চট্টগ্রাম থেকে ডেমু ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াতকারী সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা আবু জাফর বলেন, ‘রবিবার এবং আজ সোমবার স্টেশনে গিয়ে ডেমুর অপেক্ষায় ছিলাম। পরে জানলাম ডেমু বন্ধ হয়ে গেছে। আমার মতো হাজার হাজার যাত্রী ট্রেন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।’
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, চাকার সমস্যার কারণে আপাতত ডেমু চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কবে নাগাদ এ রুটে ডেমু চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি রেলের পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে রেলওয়ের (চট্টগ্রাম) বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন বলেন, চাকার সমস্যার কারণে আপাতত ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। চাকা মেরামতের পর ডেমু আবার চালু করা হবে।
এ ব্যাপারে রেলের চট্টগ্রামের ডিএমই ফয়েজ আহমদ বলেন, ডেমুর চাকাগুলো মেরামতের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে এ মেশিন না থাকায় চাকা মেরামত করতে হয় ঢাকায়। মেরমতের পরই ডেমু ট্রেন চালু সম্ভব হবে।
জানা গেছে, ডেমু ট্রেনের এসব চাকা চীন থেকে আনা হয়। ১৮টি ত্রুটিপূর্ণ চাকা ইতোমধ্যে ঢাকা ওয়ার্কশপে পাঠানো হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ জানান, পুণরায় চট্টগ্রাম-লাকসাম রুটে ডেমু চালু হতে এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের অভ্যন্তরে ও লাকসামে চলাচলরত তিনটি ডেমু ট্রেন চালুর পর থেকে কম যাত্রীর কারণে প্রতিদিন বিপুল লোকসান গুনতে হচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। ট্রেনগুলোর মধ্যে দুইটি চলছে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেলপথে, আরেকটি চট্টগ্রাম-লাকসাম রেলপথে। যাত্রী কম থাকায় দুবছর আগে নগরীর জানালিহাট স্টেশন হয়ে ফৌজদারহাটগামী সার্কুলার ডেমু ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, ডেমু ট্রেনগুলোর চলাচল শিডিউল এবং রুট নির্বাচন করতে ভুল করায় লোকসান গুণতে হচ্ছে। যাত্রীর অনুপাতে পরিচালনা খাতে ব্যয় হচ্ছে অন্তত ৬ গুণ বেশি। প্রতি মাসে পরিচালনা খাতে গচ্চার পরিমাণ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়।