পুঁজিবাজার
এপ্রিলে ১৭ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজার
এপ্রিল মাসজুড়ে পুঁজিবাজার মোটেও ভালো কাটেনি বিনিয়োগকারীদের। ঈদের ছুটি কাটিয়ে শুরু হওয়া লেনদেনে লাগাতার পতনে ঢাকার বাজারে প্রধান সূচক কমেছে ৩০২ পয়েন্ট এবং বাজার পুঁজি হারিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরো মাসের লেনদেন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫২১৯ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া লেনদেন মাস শেষে এসে ঠেকেছে ৪৯১৭ পয়েন্টে।
মাসে মোট ১৮ কার্যদিবস বাজারে লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ১৫ কার্যদিবসেই হয়েছে পতন। পতনের ধাক্কায় বাজার থেকে অর্থ তুলে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, হয়নি নতুন করে অর্থলগ্নি। এতে করে বাজার হারিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকার পুঁজি।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সপ্তাহজুড়ে চলল সূচক, লেনদেন ও শেয়ারের মূল্যপতন
শুধু প্রধান সূচক নয়, মাসিক লেনদেনে বেহাল দশা শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএসেও। পুরো মাসে এ খাতের সূচক কমেছে ৭৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে, বাছাইকৃত ভালো কোম্পানির শেয়ারেও হয়েছে বড় পতন। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৯২ পয়েন্ট।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিসংখ্যান বলছে, এক মাসে ১১ হাজার ৪২৯ জন বিনিয়োগকারী নিজেদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন। বাজারে জিরো ব্যালেন্সের বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চালু থাকা বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা এক মাসে ১০ হাজারের ওপরে কমেছে।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এভাবে বাজারে পতন হতে থাকলে দেশের পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। যারা বুকে আশা বেঁধে এখনও বাজারে আছেন, প্রতিদিনই আশাভঙ্গ হচ্ছে তাদের। বাজারের ওপর থেকে আস্থা উঠে যাওয়ায় কোনোভাবেই বাজার ঠিক করা যাচ্ছে না।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে শেয়ার ব্যবসা করছেন তারেক হোসেন। তিনি বলেন, ‘আগে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হতো, ভালো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করলে লোকসান হবে না। বিনিয়োগকারীরা মন্দ শেয়ারে বিনিয়োগ করে, তাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত কয়েক মাসে যেসব শেয়ারের দাম কমেছে তার বেশিরভাগই ভালো কোম্পানি। কী করে ১০০ টাকার শেয়ার ৩০-৪০ টাকায় নেমে আসে—এর জবাব কমিশন দিতে ব্যর্থ।’
আরেক বিনিয়োগকারী মনসুর আলী বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মার্জিন ঋণের কারণে। এই ঋণ নিয়ে যারা শেয়ার কিনেছেন, ফোর্স সেলের কারণে তাদের ভালো শেয়ারও বিক্রি হয়ে গেছে। এতে করে বাজারে প্রতিটি শেয়ারের ওপর খারাপ প্রভাব পড়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্সের এক সদস্য বলেন, ‘মার্জিন ঋণ বাজারে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়য়েছে। এতদিন এই ঋণ প্রদান ও গ্রহণে শক্ত কোনো রীতি ছিল না। সম্প্রতি কমিশনের কাছে টাস্কফোর্স মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। মার্জিন ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ১০ কোটি টাকা, সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা এবং বাজার বিনিয়োগ না থাকলে ঋণ দেওয়া হবে না মর্মে সুপারিশ করা হয়েছে।’
কমিশনের কাছে লক-ইন শেয়ার, উদ্যোক্তা শেয়ার, প্লেসমেন্ট, অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান, বন্ড, ডিবেঞ্চার ও অতালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডে মার্জিন ঋণের অর্থ ব্যবহার না করার সুপারিশ জানিয়েছে টাস্কফোর্স।
আরও পড়ুন: পতন যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
বাজারে পুঁজি যোগানদাতা প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে বাজারে নিয়ে আসতে হবে। এসব কোম্পানি বাজারে আনতে পারলে বিনিয়োগকারীরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।’
তবে কমিশনের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাজারে বড় কোনো আইপিও আসার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এতে করে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আশু কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’
তার ওপর সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অভ্যন্তরীণ গোলোযোগ এবং পরবর্তীতে ২১ কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের মতো ঘটনা বাজারে ভালো কোনো বার্তা বয়ে আনেনি বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
২১ ঘণ্টা আগে
ঢাকার পুঁজিবাজারে এ বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন
একের পর এক সূচকের পতনের সঙ্গে সঙ্গে এবার বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন হলো ঢাকার পুঁজিবাজারে। গড়ে ৪৫০ কোটি টাকার ওপর হওয়া লেনদেন এসে ঠেকেছে ৩০০ কোটিতে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (২৩ এপ্রিল) ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা এ বছরে সর্বনিম্ন। একদিনের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪০ কোটি টাকা।
লেনদেন কমার পাশাপাশি প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪ পয়েন্ট। নেতিবাচকের ঘরে ছিল শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস। তবে লম্বা পতন শেষে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: পতন দিয়ে লেনদেন শুরু ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানরই দাম ছিল নিম্নমুখী। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে ১১৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২১৪ কোম্পানি এবং ৬২ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি, জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানি দাম হারিয়েছে। বিশেষ করে এ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত ২১৫ কোম্পানির মধ্যে ৭১ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর নেমেছে ১১৮ কোম্পানিতে।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৫ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৩ কোম্পানির দাম বেড়েছে। বাকি ২৩ কোম্পানির ইউনিটের দাম ছিল নিম্নমুখী এবং অপরিবর্তিত আছে ৯ কোম্পানির দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৫ কোম্পানি প্রায় ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। এরমধ্যে রেনেটা সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং ৯.৯৩ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
