শিক্ষক
মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকার, শিক্ষকের যাবজ্জীবন
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে আব্দুর রহিম কালু নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নারী শিশু আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘২০২১ সালের ১৮ মে বড়াইগ্রাম উপজেলার তালসো গ্রামের আল জামিয়া মাদরাসার শিক্ষক কালু ওই ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে স্থানীয় একটি ভবনের ছাদে নিয়ে বলাৎকার করে বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে নারীকে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা আব্দুস সামাদ বাদি হয়ে মামলা করলে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আজ (বুধবার) এ রায় দেন।
এছাড়া ওই শিক্ষককে জরিমানা করা ৫০ হাজার টাকা ভিকটিম ছাত্রকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৩২ দিন আগে
শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের ভাতা
এমপিওভুক্ত (বেসরকারি) শিক্ষকদের জন্য সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। শিক্ষকদের উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে বিদায় এবং সিআর আবরারের যোগদান উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে আশ্বাস দিয়েছিলাম যে, সাধ্যমত এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটে যতটুকু অর্থ সংকুলন করা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে আমরা যতদূর পারি চেষ্টা করব দাবিগুলো মেটাতে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা দেশেই নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে: সিআর আবরার
উপদেষ্টা বলেন, ‘কিন্তু, ১৫/২০ বছরের বঞ্চনা ১/২ বছরের বাজেট দিয়ে তো মেটানো যায় না। এটা বোঝানো খুব কঠিন। আজকেই বেসরকারি বেতন সরকারি বেতনের সমান করে দিতে হবে- এটা ন্যায্য দাবি বুঝলাম, কিন্তু এক বছরের বাজেট দিয়ে কিভাবে ১৫ বছরের বৈষম্য ঠিক করা যায়? কিন্তু শুরুটা করা দরকার। সেই শুরুটা আমরা করে দিয়ে যাচ্ছি।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘তাদের (এমপিওভুক্ত শিক্ষক) উৎসব ভাতা, বিনোদন ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা—এ বছরের ঈদুল আজহা থেকে শুরু করে আগামী বছরের বাজেট থেকে অন্তত কিছু বাড়াতে পারবো, এখানেও আমি ঘোষণা দিচ্ছি না কত বাড়াবো—আমি জানি সেটুকু বাজেটের মধ্যে এ বছর এবং আগামী বছরের বাজেটের মধ্যে প্রভিশন রাখা হচ্ছে।’
শিক্ষকদের অবসর এবং কল্যাণ ভাতার জন্য একটা তহবিল তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে বিদায়ী উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বছরই কিছুটা তৈরি করা হয়েছে। আগামী বাজেটে আরও রাখা হবে। তবে পুরো ফান্ডটাকে টেকসই করতে হলে ১/২ বাজেটে হবে না, ভবিষ্যতে ৩/৪ বাজেটে আশা করি এটার সমাধান হয়ে যাবে।’
‘অবসর এবং কল্যাণ ফান্ডে টাকা এমন একটা ব্যাংকে ইচ্ছা করে রাখা হয়েছিল যে, ব্যাংকটাকে আর টাকা পয়সা নাই। কিছু ফান্ড এমনিতেই চলে গেছে অন্য জায়গায়।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কল্যাণ ভাতা এবং অবসর ভাতা- এটা হল তাদের সবচেয়ে ন্যায্য দাবি। কিন্তু তারা তো সংঘবদ্ধ না। তারা রাস্তাতেও কোনোদিন নামেনি। কিন্তু আমি তো মনে করেছিলাম তাদের ওই দাবিটাই সবচেয়ে আগে মেটানো উচিত।’
৩৯ দিন আগে
অধ্যক্ষ নিয়োগে জটিলতায় কলেজের বেতন বন্ধ, বিপদে শিক্ষক-কর্মচারীরা
অধ্যক্ষ নিয়োগের জটিলতার কারণে প্রায় দুই মাস ধরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া সরকারি কলেজের বেতন বন্ধ রয়েছে। বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিচন নিয়ে কলেজের ৫২ শিক্ষক, ৮ অফিস স্টাফ ও ১৮ জন মাস্টার রোলের কর্মচারী পড়েছেন বিপদে।
এ অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম, বিরূপ প্রভাব পড়ছে সেখানে ভর্তি প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থীর ওপরও।
২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কলেজের অধ্যক্ষের পদটি শূন্য হলে সাময়িকভাবে রুটিনমাফিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মালেক। তবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অধ্যক্ষের পদে ৭ জন প্রার্থী থাকলেও এখনও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কোনো স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়নি।
আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্য পদটি পূরণ হোক। কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
এ সময় কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক স্বপন কুমার বনিক, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মো. শওকত আলী, শরীরচর্চা শিক্ষক মো. আব্দুল হাই, সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক পলাশ রঞ্জন কর, অর্থনীতির প্রভাষক মো. মোতাসিম বিল্লাহসহ অনেকেই তাদের অসুবিধার কথা জানান।
প্রধান অফিস সহকারী এনামুল হক বলেন, ‘বেতন বন্ধ থাকায় আমরা খুবই অসুবিধায় আছি। দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: দশম গ্রেডের বেতন স্কেল দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের
ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘দুই মাস বেতন বন্ধ। গত মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা ঋণ করতে হয়েছে। রমজান ও ঈদ কীভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান আহম্মদ আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, ‘শিক্ষকতা মহান পেশা হলেও বেতন বন্ধ থাকায় আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ফর্ম পূরণ ও ভর্তির টাকা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই শূন্য পদটি দ্রুত পূরণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এটি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিষয়। আশা করছি, খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৪০ দিন আগে
রাবির দুই শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিভিন্ন ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদারের পাঠানো পৃথক তিনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত দুই শিক্ষককে চূড়ান্ত শাস্তি দিতে কমিটি গঠন হয়েছে। এছাড়া সাবেক এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বহাল, এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার ও তিন শিক্ষককে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল রাখা হয়েছে।
এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর আইনের ৫৫ (৩) ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত শাস্তি দিতে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের স্নাতকোত্তরের নিবন্ধন বাতিলের মাধ্যমে ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে তার ছাত্রত্ব পুনর্বহাল ও তার পরীক্ষার অপ্রকাশিত ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ৪৬১তম সভায় রফিকুলের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত এনবিআর কমিশনার মাহবুবুর
জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকারের প্রসঙ্গে ৪৬১তম সিন্ডিকেট সভার ১৩৭ নম্বর সিদ্ধান্ত বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার কুটকৌশলের কারণে বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করেছেন প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হক, আলী আকবর ও আশরাফুজ্জামান খানকে আগামী পাঁচ বছর পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই সিদ্ধান্তে অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিন্ডিকেট তার প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়।
৫৫ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গার ১২১টি বিদ্যালয় বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মিলনমেলা
চুয়াডাঙ্গার ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রেখে মিলনমেলা ও বনভোজনের আয়োজন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন শিক্ষকরা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা কুতুবপুর ইউনিয়নের আক্কাছ লেক ভিউ পার্কে এই মিলনমেলা ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।
এতগুলো বিদ্যালয় বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মিলনমেলা ও বনভোজন আয়োজনে অভিভাবক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এখনও ঠিকমতো বই পায়নি। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটির পর সোমবার বিদ্যালয় বন্ধ রেখে মিলনমেলা ও বনভোজন করাটা শিক্ষকদের ঠিক হয়নি।
এদিকে, শিক্ষক সমিতির নেতারা জানান, তারা সংরক্ষিত ছুটি নিয়ে এই আয়োজন করেন। তবে আয়োজনের সময় ছুটি বাতিল করে বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এর পরই মিলনমেলা ও বনভোজন স্থগিত করে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে ফিরে যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত ছুটির জন্য আবেদন করা হয়। সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমাদের ছুটি মঞ্জুর করেন। এরপরই আমরা মিলনমেলা ও বনভোজনের আয়োজন করি।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল
তিনি বলেন, ‘আয়োজন চলাকালে হঠাৎ আমাদের জানানো হয়, ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এখনই স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এরপর দুপুর ২টার মধ্যে আমরা আবারও ক্লাসে ফিরি।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসার লাইলা তাসলিমা নাসরিনকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে এক দিনের মধ্যে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে লাইলা তাসলিমা নাসরিন বলেন, ‘শিক্ষকরা বছরে তিন দিন সংরক্ষিত ছুটি নিতে পারেন। সেই ছুটির আবেদন মঞ্জুর করেই এই আয়োজন। এছাড়া আয়োজনের সময়ে ছুটি বাতিল করায় শিক্ষকরা ফিরে ক্লাস শুরু করেন।’
৬১ দিন আগে
জুতা না পরে স্কুলে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের পিটুনিতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে
নড়াইলে জুতা না পরে স্কুলে যাওয়ায় হাবিবা খান মিষ্টি নামের এক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় মাঠে খোলা মঞ্চে অসংখ্য শিক্ষার্থীর সামনে পিটিয়েছেন প্রধান শিক্ষক এস এম মুরাদুজ্জামান। শুধু তা-ই নয়, প্রধান শিক্ষকের পিটুনিতে অসুস্থ হয়ে পরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে মেয়েটিকে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের মাঠে খোলা মঞ্চের ওপর তাকে পেটান প্রধান শিক্ষক মুরাদুজ্জামান।
হাবিবা কাশিপুর ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামের মনিরুজ্জামানের মেয়ে এবং ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ ভূইয়ার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন হাবিবার বাবা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (মঙ্গলবার) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে খোলা মঞ্চের ওপর ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে হাবিবাকে বেত দিয়ে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে আহত করেন প্রধান শিক্ষক এস এম মুরাদুজ্জামান। পরে হাবিবার জ্বর এলে তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: অপহরণের ৪ ঘণ্টা পর কুবি শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ১
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান খান বলেন, ‘আমার মেয়ে রোজা রাখায় শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করছিল। তাই সে পায়ে জুতা না পরে স্কুলে চলে যায়। এ কারণে প্রধান শিক্ষক সব ছেলেমেয়ের সামনে তাকে নির্দয়ভাবে মারধর করে।’
তিনি বলেন, ‘সামান্য বিষয় নিয়ে কেন এমন নির্দয়ভাবে আমার মেয়েকে মারধর করা হলো? আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’
প্রধান শিক্ষক এস এম মুরাদুজ্জামান বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের একেবারে ছেড়ে দিলে হয় না, একটু শাসন করতে হয়। শাসন করতে গিয়েই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটেছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ ভূইয়া বলেন, ‘এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে যদি সতত্যা পাওয়া যায়, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৬৭ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় শিক্ষকসহ নিহত ২
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বাসচাপায় স্কুলের শিক্ষকসহ এক অটোভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত আরও তিনজন।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে বগুড়া-নগড়বাড়ি মহাসড়কের চান্দাইকোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা হাই স্কুলের শিক্ষক রহিজুল ইসলাম ও বগুড়ার শেরপুরের ধনকুন্ঠি গ্রামের অটোভ্যানচালক সাহেব আলী।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, অটোভ্যানে আত্মীয়ের জানাযায় যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার চার যাত্রী আহত হয়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে মাইক্রোবাসচাপায় নারী নিহত, চালক আটক
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় ২ জন মারা যান।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
৭৬ দিন আগে
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান চরমোনাই পীরের
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান নেওয়া ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপরে অমানসিক হামলা-নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশ ও জাতি গড়ার কারিগর অধিকার বঞ্চিত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপরে পুলিশি হামলা, নির্যাতনের ঘটনা অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
রেজাউল করীম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে যাওয়ার পরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গতকাল যেভাবে নারী শিক্ষক ও বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের ওপর হামলে পড়ে নির্যাতন চালিয়েছে, তা দেশবাসীকে হতবাক করেছে। একটি সভ্য দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এমনভাবে হামলা ও নির্যাতন করতে পারে না।
