পুঁজিবাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ।
মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এক বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে একথা বলা হয়েছে।
তারা বলেছে, ফ্লোর প্রাইসের বাধা তুলে নেওয়ায় শেয়ারের মূল্য সমন্বয় হচ্ছে এটাই স্বাভাবিক।
দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় খুব শিগগিরই বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আভাস দিয়েছেন ব্রোকার প্রতিনিধিরা।
প্রতিনিধিরা শেয়ারবাজারের ভবিষ্যতের স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য কিছু পয়েন্ট উত্থাপন করেছেন। এসব উদ্যোগ বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং বাজার দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল ও টেকসই হবে।
এগুলো হলো- শেয়ারের দামের ওপর নতুন করে ফ্লোর আরোপ করা হতে পারে বলে বাজারে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ফ্লোর প্রাইসের পুনরাবৃত্তি হবে বলে মনে করে না ডিবিএ।
বর্তমান মুনাফা বিধিমালা-১৯৯৯ এর আধুনিকায়ন ও সংস্কার প্রয়োজন। ভালো কোম্পানিগুলোকে আইপিও মার্কেটে তালিকাভুক্ত করতে হবে। কোম্পানি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সব আইন ও বিধিবিধানের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ওপর জোর দিতে হবে। লভ্যাংশের পরিবর্তে কোম্পানির মূলধন আকারের ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা যৌক্তিক। সাধারণ শেয়ারহোল্ডার ও স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারদের না জানিয়ে অন্য কোনোভাবে কোনো কোম্পানির শেয়ার বাড়ানো উচিত নয়।
আর দ্বৈত করের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অবিলম্বে সমাধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথমবারের মতো তালিকাভুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশি বন্ড
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম। সভায় ডিএসইর পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি রোজারিও, ডিবিএর সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী, বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সিইও মোস্তফা জামানুল বাহার উপস্থিত ছিলেন।
বড় পতনের মুখে ঢাকার শেয়ারবাজার
নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ডিএসই) সূচক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করলেও মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকের বড় পতন হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে পাঁচ হাজার ৮১৪ পয়েন্টে লেনদেন শেষ হয়।
এ নিয়ে টানা অষ্টম দিনের মতো বাজার পতন হওয়ায় ডিএসইএক্স ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
একদিন আগে ৪৮৬ কোটি টাকা থেকে লেনদেন কমে ৪৬৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ৩১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির শেয়ার।
আরও পড়ুন: আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত: এটিএম তারিকুজ্জামান