রেলমন্ত্রী
সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় নির্মাণাধীন কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন ভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, রেলকে সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক করে গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে দোহাজারী থেকে কক্সবাজারে সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে দুইটি প্রকল্প রেলওয়েতে চলমান।
আরও পড়ুন: হিলি ও লালমনিরহাটের রেল ও সড়ক পথ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত: রেলমন্ত্রী
প্রকল্পের দুইটি হলো-
১) পদ্মা সেতু রেল সংযোগ।
২) দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প।
মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে ট্রেনে করে আসার জন্য সারাদেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহী হয়ে আছে। কাজের সুবিধার জন্য প্রকল্প দুইটি ভাগে বিভক্ত। এছাড়া আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বরে তা উদ্বোধনের জন্য সার্বিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের সকলের জন্য গর্বের একটা বিষয় কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং, যেটি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম।
তিনি আরও বলেন, এরকম অনন্য স্থাপনা অন্য কোথাও নেই।
ট্রেন চলাচল শুরু হলে কালুরঘাট সেতু কোনো সমস্যা তৈরি করবে কি না-জানতে চাইলে নূরুল ইসলাম সুজন জানান, কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে।
তিনি জানান, তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ট্রেন চালাতে কোনো সমস্যা হবে না।
কক্সবাজার ট্রেন চালু হলে টুরিস্ট ট্রেন চালু করা হবে কিনা এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে আধুনিক মানের ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ বলে মন্ত্রী জানান।
অন্যদিকে প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ প্রকল্পের এখন কোন চ্যালেঞ্জ নেই। বিদেশ থেকে সমস্ত মালামাল এসে গেছে এখন শুধু ফিটিং এর কাজ চলমান, আশা করা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে ঢুকতে পারবে না: রেলমন্ত্রী
রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত: রেলমন্ত্রী
টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে ঢুকতে পারবে না: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, স্টেশনগুলোতে আমরা এক্সেস কন্ট্রোল করেছি, কাজেই টিকেটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে ঢুকতে পারবে না।
তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময় যাত্রীদের চাপের কারণে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো আমরা এবার সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কমলাপুর, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর স্টেশনে অস্থায়ী বাঁশ এর বেড়া নির্মাণ করা হয়েছে যাতে যাত্রীরা সারিবদ্ধভাবে টিকেট প্রদর্শন করে ঢুকতে পারে এবং টিকেটবিহীন কোন যাত্রী ঢোকার সুযোগ না পায়।
রবিবার ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: হিলি ও লালমনিরহাটের রেল ও সড়ক পথ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত: রেলমন্ত্রী
মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। এসময় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য এবং গ্রামের বাড়িতে ঈদ কাটানোর উদ্দেশ্যে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা শহর থেকে গ্রামে আসা-যাওয়া করে। পরিবহনের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে রেলওয়ে। ঈদের সময় যাত্রীদের আসা-যাওয়ার প্রচণ্ড চাপ তৈরি হয়। এই চাপ সামলানোর জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে থাকি এবং বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম নিয়ে থাকি। আমাদের সে পরিকল্পনা আমরা একমাস আগেই মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় ও রেলের পক্ষ থেকে যে অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি নেওয়া দরকার আমরা সেটা নিয়ে থাকি। এবছর রেলওয়ের সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তন নেয়া হয়েছে তা হল ঈদের ৫ দিন আগে ও ঈদের ৫ দিন পরে এই দশ দিন আন্তঃনগর ট্রেন সমূহের টিকেট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ঈদযাত্রার টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে এবং আগামীকাল ১৭ তারিখ থেকে ঈদের ট্রেন চলা শুরু হবে। এই ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এবং সেগুলো যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য আমরা গ্রহণ করেছি। আজকে আমরা কমলাপুর পরিদর্শনে এসেছি সার্বিক প্রস্তুতি দেখার জন্য। এখানে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। যাত্রীদের অধিকতর নিরাপদ যাত্রার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত আমরা বিভিন্ন পক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের পূর্ব দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান,পঞ্চগড় নীলসাগর, কুড়িগ্রাম,লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন সমূহের ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রা বিরতি থাকবেনা, কারণ এসব ট্রেনে বিমানবন্দর থেকে যাত্রীরা সিট দখল করে থাকে।