আরও পড়ুন: এনজিওর মতো নয়, শাসকের ভূমিকায় দেশ চালাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে চরমোনাই পীর
তিনি বলেন, ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে এই জুলুমের সঙ্গে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আগামী দিনে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে; সেজন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
চরমোনাই পীর বলেন, ৪০ বছর ধরে অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন মাদ্রাসার শিক্ষকেরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা পেশায় মানবেতর জীবন যাপন করার পরেও তাদের যৌক্তিক সমস্যা সমাধান না করা দুঃখজনক। অতীতের সরকার এগুলো সমাধান না করে আকুণ্ঠ দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছে।
এসব শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৭৬ দিন আগে
শিশুকে পুকুরে ফেলে দেওয়া সেই শিক্ষক কারাগারে
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বালু নিয়ে খেলা করায় মিফতাহুল মাওয়া নামের চার বছরের এক শিশুকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে শাহজাহান ফজলুর নামের এক শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুল ইসলামের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কুমিল্লা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মুজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৬ জানুয়ারি বিকালে ওই ঘটনা ঘটে। সেদিন বুড়িচং সদর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া মঞ্জুর আলী সর্দার বাড়িতে সড়কের পাশে থাকা বালু নিয়ে খেলছিল শিশুটি। এ সময় বিষয়টি তার সামনে পড়ায় রেগে তাকে পাশের পুকুরে ছুড়ে ফেলেন।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেদিন রাতেই আহত শিশুর মা সামছুন নাহার তানিয়া বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি মামলা করেন। তারপর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন শাহজাহান ফজলুর রহমান।
তবে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর আজ (মঙ্গলবার) আদালতে তুললে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান বিচারক।
শাহজাহান ফজলুর রহমান মেমোরিয়েল কলেজ অব টেকনোলজির শিক্ষক। আর আহত শিশু মাওয়া পূর্বপাড়া মঞ্জুর আলী সর্দার বাড়ির সৌদিপ্রবাসী নজির আহমেদের মেয়ে।
৮২ দিন আগে
প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি শুরু ২০ জানুয়ারি, যেভাবে চলবে প্রক্রিয়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একই উপজেলা বা থানার ভেতরে অনলাইন বদলি কার্যক্রম শুরু হতে চলেছে। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এ বদলি চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, বদলির জন্য শিক্ষকদের অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ২৫ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকের আবেদন যাচাই করা হবে। ২৬ থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার যাচাই সম্পন্ন করবেন এবং আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে যাচাই ও অগ্রায়ন সম্পন্ন করা হবে। এরপর ৪ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সহকারী শিক্ষকের আবেদন যাচাই ও অনুমোদন সম্পন্ন করবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
বদলির শর্তের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ ৩টি বিদ্যালয় নির্বাচন করবেন। কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধুমাত্র এক বা দুটি বিদ্যালয়ও পছন্দ করতে পারবেন। তবে আবেদনের পর বদলির আদেশ জারি হয়ে গেলে তা বাতিল করতে পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
যাচাইকারী কর্মকর্তারা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর জারি করা সর্বশেষ ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা, ২০২৩’ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করে অগ্রায়ণ করবেন।
যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ যাচাইয়ের পর কাগজপত্র পাঠিয়ে দিলে তা পুনর্বিবেচনা করার আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুসারেই যে বদলি হবে, সেই নিশ্চয়তা নেই বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, একাধিক আবেদনকারী যদি একই বিদ্যালয় নির্বাচন করে থাকেন, সেক্ষেত্রে সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। এক্ষেত্রে কোনোরকম ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।
৮৭ দিন আগে