ঢাকায় মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের(এমএফসি) সদস্য দেশগুলোর কূটনীতিকরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে একত্রিত হয়েছিলেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, উপস্থিতরা অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর ‘সেন্সরিং’ এবং সাংবাদিকদের ‘হয়রানি ও ভয় দেখানোর’ সাম্প্রতিক ঘটনাসহ বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কিত বর্তমান গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ এবং উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এমএফসি সদস্য দেশ কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতে অংশ নেয়।
মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লাফেভ এমএফসি-এর কূটনৈতিক নেটওয়ার্ক উদ্যোগ চালু এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় তাদের সমর্থনের জন্য উপস্থিত প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান।
সুশীল সমাজের সদস্য ও সাংবাদিকরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কিত তাদের কাজের বর্ণনা দেন।
উপস্থিতরা বর্তমান মিডিয়া পর্যবেক্ষণ এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের সেন্সরিং এবং সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভয় দেখানোর সাম্প্রতিক ঘটনাসহ বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কিত উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।
এমএফসি বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সমর্থনে মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকার এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন হলো একটি মিশ্র-আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব যা অনলাইন এবং অফলাইনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে একসঙ্গে কাজ করে।
এমএফসি সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তাকে সমর্থন করে এবং যারা সাংবাদিকদের ক্ষতি করে এবং তাদের কাজ করা থেকে কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করে তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চায়।
ডিপ্লোম্যাটিক নেটওয়ার্ক ইনিশিয়েটিভ সারা বিশ্বের সদস্যদের নিয়ে গঠিত। এমএফসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কূটনৈতিক মিশনগুলো যে সমস্ত দেশে রয়েছে সেখানে মিডিয়া স্বাধীনতা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম এবং মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষা ও অগ্রসর করার জন্য বিভিন্ন সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম।
এমএফসি ২০১৯ সালের জুলাইয়ে গ্লোবাল কনফারেন্স ফর মিডিয়া ফ্রিডম -এ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা বর্তমানে ছয়টি মহাদেশের ৫০টিরও বেশি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ে মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে দৃক