বহুমুখী পাটপণ্যের প্রসার বাড়াতে আরও বেশি হারে দেশে ও বিদেশে পাটপণ্যের প্রদর্শনী করার নির্দেশ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
তিনি বলেন,সে দিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন সরকারের সফল উদ্যোগের ফলে বহুমুখী পাটপণ্য সবার হাতে হাতে পৌঁছাতে পারবো।
রবিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় পাট দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে বহুমুখী বিক্রয় ও প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ,জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহমুদ হোসেনেসহ অন্যান্যরা।
১২ থেকে ১৬ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। এবার মেলায় ৭২টি উদ্যেক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা বহুমুখী পাটপণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তাগণ ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। প্রদর্শনী পাটের প্রায় সব পণ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাটখাতের উন্নয়ন,আধুনিকায়ন ও রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে: পাটমন্ত্রী
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যত পারেন, পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি এখাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রপ্তানি করতে উৎসাহী হবে।
মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের আরও উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। সরকার উদ্যোক্তা তৈরি করতে আগ্রহী। কারণ উদ্যোক্তা ছাড়া দেশের কোনও ভবিষ্যত নেই।
পাটপণ্যের উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোয় আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। এছাড়াও পণ্য বহুমুখীকরণের পাশাপাশি পাটপণ্যের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জাড়ি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে এবং পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে।
সে লক্ষ্যে পাটখাতের অংশীজনসহ বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ও পাটসমৃদ্ধ ফরিদপুর জেলায় পাট ও পাটজাতপণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিজেএমসি'র সকল বন্ধ মিলগুলো চালু করা হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী