প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়াও আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে হিসাব খোলার ফরমসহ বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ নির্দেশনা জারি করে সব ব্যাংককে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
নির্দেশনায় বলা হয়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২৩ (১) (গ) ধারা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি ও তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে যেকোনো লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করতে হবে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি উল্লেখ করেন। দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে একজন সাবেক কর্মীর সম্পদের কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে আমার বাসায় পিয়নের কাজ করত, এখন তার সম্পদের পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা। হেলিকপ্টার ছাড়া সে ভ্রমণ করতে পারে না। আসল প্রশ্ন হলো কীভাবে সে এত টাকা উপার্জন করলো। জানতে পারার পর ব্যবস্থা নিয়েছি।’
জাহাঙ্গীর আলম পরপর দুই মেয়াদে এবং গত মেয়াদে আংশিক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নানা অভিযোগে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হলেও নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী দাবি করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে থাকেন।
এসব কর্মকাণ্ডের আলোকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জাহাঙ্গীরের বিষয়ে একটি বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নোটিশে স্পষ্টভাবে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের নাহারখিল গ্রামে। এর আগে তিনি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।