পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে অস্থিরতায় রেগুলেটরদের দুষলেন অর্থ উপদেষ্টা
দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতার জন্য বড় খেলোয়াড় ও রেগুলেটরদের দায়ী করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘এজন্য বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। এর পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরের অনেক দোষ আছে। এ বিষয়টি প্রচার করা দরকার। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি।’
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ এর ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আর্থিক খাতের সঠিক তথ্য তুলে ধরাই ব্যাংকিং অ্যালমানাকের মূল উদ্দেশ্য। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক ও অন্যান্য খাতের পরিসংখ্যান নিয়ে নানা ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে। এতে তথ্য-উপাত্তের গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হয়। এছাড়া, যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা বা গবেষণার জন্য সঠিক তথ্য-উপাত্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) বলা হয়েছে, তথ্য যা আছে, তা-ই যেন প্রকাশ করা হয়। এখানে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।”
“আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারে অবস্থাও একই রকমের। পুঁজিবাজারের শেয়ার প্রাইস কমে যাচ্ছে বলেই ‘চেয়ারম্যানকে রিমুভ কর’ বলে মিছিল হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে অনড়; বলেছি, থাকো।”
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল প্রত্যাশা করছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। এগুলোর ন্যূনতম কোনো মূল্য নেই, কয়েকদিন পরই এগুলো ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু মূল্যায়ন হয় না। বিগত ১৫ বছরের তথ্য বিভ্রাট নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। মূল্যস্ফীতি, জিডিপি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে; আবার নীতিনির্ধারকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন। এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে।’
তথ্য বিভ্রাটের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটি দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’
‘আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করে। তারা বোঝাতে চান, আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি- আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি। যাতে ব্যবসায়ীরা এক স্থান থেকে সব তথ্য পায়। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে না। যদি আরও সুসংহতভাবে তথ্য ম্যানেজমেন্ট (ব্যবস্থাপনা) করতে না পারি তাহলে সামনে আরও সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের এই মিথ্যা তথ্যের প্রয়োজন নেই, কারণ প্রিয় মিথ্যা যন্ত্রণাদায়ক।’
১২ ঘণ্টা আগে
টানা চতুর্থ দিনেও পুঁজিবাজারের সূচকে পতন
বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও সূচকের পতন হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩২৬টি লেনদেনের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে। যা মঙ্গলবারের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা কমেছে। গতকাল মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ৩ দিনে ডিএসই সূচক কমেছে ১১২.৬৫ পয়েন্ট
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে মোট ৩৭৩টি কোম্পানি লেনদেন করেছে। এর মধ্যে ১৪০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮০টির শেয়ার। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র মনোভাবকেই তুলে ধরে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৮৩ দশমিক ০৭ পয়েন্টে স্থির হয়। এদিকে ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক শূন্য দশমিক ৭৯ পয়েন্ট সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। তবে ডিএস৩০ এর ব্লু-চিপ শেয়ারগুলোর সূচক ১১ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার প্রথম ঘণ্টায় ডিএসই সূচক ৬৪.৭৩ পয়েন্ট বেড়েছে
১ মাস আগে
বাংলাদেশে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় পুঁজিবাজারে তেজিভাব
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরে আসায় গত কয়েক সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় পুঁজিবাজারের লেনদেন হতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি বন্ধ হওয়া প্রান্তিকে অনুকূল আয়সহ শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কারণে পুঁজিবাজারের বেঞ্চমার্ক সূচক টানা তিন সপ্তাহ ধরে তার লাভের ধারা বাড়িয়েছে।
স্থিতিশীলতায় সামষ্টিক পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখিয়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এই সপ্তাহে ৮৯.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৫৫ স্তরে পৌঁছেছে।
বিস্তৃত সূচকে শতকরা পরিবর্তন ছিল ১.৭০ শতাংশ। বাজারের অংশগ্রহণ ছিল ৮.৫৫ শতাংশ। বাজারটিতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫৫৪ কোটি টাকা।
