প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে বাংলাদেশের বিশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে তার সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফর সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে এ সফরটি সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফরের ফলাফল জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
৬ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
দু'দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ২৪ এপ্রিল দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড যান।
শেখ হাসিনা বলেন, থাইল্যান্ডে তার সরকারি সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।’
আরও পড়ুন: বিলাসিতায় খরচ কমিয়ে শ্রমিকদের বেশি বেতন দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সরকারি সফর অত্যন্ত তাৎর্পযর্পূণ।
তিনি বলেন, ‘সফরে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ এর প্রার্থীতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনা থাইল্যান্ডকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে এবং আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় সহায়তা করবে মর্মে আমি আশাবাদী।’
আরও পড়ুন: সরকারের পদক্ষেপে বেকারত্ব ৩ শতাংশে নেমে এসেছে: প্রধানমন্ত্রী