বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে তার মরদেহ প্রথম আলো কার্যালয়ে নেয়া হয়।
মিজানুর রহমান খানকে জোহর নামাজের পর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে তার প্রথম নামাজে জানাজা সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম, বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী, বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজাসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।
জানাজা শেষে মিজানুর রহমান রহমান খানের মরদেহে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও ল রিপোর্টার্স ফোরামের পক্ষ থেকে সংগঠনটির সভাপতি মাসহুদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান (৫৩) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন।
মিজানুর রহমান খান গত ২৭ নভেম্বর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। প্রথমে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন। সেখান থেকে গত ১০ ডিসেম্বর তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রেখে চিকিৎসার একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বরিশালের বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী মিজানুর রহমান খান সর্বশেষ প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। 'সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক', '১৯৭১: আমেরিকার গোপন দলিল' প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলীর অন্যতম।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: বিশ্বে আক্রান্ত ৯ কোটি ৮ লাখ ছাড়াল
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশে কোভিড টিকা দেয়া শুরু হবে: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়