ক্রমবর্ধমান খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রতিক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক পণ্য আমদানি সহজীকরণ এবং প্রধান খাদ্য বরাদ্দ জোরদার করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলার মতো প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে অস্থায়ীভাবে ঋণপত্র (এলসি) মার্জিন সরিয়েছে। দাম স্থিতিশীল রাখতে রমজান পর্যন্ত পণ্য আমদানিকারকদের ২৫ শতাংশ একক ঋণগ্রহীতার আবেদনের সীমা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ব্যয়বহুল ও পরিবেশগতভাবে ক্ষতিকর এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আর ৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের এই প্রকল্পটি জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিও তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
এদিকে, নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর ওপর চাপ কমাতে জানুয়ারি মাস থেকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য বিক্রির পরিকল্পনা করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
উল্লেখযোগ্য রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংক্ষিপ্তভাবে ২০ বিলিয়ন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছিল। তবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে ১.৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পরে এই প্রান্তিকে রিজার্ভ কমে গেছে।
চলমান শ্রমিক অসন্তোষ সত্ত্বেও তৈরি পোশাক খাতের অক্টোবরের রপ্তানি আয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইতোমধ্যে সৌদি আরব বাংলাদেশি নার্স নিয়োগ শুরু করেছে। যা আরও দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানির দিকে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
তবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটি ছোট করেছে। পরিবর্তে কাজ শেষ করার জন্য সুস্পষ্ট সময়সীমাসহ কয়েকটি অগ্রাধিকারযুক্ত অঞ্চলের উপর মনোনিবেশ করেছে।
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার কঠোর মুদ্রানীতির প্রতিরক্ষা সত্ত্বেও ব্যবসাগুলো উচ্চ সুদের হারের সঙ্গে লড়ছে।
উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জন্য বৈদেশিক সহায়তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সরকারি সংস্থাগুলো সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থতার কারণে সরকার কাটছাঁটের কথা বিবেচনা করছে।
ব্যাংকিং খাতে একীভূতকরণ, অধিগ্রহণ ও পুনঃমূলধন সহজতর করতে 'ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট' নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্যাংকিং, রাজস্ব আয় ও পুঁজিবাজার সংস্কারে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
কৃষি উৎপাদনে সহায়তার জন্য সার আমদানিতে নগদ মার্জিন হার ন্যূনতম রাখতে ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এছাড়া, অর্থপ্রদানের ভারসাম্যে সাম্প্রতিক ব্যাঘাতের কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে বাজেট-সহায়ক ঋণ চাইছে। যাতে অর্থনীতির জন্য স্বাচ্ছন্দের সুযোগ তৈরি করা যায়।
গত তিন মাসে বাংলাদেশ প্রবাসীদের কাছ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির কথা জানিয়েছে। যার ফলে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ নেওয়া বেড়েছে।
অনলাইন কর পরিশোধেল জন্য নতুন ফি প্রবর্তন করা হয়েছে। যা কর প্রদাদের প্রক্রিয়াকে সহজ করবে।
জাপানের সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে এবং বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই ইতিবাচক অগ্রগতি সত্ত্বেও পোশাক খাতে দেরিতে মজুরি দেওয়ার কারণে শ্রমিক অসন্তোষ একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে।
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ৯০ দিনের ঋণে ১১টি পণ্য আমদানির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) উল্লেখ করেছে যে, বাজেট-সহায়ক ঋণে সুইচ করা, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বহিরাগত অর্থায়ন বাধাগুলোর মধ্যে অর্থনীতির জন্য কিছুটা স্বস্থির জায়গা দেবে।
কৃষি উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সার আমদানিতে নগদ অর্থের মার্জিন কম রাখতেও ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একদিকে রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের ঘাটতি আর্থিক স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলছে। অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে।
তাছাড়া এসিইউ’র পাওনা পরিশোধের পর সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ভঙ্গুরতাকে তুলে ধরেছে। শ্রমিক অসন্তোষ সত্ত্বেও শক্তিশালী তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয় এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশি নার্স নিয়োগ উচ্চ-দক্ষ শ্রম রপ্তানির দিকে একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রটি বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে কৌশলগত পদক্ষেপের মিশ্রণে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জাপানের সঙ্গে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের জন্য নতুন সুযোগ দেবে।
এদিকে, পূর্ববর্তী উচ্চাভিলাষী ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের পরিবর্তে নির্বাচিত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বারোপ, উন্নয়নের জন্য আরও লক্ষ্যযুক্ত পদ্ধতিকে তুলে ধরে।
পরিশেষে, বাংলাদেশ স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে কৌশলগত পদক্ষেপের মিশ্রণসহ একটি জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে। এই যাত্রায় বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চ্যালেঞ্জেরও সম্মুখীন।