সিডিউল বিপর্যয় বিষয়ে মন্ত্রী উল্লেখ করেন, আমাদের বেশিরভাগই সিঙ্গেল লাইন কোন একটি ট্রেনের ১০ মিনিট বিলম্ব হলে অনেক ট্রেনগুলোকে বিলম্বের মুখে পড়তে হয়,তাছাড়া এখনকার আবহাওয়ার তাপমাত্রা অনেক বেশি তাই গতি কম রাখতে হচ্ছে। কাজেই এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে যাত্রী সাধারণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।
স্টেশন পরিদর্শনের সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন সরদার শাহাদত আলী সহ বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত: রেলমন্ত্রী
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে: রেলমন্ত্রী
রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে। এসব সেবা আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, সেবা তিনটির মধ্যে আছে, জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে রেলওয়ের আন্তনগর ট্রেনের টিকিটিং ব্যবস্থা, টিকিট চেকিং ব্যবস্থায় পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের প্রবর্তন এবং অনলাইনের মাধ্যমে কেনা টিকিট অনলাইনে ফেরতের ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: দুর্দিনে সহায়তার জন্য আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে: রেলমন্ত্রী
বুধবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, টিকিট কালোবাজারী প্রতিরোধ, বিনা টিকিটে ভ্রমণকারীদের জরিমানাসহ ভাড়া আদায় সহজ করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এছাড়া ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কেনার আগে প্রত্যেক যাত্রীকে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক করেছে।
কাউন্টার, অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয়কারী যাত্রীরা অনলাইন অথবা মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে যেকোনো সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেমে খুব সহজে নিবন্ধন করতে পারবেন।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী সাধারণের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে এবং বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন এনেছে।
আরও পড়ুন: হিলি ও লালমনিরহাটের রেল ও সড়ক পথ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত: রেলমন্ত্রী
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে: রেলমন্ত্রী
হিলি ও লালমনিরহাটের রেল ও সড়ক পথ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত: রেলমন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রী নূরল ইসলাম সুজন বলেছেন, হিলি ও লালমনিরহাটের রেল ও সড়ক পথ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।
তিনি বলেন, ভারত তাদের আসামসহ সেভেন সিস্টারের সঙ্গে রেলপথ ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের হিলি ও লালমনিরহাট ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে করে দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য আরও গতিশীল ও বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশই লাভবান হবে। আমরা এই বিষয়টি ভেবে দেখছি।
শুক্রবার বেলা আড়াইটায় বিরামপুর রেলস্টেশনে নির্মাধীণ ইয়ার্ডের জায়গা ও রেলস্টেশনের নতুন ভবন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শননে এসে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাছ আলী সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের সব রেলপথকে ডাবল লাইনে করা হবে। সরকার এই লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। যাত্রী সেবার মান ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ট্রেনের আরও বগি বাড়ানো হবে। রেলের আরও অনেক অনেক সংস্কার কাজ করা হবে। সকল রেলস্টেশনকে আধুনিকায়ণ ও নতুন রেলপথ নির্মাণ করা করা হবে। যার প্রমাণ হিসেবে বিরামপুর রেলস্টেশনে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে: রেলমন্ত্রী
হিলি রেলস্টেশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনে ইয়ার্ড ছিল। ফলে যেখানে পণ্য লোড-আনলোড করা হতো। কিন্তু ভারতের বর্ডারের কাছে হওয়ায় পণ্য লোড-আনলোডে তারা আপত্তি দিয়েছে। একারণে পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ থাকায় সেখান থেকে সরিয়ে বিরামপুর রেলস্টেশনে ইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে। এরফলে এখন থেকে পরিবহনের মাধ্যমে ট্রেনের মালামাল দেশের সব জায়গায় পণ্য পাঠানো যাবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ঘটনা ঘটার কারণে কিন্তু হিলি রেলস্টেশনের কিছু কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা পরীক্ষা করে দেখব চলমান কাজ কেন বন্ধ হয়ে গেল। যদি ভারতের দিক থেকে আর কোন আপত্তি না থাকে বা আমাদের দিক থেকে যেসব ঘটনার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই সমস্যাগুলো যদি আর না থাকে তাহলে আমরা চেষ্টা করব সেখানে স্টপেজ বাড়ানোর। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেখানে নতুন কোন ট্রেনের স্টপেজ দেয়া হবে না। তবে পশ্চিমপাশ থেকে পূর্বপাশে স্টেশন সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে তিনি ভেবে দেখার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিরামপুর রেলস্টেশনে ইয়ার্ড নির্মাণ ও রেলস্টেশনের ভবণ নির্মাণ কাজ চলছে। যা ইতোমধ্যে রেলস্টেশনটির ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এ বছরই চালু হবে: রেলমন্ত্রী
সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি: রেলমন্ত্রী
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, মহামারি করোনার রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক মহা সংকট সৃষ্টি করেছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে।
তিনি বলেন, কোনো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৈশ্বিক সংকট না ঘটলে নির্ধারিত সময়ের আগেও নির্মাণ শেষ হতে পারে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে পশ্চিম পাড়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চিলাহাটি-মঙ্গলা রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে জুনে: রেলমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বৃহত্তম এই রেলওয়ে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে উত্তরবঙ্গসহ দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে রেল যোগাযোগের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে।
সেইসঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বিস্তারে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেললাইনসহ আরও যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব প্রকল্পের কাজও সঠিক সময়ে শেষ করা হবে বলে দাবি করেন তিনি।
মন্ত্রীর এ পরিদর্শনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্যসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এ বছরই চালু হবে: রেলমন্ত্রী
সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি: রেলমন্ত্রী
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এ বছরই চালু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের কাজ পুরোদমে চলছে। চলতি বছরে ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে রেল যোগাযোগ চালু হবে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার জন্য তারা কাজ করছেন। ‘আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব। আর কোনো কারণে জুনে কাজ শেষ না হলে আরও এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। তারপরও আমরা এ বছরের মধ্যেই ট্রেনে করে কক্সবাজার যেতে পারব।'
মন্ত্রী বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার প্রকল্পের ৮০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি ২০ শতাংশ এই সময়ের মধ্যে শেষ হবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নতুন রেললাইনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে যাত্রা 'আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক' হবে।
এছাড়া এতে কক্সবাজারের পর্যটনসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে সহজে কক্সবাজারে আসবেন পর্যটকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। তেমনি সহজভাবে দেশের সব প্রান্তে যাবেন কক্সবাজারবাসীও। সহজ হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনা-নেয়া। এতে বাড়বে কক্সবাজারে পর্যটক স্রোত। 'ভ্রমণকারীরা খুব সহজেই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ পাবেন,' বলেও জানান বলেন।
প্রকল্প অনুযায়ী সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু ও কক্সবাজার সদরসহ ১০০ কিলোমিটার রেলপথে মোট আটটি স্টেশন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি: রেলমন্ত্রী
পর্যবেক্ষকদের মতে, রেলপথ সচল হলে সবদিক দিয়ে ঘুরে যাবে কক্সবাজার অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চাকা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার রেলপথের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প থেকে জানা যায়, ১০০ কিলোমিটার রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদরসহ স্টেশন থাকছে আটটি। এজন্য সাঙ্গু, মাতামুহুরি ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি বড় সেতু।
এছাড়া রেলপথে তৈরি হয়েছে ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট ও ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় তৈরি হচ্ছে একটি ফ্লাইওভার, রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দুটি হাইওয়ে ক্রসিং। হাতি ও অন্য বন্যপ্রাণীর চলাচলে ৫০ মিটারের একটি ওভারপাস ও তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ১০০ কিলোমিটার রেললাইনে এরইমধ্যে ৫০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। বেশির ভাগ ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ শেষ হয়েছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলো আগামী কয়েক মাসেই শেষ হবে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তবে, আমরা চেষ্টা করছি ২০২৩ সালের জুন-অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করতে। সেইসঙ্গে রেলস্টেশনগুলোর নির্মাণকাজও চলমান আছে।
