রেলমন্ত্রী
রেলওয়ের সিগন্যাল সিস্টেমের ত্রুটির কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি: রেলমন্ত্রী
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিগন্যাল সিস্টেমের ত্রুটির কারণে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পুরো রেলপথকে ডাবল লাইনে রূপান্তর, দেশের সব জেলায় রেল সংযোগ স্থাপন, রেলওয়ের সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং উন্নতমানের ইঞ্জিন ও কোচ সংগ্রহের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প চলমান।
দুর্ঘটনা এড়াতে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন থামানোর জন্য স্বয়ংক্রিয় ট্রেন স্টপ/প্রোটেকশন (এটিএস/এটিপি) প্রযুক্তি বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
দেশে ৩ হাজার ৯৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ১ হাজার ৬৭৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার মিটারগেজ ও ব্রডগেজ ৮৭৯ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ এবং ৫৩৩ দশমিক ৭০ ডুয়েলগজ রেললাইন আছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের মতিঝিল-কমলাপুর রুটের ৪০ শতাংশের বেশি নির্মাণকাজ সম্পন্ন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মহাপরিকল্পনা রয়েছে, যা ২০১৬ থেকে ২০৪৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
সেই মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে রেললাইনকে একই গেজে (ইউনিগেজে) রূপান্তরের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে।
এই কর্মসূচির আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে সবগুলো মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে এবং পরে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।
মাস্টার প্ল্যানে এ বিষয়ে ১৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো পর্যাপ্ত অর্থায়ন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ২০৪৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
৫ মাস আগে
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধু হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘এবারই প্রথম ঈদ যাত্রায় মানুষ স্বস্তিতে রেল ভ্রমণ করেছে। রেলের টিকিটে কোনো কালোবাজারি হয়নি। এই সিন্ডিকেটের অনেকেই ধরা পড়েছে। এটা যখন শুরু হয়েছে, শেষও হবে ইনশাআল্লাহ।’
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকালে মুক্তিযুদ্ধকালীন রণাঙ্গনের স্মৃতি বিজড়িত গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রাম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
মেহেরপুরের রেল সংযোগ নির্মাণে ধীরগতি প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর রেললাইন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির প্রকল্প। এটির কাজ চলমান। এটি যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেকগুলো প্রক্রিয়া আছে। কোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করা হয়। এই প্রতিবেদন ইতিবাচক হলে সেই অনুযায়ী প্রকল্প স্টেটমেন্ট ও ডিজাইন করা হয়। এসব প্রক্রিয়া শেষ হলে সেটি প্রকল্প আকারে একনেকে তোলা হয়। একনেকে পাস হলে ইআরডিতে যাবে। তারাই প্রকল্পের অর্থের যোগানের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে। মুজিবনগর রেললাইন প্রকল্প এখনো ওই পর্যায়ে যায়নি। এসব প্রসেসের জন্য যতটুকু সময় লাগবে এবং যতটুকু দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করা হবে।’
রেল সংযোগ মেহেরপুর শহর হয়ে গাংনী উপজেলা থেকে ভেড়ামারা বা মিরপুর পর্যন্ত বর্ধিত করা যায় কি না এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর পর্যন্ত রেল পথের সম্ভাব্যতা পরীক্ষার প্রতিবেদন করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে মুজিবনগর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এটিকে বর্ধিত করতে হলে আবারো একই নিয়ম অনুস্মরণ করতে হবে। তারপরেও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করব। রেলপথের সচিব, ডিজিসহ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসময় তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধকালীন তার স্মৃতি বিজড়িত এলাকা নিয়ে কথা বলেন।
মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। জেলা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
পরে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপি মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে ফুল দেন।
আরও পড়ুন: মক্তিযুদ্ধ সময়ের কথা রাখতে মেহেরপুরের ষোলটাকায় যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী
রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
৮ মাস আগে
রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলের খাবার মানসম্মত না হলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসের চুক্তি অনুযায়ী মানসম্মত খাবার প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী দাম বাড়ানো হয়েছে খাবারের।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ক্যাটারিং সার্ভিসের সেবার মান এবং সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যাত্রীদের ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ- ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানগুলো বাসি রুটি ও গন্ধযুক্ত খাবার দিচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, যারা ক্যাটারিং পরিচালনা করেন তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। খাবারের মান ভালো করতে হবে। মান খারাপ হলে বদনাম ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের হয় না। দুর্নাম হয় রেল কর্তৃপক্ষের, রেলমন্ত্রীর।
খাবারের মান স্বাস্থ্যসম্মত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়মিত মনিটরিং করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, কর্মকর্তারা যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে খাবার মানসম্মত হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি পাবে এবং একই সঙ্গে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে। ট্রেনে হকারদের উৎপাত বন্ধ করতে হবে, হকারদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, ট্রেনে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাড়াতে হবে। যাত্রীদের অভিযোগ ট্রেন অপরিষ্কার এবং অনেক সময় বাথরুম ব্যবহার অযোগ্য অবস্থায় থাকে, যা মেনে নেওয়া যায় না।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধিতে পরিদর্শন বাড়ানোসহ নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মনিটরিং করার নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, রেলে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের হাওয়া খেলে চলবে না, কাজ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
আর দায়িত্বে অবহেলার কারণে বদনাম হয় মন্ত্রীর এবং প্রধানমন্ত্রীকেও সে বদনামের ভাগীদার হতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর বদনাম হয় এমন কাজ সহ্য করা হবে না।
সকলকে দায়িত্বের প্রতি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল-অবরোধে রেলে আক্রমণ বেড়েছে: রেলমন্ত্রী
১০ মাস আগে
পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, সাবেক রেলমন্ত্রীর সঙ্গে অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) রেল ভবনের সভাকক্ষে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনের বিদায় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী।
জিল্লুল হাকিম বলেন, পিছিয়ে পড়া রেলকে উপরে টেনে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন প্রত্যেকটি জেলা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় সংযুক্ত করা।
আরও পড়ুন: বিএনপির ভোট চাওয়ার মুখ নেই: রেলমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে ভালোবেসে রেলের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, সাবেক মন্ত্রীকে আমরা বিদায় দিচ্ছি না, আশা করি উনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন বিভিন্ন কাজে আমাদের পরামর্শ দেবেন এবং রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন। এটা হলে আমাদের কাজ অনেক সহজ হবে।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক কামরুল আহসানসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
বিএনপির হরতাল-অবরোধে রেলে আক্রমণ বেড়েছে: রেলমন্ত্রী
১০ মাস আগে
মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, মার্চের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রামের পুরোনো কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সেতু মেরামত করা হচ্ছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেস্ট হাউসে রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করতে ৪ থেকে
৫ বছর সময় লাগবে। কালুরঘাট সেতু নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে। অর্থায়ন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিলের (ইডিসিএফ) সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালবাহী ট্রেনের লোকোমাস্টার সিগন্যাল অমান্য করায় দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আশা করছি ৪-৫ বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ হবে।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, রেল এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। রেললাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে। ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে ঢেলে সাজাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা রেল যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছেন। গ্রামীণ কৃষকদের উৎপাদিত ফসল যাতে ট্রেন যোগে শহর পর্যন্ত চলে আসে, প্রান্তিক কৃষক যেন যথাযথ মূল্যে ফলফলাদি ও সবজি বিক্রি করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছি৷
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলকে সচল করার চেষ্টা করব। অনেক স্থানে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেগুলো স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রয়েছে। কক্সবাজার রুটে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা সেটা হলো লোকো মাস্টার সমস্যা। লোকো মাস্টার নিয়োগ হলে আমরা খুব শিগগিরই এ রুটে আরও কিছু ট্রেন চালু করব।
তিনি আরও বলেন, রেলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে পাঁচ হাজারের উপরে লোকবল নিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকগুলো ইঞ্জিন ও কোচ আমদানি করা হচ্ছে। কিছু আমদানি হয়েছে। এসব ইঞ্জিন রেল বহরে যুক্ত হলে রেলে ইঞ্জিন সংকট দূর হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির হরতাল-অবরোধে রেলে আক্রমণ বেড়েছে: রেলমন্ত্রী
বিএনপির ভোট চাওয়ার মুখ নেই: রেলমন্ত্রী
১০ মাস আগে
বিএনপির ভোট চাওয়ার মুখ নেই: রেলমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বিএনপি ভোটে আসতে চায় না। কারণ তারা জানে জনগণ তাদের ভোট দেবে না।
তিনি বলেন, তারা যেসব কাজ করেছে তাতে ভোট চাওয়ার মতো মুখ নেই। এখন আন্দোলন করছে করুক, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে আক্রমণ, ভাঙচুর, পুলিশ হত্যা কেন? পুলিশ তো দায়িত্ব পালন করছে নিরাপত্তার জন্য।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি সীমান্তে আইকনিক স্টেশন ভবন, প্লাটফরম, ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে বহুতল ভবনে আগুন
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন আমরাও করেছি, আমরা মার খেয়েছি, আমরা কোনোদিন পুলিশকে মারিনি। আমাদের লোকজন জীবন দিয়েছে, জেলখানায় গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কতবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কই খালেদা জিয়াকে তো একবারও হত্যা চেষ্টা করা হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতাদের জেলখানার মধ্যেও হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির কোনো নেতা তো এইভাবে মারা যায়নি।’
উন্নয়নের কথায় তিনি বলেন, আজকে এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। চিলাহাটি থেকে ট্রেন সকাল-বিকাল ঢাকা যাচ্ছে, এ পথে খুলনা, রাজশাহী ট্রেন চলছে। আন্তদেশীয় ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেস এনজিপি (ভারত) থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলছে। এ এলাকার মানুষের চাহিদা ছিল মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে ভারত যাতায়াতের। যেটা কাঠামোর কারণে এতদিন সম্ভব হয়ে উঠেনি। এখন স্টেশন ভবন নির্মাণের ফলে সেটি পূরণ হবে।
মন্ত্রী বলেন, আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এখানে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চালু হবে। এরপর চিলাহাটিতে ট্রেনে উঠে ভারতের এনজেপি, জলপাইগুড়ি যাতায়াত করা যাবে। আগামী ১১ তারিখ চট্টগ্রামের কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হবে।
ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত থেকে ক্সবাজার পর্যন্ত টেন চলবে। চিলাহাটিতে স্থলবন্দর হবে এবং খুলনার মোংলা বন্দর থেকে সরাসরি শুধু ভারত নয়, নেপাল-ভুটান পর্যন্ত মালামাল আনা নেওয়া করা যাবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন রাজনীতি করেছিলেন গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিল যে, ভিক্ষুকের জাতির কোনো সন্মান নেই। আমরা আত্মনীর্ভরশীল, মর্যাদাকর একটি দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, ৪০টি ঘর পুড়ে ছাই
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
১ বছর আগে
মালবাহী ট্রেনের লোকোমাস্টার সিগন্যাল অমান্য করায় দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মালবাহী ট্রেনের লোকোমাস্টার সিগন্যাল অমান্য করায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রেলপথমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রেল ভবনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে ট্রেনের একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে লুপলাইন অতিক্রম করার সময় দুটি ট্রেনের ধাক্কা লেগে একটি ট্রেনের পেছনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে হতাহত হয়েছিলেন যাত্রীরা। একইভাবে গত ২৩ অক্টোবর ভৈরব বাজার স্টেশনে লুপলাইন অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রামগামী একটি মালবাহী ট্রেন এগারসিন্দুর ট্রেনের পেছনের তিনটি বগিকে আঘাত করে এবং একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণে ঘটনাস্থলে অনেকে মৃত্যুবরণ করেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও অনেকে মারা যান। আজও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এবং এ পর্যন্ত মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে বহুতল ভবনে আগুন
তিনি বলেন, ভৈরব থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী আহত হয়েছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে ভৈরব থানা কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেলে, ৬ জন পঙ্গু হাসপাতালে, একজন রেলওয়ে হাসপাতালে এবং একজন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
সুজন বলেন, দুর্ঘটনার সময় ফার্স্ট এশিয়া প্যাসিফিক রেল সামিটে অংশ নিতে মালোশিয়ায় ছিলাম। দুর্ঘটনার কারণে সেমিনার সংক্ষিপ্ত করে ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশে চলে আসি। আজ আমি নিজে ঢাকা মেডিকেল, পঙ্গু হাসপাতাল, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের দেখতে যাব এবং তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেব।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন
মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছে তাদের মৃত্যুর ক্ষতি কখনোই পূরণ হওয়ার নয় এবং এটা পূরণ করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তারপরও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। একই সঙ্গে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ব্যয় মন্ত্রণালয় থেকে বহন করা হবে এবং যথাসম্ভব আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি জনান, ইতোমধ্যে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরেকটি বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আঞ্চলিক অফিস থেকেও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল, পঙ্গু হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং প্রত্যেক রোগীকে আর্থিক অনুদান দেন।
আরও পড়ুন: ভৈরব দুর্ঘটনা: ৭ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু, মালবাহী ট্রেনের চালকসহ ৩ জন বরখাস্ত
১ বছর আগে
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন রেলমন্ত্রীর
ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের আগে চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শন করছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দোহাজারী স্টেশন থেকে মোটর ট্রলিতে করে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
