পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফার্মাকোলজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। পবিপ্রবির নবম উপাচার্য হলেন তিনি।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতির আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোখসানা বেগমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছি। খুব দ্রুতই যোগদান করব।’
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২২ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা নতুন উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তাদের সঙ্গে যুক্ত হন।
পবিপ্রবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. আমিনুল ইসলাম টিটো বলেন, ‘বুধবার সকালে আন্দোলনরত অবস্থায় সিনিয়র শিক্ষক ও রেজিস্ট্রারের অনুরোধে আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে পবিপ্রবির বাহিরে নতুন ভিসি নিয়োগকে সমর্থন দিয়ে ক্যাম্পাসে বরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ১৯৮৮ সালে বরিশাল ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৯০ সালে বরিশাল সরকারি বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিভিএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাকোলজি বিষয়ে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
অধ্যাপক রফিক জাপানের বিখ্যাত কাগওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ২০১২ সালে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও নিউরোলজি এবং ২০১৪ সালে ফার্মাকোলজিতে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০২ সালের ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালের ২৪ মার্চ সহযোগী অধ্যাপক ও ২০১৬ সালের ৭ জুলাই অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান ড. কাজী রফিক।
অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের শতাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। আন্দোলনেও যোগদান করতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি, জাপানি, আরবি ও জার্মান ভাষায় পারদর্শিতা রয়েছে তার।
অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ১৯৯৯ সালে আউটস্ট্যান্ডিং রেজাল্টের জন্য বাকৃবি থেকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল, ২০০৮ সালে জাপানের ২য় কাগওয়া বিশ্ববিদ্যালয় চিয়াংমাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়েন্ট আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে বেস্ট সাইন্টিফিক পোস্টার অ্যাওয়ার্ডসহ শতাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।