২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের জন্য ৩ বছরের লক-ইন মেয়াদ প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে, সংসদে অর্থবিল পাস করার সময় তা কমিয়ে এক বছরে আনা হয়েছে।
কুপন বন্ডের উপর আরোপিত কর কমিয়ে আগের অবস্থানে অর্থাৎ শূন্যতে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
অর্থবিলে বিআরটিএ ফি ও চার্জে ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দেয়া থেকেও ছাড় দেয়া হয়েছে থ্রি হুইলারকে।
এতে ভ্যাট কর্মকর্তাদের দ্বারা আরোপিত আবেদন দায়েরের ২০ শতাংশ বিতর্কিত ভ্যাট জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার জন্য কোনও আমানতের প্রয়োজন হবে না। যা আগে আপিল দায়ের করার জন্য ১০ শতাংশ এবং ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার জন্য আরও ১০ শতাংশ ছিল।
অর্থমন্ত্রী বিলটি সংসদে স্থানান্তর করেছেন্।
অর্থমন্ত্রী তার সমাপনী বক্তৃতায় চলমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বাজেট বাস্তবায়নের বিষয়ে উচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৫ শতাংশ হবে বলে প্রত্যাশা করেছে যা আমাদের প্রাক্কলিত ৮.২ শতাংশের কাছাকাছি। ইনশাল্লাহ আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবো, এ বাজেট বাস্তবায়নে আমাদের দেশের মানুষও এগিয়ে আসবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ মহামারি চলাকালীন দেশের মানুষ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার জনগণকে বাঁচাতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে চায়।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন স্তরের রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ বাজেটে সরকার স্বাস্থ্য খাতে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে এবং এ খাতে ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাজেট তৈরির শুরুতে প্রধানমন্ত্রী তাকে দেশের শেকড়কে অগ্রাধিকার দিতে বলেছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শেকড় হলো কৃষিকাজ, গ্রামীণ অর্থনীতি, এজন্য আমরা কৃষি খাতকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়েছি। এ খাতে আমাদের ৪০ শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
দেশের অগ্রগতিতে কৃষি খাত অনন্য বলে বিশ্বাস করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।