এর আগে তিনি কালুরঘাট রেলসেতু মেরামতের কাজ পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের কালুরঘাট সেতু মেরামত কাজের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী।
আগামী ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, মূলত কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিতেই মন্ত্রীর এই সফর। উদ্বোধন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে মন্ত্রী দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দেবেন এবং কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের কাজ দেখবেন।
রেল পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রী রেললাইন পরিদর্শন করছেন। কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন বসানোর কাজ শেষ এবং ট্রেন চলাচলের উপযোগী অবস্থায় রয়েছে।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।
শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার (ফাস্ট ট্র্যাক) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন: আট মাস পর ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী
ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
আট মাস পর ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ট্রেন চলবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, প্রায় ৮ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১ আগস্ট থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারণে ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন ও পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে চাষাঢ়া রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সামগ্রিক প্রকল্পটি ত্বরান্বিত করতে ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইনকে বর্তমানে ডাবল লাইন ওয়ানে উন্নীত করা হচ্ছে। এছাড়া দ্রুত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে উভয় প্রকল্পের কাজ একযোগে করা হচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের কাজ শেষ হবে।
এছাড়া ২০২৪ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর রেললাইনের কাজ শেষ হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের ট্রায়াল রান সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুট ও পদ্মা সেতু প্রকল্প ছাড়াও মন্ত্রী খুলনা থেকে মোংলা ও চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত একটি বড় প্রকল্পের পরিকল্পনার কথা জানান।
গত বছর বাংলাদেশ রেলওয়ে ঘোষণা করেছিল, নারায়ণগঞ্জের ওপর পদ্মা সেতু রেললাইন প্রকল্পের কাজের কারণে ৪ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন পরিষেবা ৩ মাসের জন্য বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। ঢাকাকে পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত করতে তিন পয়েন্টে পাথরবিহীন এবং এক পয়েন্টে পাথরসহ রেললাইন নির্মাণে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। পাথরসহ রেললাইন ও পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপন কাজ চলছে একযোগে।
শনিবার দুপুরে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ফরিদপুরের ভাঙ্গা ওয়াই জংশন পয়েন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় মন্ত্রী রেললাইন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে বলেন, রাজধানী থেকে মাওয়া অংশ উদ্বোধন হবে সেপ্টেম্বরে।
তিনি প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করে আরও জানান, ঢাকা-ভাঙ্গা প্রায় ৮১ কিলোমিটার অংশে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। আর যশোর পর্যন্ত রেল চলবে আগামী বছরের জুনে।
আরও পড়ুন: সিগন্যালিং সিস্টেমের ত্রুটির কারণে প্রাণঘাতী এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে: ভারতের রেলমন্ত্রী
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল একেএম রেজাউল মজিদ, প্রকল্প পরিচালক আবজাল হোসেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উপ সমন্বয়কারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-২ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম, প্রকল্প ব্যবস্থাপক-৩ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামসুল আলম শামস প্রমুখ।
ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার পথে এখন পদ্মা সেতু। ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির ব্রডগেজ রেললাইন বদলে দিবে দেশের অর্থনীতি। ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথে থাকবে ২০টি স্টেশন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
নতুন ১৪টি স্টেশনে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। আর বাকি ছয় স্টেশনে চলছে আধুনিকায়নের কাজ। প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে কাজ করছে চীনা ঠিকারদার সিআরইসি। কাজ তদরাকি করছে সিএসসি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
রাজধানী থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশে পাথরসহ রেললাইন স্থাপন বাকি মাত্র এক কিলোমিটার। ২৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড রেললাইনের বাকি সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই কাজ শেষেই ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রেললাইন যাবে ভাঙ্গা।
আরও পড়ুন: টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে ঢুকতে পারবে না: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে