আরও পড়ুন: ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
তারা অবিলম্বে দাবি পূরণ না হলে ‘কঠোর আন্দোলনের’ হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জোটের নেতা-কর্মীরা।
জোটের সহ-সভাপতি আবু তাহের জিহাদী আল কাশেমী বলেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে এ দেশ থেকে বের করে দেন। আল্লাহর নবীকে কটূক্তি করে এ দেশে কেউ থাকতে পারবেন না।
জোটের মহাসচিব জাফরুল্লাহ খান বলেন, রাশিয়া যেভাবে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে গেছে আগামী দিনে ফ্রান্সও সেভাবে খণ্ড হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘তারা আল্লাহর রাসূলকে অবমাননা করেছে। আমরা সবাইকে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনের জন্য অনুরোধ করছি।’
বক্তারা ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানাতে সরকারের কাছে দাবি রাখেন এবং রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আহ্বান জানান।
চলতি মাসে ম্যাক্রোঁ ইসলামকে ‘সংকটাপন্ন ধর্ম’ হিসেবে মন্তব্য করেন এবং ফ্রান্সে ‘ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ’ দমন করতে ১৯০৫ সালের একটি আইনকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন বলে কাতার-ভিত্তিক আল জাজিরা জানিয়েছে।
ইসলামের নবীর কার্টুন প্রকাশের পক্ষ সমর্থন করে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যে মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে এবং কয়েক দিন ধরেই কিছু দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। কোনো কোনো দেশে ফরাসি পণ্য বর্জনেরও ডাক দেয়া হয়েছে।