মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীকে জবাবদিহি করতে হবে বলে পুনর্ব্যক্ত করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘বিস্তৃতভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নীতিকে সমর্থন করে, তবে আমি' এখানে কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দল বনাম অন্য রাজনৈতিক প্রার্থীকে সমর্থন করতে আসিনি।’
ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্যাটেল বলেন, ‘এটি আমাদের অনেক আশা যে বাংলাদেশ সরকার এই নিবন্ধ এবং ভিডিওর বিষয়বস্তু (র্যাবের উপর ডয়চে ভেলের ডকুমেন্টারি) খতিয়ে দেখবে।’
তিনি বলেন, তাদের মূল্যায়ন অনুসারে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য ‘বিশ্বের অন্যতম কঠোর আইন’।
প্যাটেল বলেন, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ১৬২ নম্বরে স্থান দিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ স্থান কমেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই আইন সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগগুলোকে বেশ স্পষ্ট করে দিয়েছি। একটি মুক্ত সংবাদপত্র এবং একজন সচেতন নাগরিক যে কোনও জাতি এবং এর গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু দেশ: মোমেন
মঙ্গলবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ব্রিফিংয়ের সর্বশেষ অবস্থান তুলে ধরেছে।
প্যাটেল বলেছে যে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় এবং অপেক্ষা করছে।
সে কারণেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আবারও সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে মোমেনের ফলপ্রসূ বৈঠক