ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুর গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান সোহেল রানা। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ক্যাডার হওয়ার। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন সোহেল।
ইবি শিক্ষককে হত্যার হুমকির ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন
গোপীনাথপুর গ্রামে জিপিএ-৫ পাওয়া সর্বপ্রথম শিক্ষার্থী ছিলেন সোহেল। কিন্তু তার সকল সহপাঠীরা গ্রামের বাইরে লেখাপড়া করতে গেলেও পরিবারের আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় সোহেল গ্রামেই থেকে যান। পরে ভর্তি হন সরকারি লালন শাহ কলেজে। সেখান থেকেই ২০১৩ সালে ভালো ফলাফল করে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন সোহেল।
এরপর পরিবারের ইচ্ছায় ভর্তি হন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। টিউশনি করেই পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সোহেল। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষ শেষ হতে না হতেই তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ২০১৬ সালে ধরা পড়ে তার কিডনি জটিলতা।
দুটি কিডনি হারিয়ে সোহেল রানা এখন মৃত্যুপথযাত্রী। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসা চালিয়ে আসা সোহেলের পরিবারও এখন সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব প্রায়। ছেলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে পথে বসার উপক্রম সোহেলের দরিদ্র বাবার।
তবে আশার কথা হলো, কিডনি দিয়ে সোহেলকে বাচাঁতে এগিয়ে এসেছেন একজন পরোপকারি মানুষ। ডোনারের সাথে তার কিডনি ম্যাচিং হওয়ায় অতি দ্রুত ভারতে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে চান সোহেল।
গলায় ফাঁস দিয়ে ইবি ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
এ জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন জানিয়ে সোহেল বলেন, ‘আমি নিম্নবিত্ত সাধারণ একটি পরিবারের ছেলে। আমার বাবা একজন কৃষক এবং বিলে মাছ ধরে সংসার চালান। সকলের সাহায্য-সহযোগিতায় আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে আরও কিছুদিন বাঁচতে চাই। ২০ লাখ টাকা জোগাড় করা আমার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমার অনুরোধ, আমাকে বেঁচে থাকতে সহযোগিতা করুন।’
সোহেলের সাথে যোগাযোগ করতে ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে নিম্নোক্ত নম্বরগুলো দেয়া হলো-
মোবা: ০১৭৪৩৭০০৫৪৭ (সোহেল রানা)
সহযোগিতার হাত বাড়াতেঃ
০১৭৪৩৭০০৫৪৭ (বিকাশ)
০১৭৪৩৭০০৫৪৭৮ (রকেট)
০১৯১৫৫১৯৪৮৭ (নগদ)
ডাচ-বাংলা: ৭০১৭০১৫৪৮৫৪৯৫ (এজেন্ট ব্যাংকিং)।
সোনালী ব্যাংক: ২৪০৫৯০১০১২৯৩২ হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ।
আরও পড়ুন: সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্তে ইবি শিক্ষকদের অসন্তোষ