বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছানকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিকাওয়া ইয়োকোর চিঠি হস্তান্তর করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের অমূল্য অবদান রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপানের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং এ দেশের উন্নয়নে তা অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুই দেশের পারস্পরিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে জাপানের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা জানান, তার দেশের সহায়তায় নির্মীয়মাণ মাতারবাড়ি পাওয়ার স্টেশনের প্রথম প্ল্যান্ট নির্মিত হয়েছে, দ্বিতীয় প্ল্যান্ট চলতি বছরেই শেষ হবে। চট্টগ্রাম থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত সড়ক প্রকল্পও যথাসময়ে শেষ হবে।
জাপানের সঙ্গে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিটি বাংলাদেশ দ্রুত সম্পন্নে আগ্রহী জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান রাষ্ট্রদূতকে বলেন, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প নগরসহ একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
তিনি নব্বইয়ের দশকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ নির্মাণে জাপানের সহায়তার কথা উল্লেখ করেন এবং টার্মিনাল-২ নির্মাণেও জাপানকে আহ্বান জানান।
বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আমরা জাপানের অব্যাহত সহায়তা কামনা করি এবং রোহিঙ্গাদের জন্য যেখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা অনেক কমেছে সেখানে জাপানের অব্যাহত সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