জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস (ইউএনওপিএস) এর নির্বাহী পরিচালক জর্জ মোরেরা দা সিলভা শনিবার (২৮ অক্টোবর) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজিজেস অব দ্য চেস্ট অ্যান্ড হাসপাতাল (এনআইডিসিএইচ) পরিদর্শন করেছেন।
এটি বাংলাদেশের ২৯টি হাসপাতালের মধ্যে একটি, যেখানে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির (এনএমইপি) মতো অংশীদারদের সঙ্গে এবং গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে সমর্থন করার জন্য অক্সিজেন প্ল্যান্ট সুবিধা নির্মাণ করছে ইউএনওপিএস।
এনআইডিসিএইচসহ এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সারা বাংলাদেশে কৌশলগতভাবে পার্টনার হাসপাতাল নির্বাচন করা হয়েছিল। যাতে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা পরিষেবা নিশ্চিত করা যায়।
অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে ইউএনওপিএস অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সরবরাহ সংগ্রহে সহায়তা করেছে এবং অক্সিজেন থেরাপি ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত করেছে।
তাই বাংলাদেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাগুলোকে কোভিড-১৯ মহামারির মতো জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে গুরুতর চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য শক্তিশালী করা হয়েছে।
এই কাজের অগ্রগতির বিষয়ে মোরেরা দা সিলভা বলেন, ‘সকলকে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য এনআইডিসিএইচ কর্মীদের আত্মোৎসর্গ অনুপ্রেরণাদায়ক। অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণসহ তার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ইউএনওপিএস বাংলাদেশকে সমর্থন করতে পেরে গর্বিত।’
এনআইডিসিএইচ-এর পরিচালক ডা. মো. খায়রুল আনাম বলেছেন, ‘আমাদের এবং সারাদেশের অন্যান্য হাসপাতালে অক্সিজেন থেরাপির ক্ষমতা সম্প্রসারণ কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গেম-চেঞ্জার হয়েছে।’
নির্বাহী পরিচালক ইউএনওপিএস ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন অংশীদার ও জাতিসংঘের সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ইউএনওপিএসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশে এটিই তার প্রথম সফর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি ‘শক্তিশালী অংশীদারিত্বের’ মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ তারা।
নির্বাহী পরিচালক জানান, তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং জনগণের জন্য একটি টেকসই, স্থিতিস্থাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের ‘প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তির’ প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।