আবার আসব দক্ষিণ চট্টগ্রামে নতুন রেলস্টেশন উদ্বোধন করতে। তখন হিসাব কষে এ অঞ্চলের যাত্রীদের জন্য আরও একটি ট্রেন দেব।
চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে যুক্ত হচ্ছে ডেমু ট্রেন
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নে ১৮ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব প্রকল্প সম্পন্ন হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হবে। যা অতীতের কোনো সরকার গ্রহণ করেনি। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধীরা হরতালের নামে ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি পুড়িয়েছে। রেলের সম্পদ ধ্বংস করেছে। রেলের সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বর্তমান সরকারকে উন্নয়নের সরকার, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সরকার, শান্তির সরকার হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমনটি স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার আজ তারই কন্যা শেখ হাসিনা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রদক্ষেপ নিয়েছেন এবং তার ধারাবাহিকতায় দেশ আজ স্বনির্ভর হয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম-লাকসাম রুটে ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ
মন্ত্রী সুজন বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কোনো গরিব থাকবে না। তিনি অসহায় গৃহহীনদের জন্য ঘর করে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাই উন্নয়নের এ সরকারের সাথে থাকার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোসলেম উদ্দিন, চন্দনাইশের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী, পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাসান, পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান, পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম মজুমদার, চট্রগ্রাম যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।