আরও পড়ুন: সোম-মঙ্গল-বুধবার বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
১ মাস আগে
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বর্তমান বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরেন ড. সালেহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্যাংকিং, রাজস্ব আয় ও পুঁজিবাজার সংস্কারে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
তিনি বলেন, 'পুঁজিবাজারের বিদ্যমান ও অতীত সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগে নিরাপদ বোধ করেন। টেকসই ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও দীর্ঘমেয়াদি দুই পরিকল্পনাই আমাদের হাতে রয়েছে।’
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে তারল্য সংকট এবং মিউচুয়াল ফান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু নীতিগত উদ্বেগ অর্থ উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছি। আশা করছি মন্ত্রণালয় এসব জরুরি সমস্যা সমাধানে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।’
বাজারকে স্থিতিশীল করা এবং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে এ বৈঠকে ঋণাত্মক ইক্যুইটি, তারল্য সহায়তা, কর সংস্কার, বাইব্যাক নীতি এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো উঠে এসেছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের সমস্যাগুলো মোকাবিলায় পুঁজিবাজারের অনিয়ম তদন্তকারী কমিটিগুলোর সঙ্গেও পরামর্শ করেন অর্থ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সোম-মঙ্গল-বুধবার বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
১ মাস আগে
পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি আরও বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকা দরকার।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) গুলশানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশ (পিইবি) আয়োজিত 'বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স ২০২৩-২৪' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, এত বড় অর্থনীতির তুলনায় আমাদের পুঁজিবাজার আরও শক্তিশালী থাকা দরকার। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, এক্সচেঞ্জ কমিশন সবাই মিলে কাজ করতে হবে। পুঁজিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুঁজিবাজার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মূল্যস্ফীতি এখনো দেশের একটি সমস্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ার কারণেই সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। একইসঙ্গে রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি হয়। তবে এখন ডলারের সংকট কাটছে। তাই ধীরে ধীরে এসব সমস্যা কেটে যাবে।’
আগামী জুলাই থেকে মূল্যস্ফীতিও কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাজস্ব আয় বাড়াতে কর হার কমানো উচিত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে এখনো বড় চ্যালেঞ্জ এনবিআর। বারবার বলা হচ্ছে, করজালের আওতা বাড়িয়ে করহার কমিয়ে দিলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে। কিন্তু তারা প্রতিবার যারা কর দিচ্ছে, তাদের আরও বেশি চাপে ফেলা হচ্ছে। আসলে সবাইকে করের আওতায় আনতে হবে।’
আগামী বাজেটে নতুন ধরনের সংস্কার আসবে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও গতবছরের তুলনায় কমেছে। এটা আমাদের জন্য একটি সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ দরকার। দেশে ব্যবসায়ের অনুকূল পরিবেশ আছে। আমি আশাবাদী সামনে অনেক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।’
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো কারণ নেই: ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন
৬ মাস আগে
‘নির্বাচনের আগে পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সংকট শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই’
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের হতাশা ভুলে ভালো সময়ে ফেরার অপেক্ষা করছে।
কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শেয়ারবাজারের অবস্থা পুনরুদ্ধার, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কার তত্ত্বাবধান করা উচিত তা নিয়ে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ফ্লোর প্রাইস (ন্যূনতম বিক্রয় হার) এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পতনের উপর আটকে আছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারের অনেক হতভাগ্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর জন্য এটি বেদনাদায়ক।
নীতিনির্ধারকরা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা জানিয়ে বলেছে, নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তি এবং বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে স্টক মার্কেট পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। কিন্তু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অবস্থা আশাহীন বলেই মনে হচ্ছে।
বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগে আটকে রয়েছেন।
আব্দুল লতিফ নামে এক মুদি দোকানের মালিক এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ইউএনবিকে বলেন, ‘কেউ, এমনকি নিয়ন্ত্রক বা স্টক মার্কেট কর্তৃপক্ষও তাদের ডাকে সাড়া দেয় না।’
তিনি জানান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কিনতে ২০১১ সালে তিনি ১৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন।