আরও পড়ুন: চিলাহাটি-মঙ্গলা রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে জুনে: রেলমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, কক্সবাজার সদর থেকে সাত কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। স্টেশনটিকে সৈকতের ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা ভবনটির বিভিন্ন অংশে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান আছে। নির্মাণাধীন আইকনিক ভবন ঘেঁষে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ মিটার প্রস্থের তিনটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে। এর পাশেই রেলওয়ের আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আটটি ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারাদিন সমুদ্রসৈকতে বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এই স্টেশন দিয়ে দিনে ৪৬ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সাধারণ মানুষের আরামদায়ক চলাচলের কথা চিন্তা করে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা সেবামূলক। তাই সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও একমাত্র ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি।
আরও পড়ুন: দুর্দিনে সহায়তার জন্য আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে: রেলমন্ত্রী
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী লেভেলক্রসিং গেট টি২ এবং টি১ পর্যন্ত ডাবল লাইন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চলাচল বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে পদ্মা লিংক প্রজেক্টের জন্য ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমার মনে হয় এক দুই মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন আমরা ট্রেন খুলে দিতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আজকের পরিদর্শনের মূল বিষয় হচ্ছে সমন্বয়ের কিছু বিষয়। বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কিছু জায়গা ফার্স্টগেট থেকে স্টেশন পর্যন্ত। ডাবল লাইন প্রকল্পে কিছু জায়গা শর্ট পড়ছিল। এছাড়া সড়কের কিছু অংশ যদি রেললাইনের দাগে আসে তাহলে এ অসুবিধাটা আর হয় না। এগুলো দেখে বাস্তবে এমন ধারণা ছিল যে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেটা দেখতেই এখানে আসা।
মন্ত্রী বলেন, থিওরিটিকালি এ কাজটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আমার মনে হয় সেটা হবে না। এ রেললাইন নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্যেই হচ্ছে। এ ডাবল লাইন হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০টি ট্রেন চলতে পারবে। আমি মেয়রকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এসেছেন এখানে। আমরাও মাঠের কর্মী। জনগণের সমস্যা সমাধানে আমরা এখানে এসেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
জুনের মধ্যে কক্সবাজারে রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
চিলাহাটি-মঙ্গলা রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে জুনে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘চিলাহাটি থেকে মঙ্গলা পর্যন্ত রেল পথে জুন মাসের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
তিনি বলেন, মঙ্গলা পোর্ট থেকে ভারত-বাংলাদেশ এবং নেপাল-ভুটানসহ চারটি দেশই চিলাহাটি রেলপথটিকে ব্যবহার করতে পারবে তাদের মালামাল পরিবহন এবং যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে।
তারই লক্ষ্যে উন্নয়ন কাজ চলমান আছে।
এছাড়া জুন মাসের মধ্যে এসব কাজ সমাপ্ত হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
রবিবার দুপুরে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি স্টেশন ও চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি অবিভক্ত ভারতের পুরানা রেলপথ। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর এ যোগাযোগ ব্যবস্থাটি বন্ধ হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে দীর্ঘদিন এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধই ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো যখন ক্ষমতায় আসলেন তখন আলাদা রেল মন্ত্রণালয় করার মধ্য দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থাকে পুনরায় চালু করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেন। আমাদের সঙ্গে অবিভক্ত ভারতে যে আটটি রেল সংযোগ ছিল, পর্যায়ক্রমে সবগুলোর যোগাযোগ স্থাপন, রেলকে প্রত্যেকটি জেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন, আমাদের যে দুই ধরনের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ এবং মিটারগেজকে এককেন্দ্রীক করে ব্রডগেজে রূপান্তর করার কাজ হাতে নেন। এসবের অনেকগুলো প্রকল্প আমাদের চলমান আছে।
তারই অংশে দর্শনা, বেনাপোল, রহনপুর, বিরোল এবং পঞ্চম চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পথও আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার মালামাল পরিবহনের জন্য এবং দ্বিতীয়বার মিতালী এক্সপ্রেস যাত্রী পরিবহনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন।
সে লক্ষে চিলাহাটি রেলস্টেশনটির আমূল পরিবর্তনের জন্য আমরা পরিকল্পনা গ্রহন করেছি। প্রথম পর্যায়ে অনেকগুলো কাজ হয়েছে, তাতে করে রেল যোগাযোগটা হয়েছে, এখন কাজ চলছে রেলস্টেশনের আইকনিক ভবনসহ অন্যান্য উন্নয়নের।
চিলাহাটি থেকে বর্তমানে ঢাকা চলাচল করছে রাত্রিকালীন একটি আন্তনগর ট্রেন। নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের দাবি ছিল দিবাকালীন ঢাকাগামী আরেকটি ট্রেন।
জুনের মধ্যে সে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, খুলনার দিক থেকে ট্রেনগুলো পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করানো সম্ভব হলে জুন মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে চিলাহাটি-ঢাকা আরেকটি নতুন ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় রেল সেতু ডবল লাইন ডুয়েল গেজ দিয়ে ২৪ সালের আগস্টের মধ্যে আমরা ট্রেন চালাতে পারেবো।
পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য নতুন ১০০টি ব্রডগেজ যাত্রিবাহী কোচ আমদানির প্রক্রিয়ায় আছে।
ইতোমধ্যে ১৫টি কোচ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে, আশা করছি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সিংহভাগ কোচ আমরা পেয়ে যাবো।
সেই সঙ্গে জুন মাসে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুরপাড় ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশটিতে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবো।
খুলনা থেকে ফরিদপুর হয়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকা ট্রেন চলাচল শুরু হলে চাপ কমবে বঙ্গবন্ধুর সেতুর ওপর।
এসময়ে চিলাহাটি-ঢাকা আরেকটি নতুন ট্রেন চালানো সম্ভব বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী চিলাহাটি রেলস্টেশনের আইকনিক ভবন, লুপলাইন স্থাপনে জমি অধিগ্রহণ এলাকা পরিদর্শন শেষে স্থানীয় জমির মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন চিলাহাটি স্টেশনের অতিথিশালায়।
এ সময় নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, চিলাহাটি-হলদীবাড়ি রেলপথ স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহীম ছাড়াও রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলে।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
জুনের মধ্যে কক্সবাজারে রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে নির্মাণাধীন আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নতুন রেললাইন আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে চালু হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের জন্য আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন সংযোগটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ লাইনটি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
পাশাপাশি মানুষ সহজে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবে।
আরও পড়ুন: আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন কাজ ধীরগতিতে হওয়ায় রেলমন্ত্রীর অসন্তোষ
রবিবার সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিদর্শনের সময় আগরতলা সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ কাজই সম্পন্ন হয়েছে। এখন যতটুকু কাজ আছে, আশা করা যায় বাকি কাজ জুনের আগেই শেষ হবে।
আখাউড়া-লাকসাম প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, এ প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক।
এছাড়া ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১৭ কিলোমিটার রেল লাইন যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পটি ভারতীয় অনুদানের নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৭ শতাংশ।
আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য ৬.৮ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: রেলমন্ত্রীর আশ্বাসে রানিং স্টাফদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
স্কুল ছাত্রীদের মধ্যে ৭০০ বাইসাইকেল বিতরণ করলেন রেলমন্ত্রী
জুনের মধ্যে কক্সবাজারে রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আগামী জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে। তখন সারাদেশ থেকে ট্রেন সরাসরি কক্সবাজারে যাবে।
বৃহস্পতিবার দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী এ সময় বলেন, একসময় এটি স্বপ্ন ছিল এখন সেটা বাস্তবায়নের পথে। কক্সবাজারবাসী যেমন অপেক্ষায় আছে, তেমনি সারা দেশের মানুষ ট্রেনে করে পর্যটন নগরী কক্সবাজার আসার জন্য অপেক্ষায় আছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময় আগামী বছর জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
কক্সবাজারে চলাচলের জন্য টুরিস্ট কোচের আদলে উন্নত মানের কোচ দ্বারা ট্রেন চালানো হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫৪ টি কোচ কেনা হবে যেগুলোর জানালা সুপ্রশস্ত। মানুষ অনায়াসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবে বলে মন্ত্রী জানান।
কাজের অবগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন যে প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
মন্ত্রী এ সময় নির্মাণাধীন আইকনিক স্টেশন বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন তলা ঘুরে দেখেন। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে স্টেশন বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
মন্ত্রী পরে পরিদর্শনকালে প্রায় ৩০ কিলোমিটার নতুন লাইনে পরিদর্শন করেন। ইতোমধ্যে ৬০ কিলোমিটার রেল লাইন সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ১০০ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। পুরো প্রকল্পে ৩৯ টি মেজর ব্রিজ এবং ২৪২ টি কালভার্ট রয়েছে। হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভাপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। রেললাইনটা নির্মিত হলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে। পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আনা হবে। পর্যটকদের জন্য নিরাপদ আরামদায়ক, সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহন করা সম্ভব হবে
পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।