এতে করে বৃদ্ধ বয়সে শিক্ষকরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগ ভূক্তভোগী শিক্ষকদের ।
২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি করণের সময় অনেক শিক্ষকের বয়স ৫০ পেরিয়ে গেছে। ফলে তারা সার্টিফিকেট ইন-এডুকেশন (সি ইন এড) প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারেনি। তাই এখন দূর্ভোগে পড়েছেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম সিরাজী জানান, ‘প্রশিক্ষণ না থাকায় অবসর গ্রহণের পর পেনশনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি।’
তিনি আরও জানান, ১৯৭৪ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সি ইন এড প্রশিক্ষণ না থাকা সত্বেও ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের এক নির্দেশে তাদেরকেও পেনশন ও গ্র্যাচুইটি প্রদান করা হয়। কিন্তু তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষক জানান, মানবিক কারণে শিক্ষকদের পেনশন ও যাবতীয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করলেও এখনও পর্যন্ত কোন ফল পাননি শিক্ষকরা।
এব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক জানান, ‘এসব শিক্ষকদের সি ইন এড প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট ও এইচএসসি সার্টিফিকেট নেই, তাই তারা পেনশন পাচ্ছেন না ‘।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকগণ গ্র্যাচুইটি পাচ্ছেন। সরকার তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তারা পেনশনও পাবেন।’