১৯৯৮ সালে স্নাতক শেষ করার পর লতিফ কোনো উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পান না। তারপর ২০০২ সালে তার শ্বশুরের সহায়তায় মতঝিল এলাকায় একটি ছোট ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসায় ভালো লাভ করেন এবং শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও মেয়াদ বাড়ছে ব্যয়বহুল ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের
২০১০ সালে লতিফ প্রায় ১৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন, যার মধ্যে ৫ লাখ তার নিজের এবং ৮ লাখ আত্মীয়দের কাছ থেকে ধার করেছিলেন।
২০১১ সালে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের কেলেঙ্কারির কারণে তার সব বিনিয়োগ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে আটকে যায়।
২০১১ সালে লতিফের মতো হাজার হাজার বিনিয়োগকারী তাদের কষ্টার্জিত মূলধন হারিয়েছিল এবং এরপরে কেউ কেউ মূলধন ফিরে পেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই প্রায় সব বিনিয়োগ হারিয়ে পুঁজিবাজার ছেড়ে যান।
এরকম আরও অনেক বিনিয়োগকারী এখনও ডিএসইতে ফেরার আশায় রয়েছেন, কিন্তু কোনো আশা পাচ্ছেন না তারা।
আগামী নির্বাচনের আগে ফ্লোর প্রাইস উঠার কোনো লক্ষণ নেই।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারের ওপর মানুষের আস্থা নেই। আগামী জানুয়ারির মধ্যে সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরতে পরামর্শ দিয়েছে বিএসইসি।
অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জা আজিজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এরসঙ্গে যোগ হয়েছে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংকট, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন ও জাতীয় রাজনীতিসহ সবকিছু।’
ফলে সবার আগে আস্থার সংকট দূর করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তিনি।
অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দিতে হবে যে কেউ যদি কারসাজির মাধ্যমে তাদের টাকা চুরি করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। এই দুই কাজের মাধ্যমে বাজার সমস্যা দূর করা সম্ভব।
তবে এটা মোটেও সহজ নয় বলে জানান ড. আজিজুল ইসলাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, বাজারে দুটি সংকট রয়েছে: একটি চাহিদার ক্ষেত্রে এবং অন্যটি বিনিয়োগকারীদের আস্থায়।
আরও পড়ুন: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির ১১.২% কর আদায়ের লক্ষ্য সরকারের
তিনি বলেন, সরবরাহের দিক থেকে সমস্যা হলো ভালো কোম্পানি কম আছে। ফলে এটা কারসাজি ও সিন্ডিকেটের জন্য উইন-উইন পরিস্থিতি।
সব মিলিয়ে শেয়ারবাজার বর্তমানে একটি অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে রয়েছে এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এখান থেকে অবস্থা পরিবর্তন খুবই কঠিন বলে জানান তিনি।
বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজারের অবস্থা ভয়াবহ। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
সরকারের কাছেও বাজার তার গুরুত্ব হারিয়েছে। যারা সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন, তাদের জন্য শেয়ারবাজার বিরক্তির কারণ।
তাদের ভাবনাটা এরকম, শেয়ারবাজার না থাকলে দেশে কোনো সমস্যা থাকবে না। এসব কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস দিয়ে বাজার ধরে রাখতে চায় সরকার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজারের ভেতরের লোকজন জানিয়েছেন,এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার আশীর্বাদপুষ্ট সিন্ডিকেটের জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণ করার একটি সুযোগ করে দেয়।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম এ প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে নেই। বিনিয়োগকারীদের গুজবের উপর নির্ভর করে যেকোনো কোম্পানির সঙ্গে বিনিয়োগ থেকে সাবধান হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক জ্ঞানের অভাবে মানুষ অনেক সময় বড় লাভের আশায় দুর্বল শেয়ারে বিনিয়োগ করছে, যা বিনিয়োগের সঠিক উপায় নয়।
আরও পড়ুন: বেসরকারি খাতের উৎপাদকদের ক্রমবর্ধমান অর্থ বকেয়া বিদ্যুৎখাতের অন্যতম বাধা
১ বছর আগে
শেয়ারবাজারে এক সপ্তাহে মূলধন বৃদ্ধি ছাড়াল ১০ হাজার ১৮৫ কোটি
পুঁজিবাজারের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি মাসের ৪র্থ সপ্তাহে পুঁজিবাজার চার দিনে ১০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা মূলধন বৃদ্ধি হয়েছে।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। শেষ দিনে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা।
আপরও পড়ুন: ৪ প্রতিষ্ঠান পেল টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স
অর্থাৎ মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে তা বেড়েছে দুই হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। টানা দুই সপ্তাহ বাজারে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বেড়েছে।
গত সপ্তাহে (২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি) পাঁচ কার্যদিবসে কেনাবেচা হয়েছিল। প্রথম ব্যবসায়িক দিনে সূচকের পতন দেখা গিয়েছিল, তারপরে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার টানা চারটি ব্যবসায়িক দিনে সূচক বেড়েছে।
এই সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৮৭টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ১১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টির।
আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১৪টির দাম বেড়েছে, ৬৮টির দরপতন হয়েছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টির। আগের সপ্তাহের তুলনায় দাম কমানো কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে।
তবে বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে যাওয়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে বিদায়ী সপ্তাহে ছয় হাজার ২৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসই’র অন্য দু’টি সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ছয় পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৫০ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন কমেছে; শতাংশ হিসাবে এটি ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে।
গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০৪ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ৬১টির শেয়ার দর বেড়েছে, ৮৩টির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৪টি কোম্পানির।
আপরও পড়ুন: শেয়ার বাজার কারসাজিকারীকে চিহ্নিত করতে ৬-১২ মাস সময় লাগে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
প্রফিট শেয়ার করার জন্য হাওয়া ভবন ও পিএমওতে উন্নয়ন উইং নেই: ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
পুঁজিবাজার বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক জ্ঞান আবশ্যক: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে আর্থিক জ্ঞান এবং ভালো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উভয়ই আবশ্যক।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজার দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত, তাই জ্ঞানী বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারকে টেকসই করতে চালনা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ অনুষ্ঠিত অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মিজোরামের মন্ত্রীর সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বৈঠক
টিপু মুনশি বলেন, উন্নত অর্থনীতিতে ৫০ শতাংশের বেশি টাকা পুঁজিবাজার থেকে নেয়া হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সেই অবস্থা নেই। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়, যা ব্যাংকিং খাতে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। যদি ৫০ শতাংশ টাকাও পুঁজিবাজার থেকে আসে তাহলে আমাদের দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হতে বাধ্য।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেদের স্বার্থে একটি গোষ্ঠী চতুরতার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সংজ্ঞায়িত করছে, গুজব ও মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশ এত উন্নতি করেছে, এবং তারা বলছে, এটা ঠিক নয়। কিন্তু দৃশ্যমান উন্নতিকে তারা আর অস্বীকার করতে পারে না। যারা এসব করছে, তারা এদেশের উন্নয়ন চায় না।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম, সভাপতিত্ব করেন অর্থ সূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমান।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএলসি) সভাপতি আনিস উদ দৌলা, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি সাঈদুর রহমান এবং ঢাকা ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
ব্যবসায়ীরা কানাডা থেকে গম আমদানি করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে কাজ করছে বিএসইসি: অধ্যাপক শিবলী
বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা জনগণের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে কাজ করছে। যাতে তারা সচেতনভাবে ও লাভজনকভাবে বিনিয়োগ করতে পারে।
এ লক্ষ্যে, বিএসইসি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সঙ্গে সহযোগিতা করছে।
ইউএনবির সঙ্গে কথা বলার সময় অধ্যাপক শিবলী স্বীকার করেছেন যে কখনও কখনও লোকেরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করতে বা ভুল তথ্যের পিছনে ছুটতে প্রভাবিত হয়।
তিনি বলেন, ‘তারা যদি আর্থিকভাবে শিক্ষিত হতে পারে, তাহলে কেউ তাদের ঠকাতে পারবে না।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, দেশব্যাপী গড়ে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশের সঙ্গে বাংলাদেশে আর্থিক সাক্ষরতার স্কোর এখনও বেশ কম।
২০২২ সালের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, এসএসসির নিচে শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষ, ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, ব্যক্তি উদ্যোক্তা, ঢাকাবাসী, গৃহিণী ও কৃষকদের স্কোর সবচেয়ে কম।
বিএসইসি ২০২৩ সালের মধ্যে পুঁজিবাজারে রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট বা আরইআইটি, পিঙ্ক ও অরেঞ্জ বন্ড চালু করার জন্য কাজ করছে। পিঙ্ক বন্ডের মাধ্যমে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এবং এসএমই ও বড় উদ্যোক্তারা অরেঞ্জ বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে।
অধ্যাপক শিবলী বলেন, নারী বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি আর্থিক খাতে তাদের ক্ষমতায়নের জন্য উভয় রঙিন বন্ড চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার নিয়ে বিএসইসি’র সঙ্গে আলোচনায় বসবে আইএমএফ
এছাড়া পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য বিএসইসির একটি বিশেষ বন্ড পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন।
একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা এই নিরাপদ খাতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক শিবলী বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শুধুমাত্র রাজস্বের ওপর নির্ভর করে সম্পন্ন করা যায় না।
প্রকল্পভিত্তিক অবকাঠামো বন্ড ও স্টক মার্কেট থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য মিউনিসিপ্যাল বন্ড উন্নয়নের জন্য একটি বৈচিত্র্যময় তহবিলের সুযোগ হবে।
তিনি বলেন, যদি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ প্রায় ১২-১৩ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়, তবে লোকেরা তাদের অর্থ এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রে জমা না করে প্রকল্প ভিত্তিক বন্ড মার্কেটে অর্থ বিনিয়োগ করবে।
তিনি আরও বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অবকাঠামো ও অন্যান্য সেবা খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের বিনিয়োগের চাহিদা মার্কিন ডলার ৮০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা দেশীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। কিন্তু একটি বড় অংশ পুঁজিবাজারের মাধ্যমে সম্ভব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার ধৈর্য রাখেন এবং বিনিয়োগের সুযোগ নিশ্চিত করতে চান তাদের বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করা উচিত এবং আইডিএফ ও সেভিং সার্টিফিকেট থেকে তাদের রিটার্নের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ পাওয়া উচিত।
মিউচুয়াল ফান্ড, ট্রেজারি বন্ড এবং অন্যরা পুঁজিবাজারে লেনদেন করছে, সেখানে যে কেউ বা সাধারণ মানুষ অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডগুলো গত ১০/১২ বছরে প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘যাদের আর্থিক জ্ঞান আছে তারা সেকেন্ডারি শেয়ার ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ করতে পারে এবং মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করতে পারে। তাদের বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড পছন্দ করা উচিত।’
নিয়ন্ত্রক তার মেয়াদে কোম্পানির অডিট সিস্টেম চাপিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে ব্রোকারেজ হাউসের জবাবদিহিতার দিকে পুঁজিবাজারে কয়েক ডজন সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। ফলে আগামীতে পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানে থাকবে।
অধ্যাপক শিবলী বলেন, ‘আমরা শুধু বীজ রোপণ করেছি, যেখান থেকে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গাছ বা গাছগুলো দৃশ্যমান হবে।’
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
পুঁজিবাজার শিগগিরই দেশে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস হবে: ভূমিমন্ত্রী
২ বছর আগে
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিলো আইএমএফ
বাংলাদেশে সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন। তারা এমনভাবে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন যাতে বাজারে বিভিন্ন স্তরের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
সোমবার (০৭ নভেম্বর) একটি বৈঠকে এই পরার্মশ দেন আইএমএফ প্রতিনিধি দল।
বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম ইউএনবিকে বলেন, নির্ধারিত বৈঠকে আইএমএফ দলটি সমাজের সব অংশের মানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে শেয়ারবাজারে পণ্য বৈচিত্র্যের পরামর্শ দিয়েছে।
তারা (আইএমএফ) কমোডিটি এক্সচেঞ্জ মার্কেট, রিয়েল এস্টেট এবং শেয়ার মার্কেটে অন্যান্য সেক্টরের তালিকাভুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তুলতে আইএমএফ এর ঋণ দরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আইএমএফ পুঁজিবাজারের প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করবে। যাতে বিশ্ব মান বজায় রেখে বাজার কাজ করতে পারে।
বাংলাদেশে আইএমএফ মিশন চিফ রাহুল আনন্দ আইএমএফের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং বিএসইসির সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন।
এর আগে, আইএমএফ দল অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিদ্যুৎ বিভাগ, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠক করেন।
সোমবার চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে আইএমএফ দল বিএসইসির শীর্ষ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে দেখা করে এবং নিয়ন্ত্রকের সক্ষমতা বাড়াতে কিছু পরামর্শ দেয়।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক বৈশ্বিক ঋণদাতার প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে এবং উপলব্ধি করতে ২৬ অক্টোবর সফর শুরু করে। কারণ দেশটি বাজেট সহায়তা হিসাবে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছিল।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোন বৈশ্বিক ঋণদাতার কাছে এত বড় ঋণ চায়নি। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে প্রভাবিত করেছে।
ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে আইএমএফ-এর কাছে সাড়ে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য আবেদন করে।
আরও পড়ুন: মর্যাদা ক্ষুন্ন হলে বাংলাদেশকে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার দরকার নেই: এফবিসিসিআই
জিডিপি প্রতিবেদন প্রতি ৩ মাসে হালনাগাদ করার পরামর্শ আইএমএফের
২ বছর আগে