তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল শেরাটনের গ্র্যান্ড বলরুমে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের অনারারি কনসাল ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী ও দুই দেশের বন্ধুসুলভ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উষ্ণ পরিবেশে আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল তিমুর-লেস্তের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রাম, দৃঢ়তা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন।
তিমুর-লেস্তে সরকারের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা—অ্যাম্বাসেডর জর্জে কেমোয়েন্স, মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়, এবং ইমানুয়েল টিলম্যান, পরিচালক, পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়—অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তারা বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুশাসন ও কূটনৈতিক সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের অনারারি কনসাল ও এনভয় লেগেসি এবং শেল্টেক গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের সম্পর্ক আরও গভীর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি শুধু উৎসব নয়; বরং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করার একটি মাধ্যম। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তিমুর-লেস্তের আসিয়ানের ১১তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক যোগদান দুই দেশের জন্য নতুন সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
সংবর্ধনা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। দুই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতিফলনই আয়োজিত সন্ধ্যার মূল বার্তা ছিল।