অব্যাহত পতন চট্টগ্রামে
ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) পতনের ধারা অব্যাহত আছে, সার্বিক সূচক কমেছে ৫৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৭ কোম্পানির মধ্যে ৭২ কোম্পানির দাম বাড়লেও কমেছে ১১৩ কোম্পানির দাম এবং ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
আরও পড়ুন: পতনের ধারা যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
গতদিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে সিএসইতে। মোট ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৬ কোটি টাকার ওপরে।
৯.৮২ শতাংশ দর বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার শমরিতা হাসপাতাল লিমিটেড। অন্যদিকে ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে বিচ হ্যাচারি।
১০ দিন আগে
পতন দিয়ে লেনদেন শুরু ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসেও পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, সূচক হারিয়েছে দুই বাজারই। সপ্তাহের শুরুতে পতন দিয়ে শুরু হওয়া পুঁজিবাজার এখনো সেই একই ধারা অব্যাহত রেখেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট করে।
পুঁজিবাজারের প্রথমার্ধে লেনদেন হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
আরও পড়ুন: পতনের ধারা যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
২০৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই), লেনদেনের শুরুতেই সার্বিক সূচক কমেছে ৭০ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৬৩ কোম্পানির মধ্যে ৪১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১০৪ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ওপর লেনদেন হয়েছে।
১২ দিন আগে
পতনের ধারা যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
টানা এক সপ্তাহ পতনের পর নতুন সপ্তাহও শুরু হয়েছে পতন দিয়ে, যার ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (২১ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৮ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
সূচক কমার পাশাপাশি ঢাকার বাজারে কমেছে সামগ্রিক লেনদেনও। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লেনদেন নেমে এসেছে ৩৫০ কোটি টাকার ঘরে। সোমবার ডিএসইতে মোট ৩৫৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
সূচক এবং লেনদেন কমার পাশাপাশি দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ১০৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৩৪ কোম্পানির। ৬০ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড প্রতিটি ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল তলানিতে। বিশেষ করে এ ক্যাটাগরির ২১৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৯ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৪১ কোম্পানির। অপরিবর্তিত ছিল ২৯ কোম্পানির দাম।
তালিকাভুক্ত ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগরই দাম ছিল নিম্নমুখী। ৪ কোম্পানির ইউনিটের দাম বাড়লেও কমেছে ২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে মোট ২৭ কোম্পানি ১৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। এরমধ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে শাহবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে বিচ হ্যাচারি।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সপ্তাহজুড়ে চলল সূচক, লেনদেন ও শেয়ারের মূল্যপতন
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সমানতালে পতনের মুখোমুখি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৬২ পয়েন্ট।
অন্যান্য সূচকের মধ্যে বেঞ্চমার্ক সূচক সিএসই-৫০ এবং শরিয়াভিত্তিক সিএসআই কমেছে ৬ পয়েন্ট করে।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১১৪ কোম্পানির। ৪৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও লেনদেনের শীর্ষে শাহবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দর হারিয়ে সিএসইতে তলানিতে আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
১২ দিন আগে
পুঁজিবাজার: সপ্তাহজুড়ে চলল সূচক, লেনদেন ও শেয়ারের মূল্যপতন
সপ্তাহজুড়ে টানা পতনে সবদিক থেকে বড় রকমের হোঁচট খেয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সূচক কমার পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে লেনদেন এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চার কার্যদিবসের লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০৮ পয়েন্ট। ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তাহ শুরু করে পতনে শেষমেষ সূচক ঠেকেছে ৫ হাজার ৯৭ পয়েন্টে।
সারা সপ্তাহের লেনদেনে প্রধান সূচক ২ শতাংশের বেশি কমার পাশাপাশি বাকি সূচকের রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে। শরীয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সূচকও (ডিএসইএস) কমেছে ২৯ পয়েন্ট। এতে করে প্রায় আড়াই শতাংশ সূচক হারিয়েছে এই খাত।
গত সপ্তাহে ভালো কোম্পানির শেয়ারও ভালো করতে পারেনি। বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৫২ পয়েন্ট।
এক ধাক্কায় সূচক ২.৭২ শতাংশ কমে যাওয়ায় যারা ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন তারাও চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন।
ছোট ও মাঝারি কোম্পানির এসএমই সূচক কমেছে ৪.১৫ শতাংশ। এক সপ্তাহে ডিএসএমইএক্স সূচক হারিয়েছে ৪০ পয়েন্ট। সব মিলিয়ে সূচকের হিসাবে ঢাকার পুঁজিবাজারের বেহাল দশা।
একই অবস্থা লেনদেনেও। আগের সপ্তাহে যেখানে গড় লেনদেন ছিল ৪৮৭ কোটি টাকা, এবার সেটি কমে নেমেছে ৩৯৯ কোটি টাকায়। এক ধাক্কায় লেনদেন কমেছে ১৮.১১ শতাংশ।
বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, যার ছাপ পড়েছে শেয়ার হাতবদলের পরিমাণের ওপরে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে যেখানে ৯৮ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, তৃতীয় সপ্তাহে এসে তা কমে হয়েছে ৫৭ কোটি।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে আবারও পতন, সূচক কমলো ১০৮ পয়েন্ট
সারা সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৭৭টির। বিপরীতে ২৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হারিয়েছে দর, ২০টির দর ছিল অপরিবর্তিত।
সপ্তাহজুড়ে মাত্র দুই খাতে রিটার্ন জমা বেড়েছে। করপোরেট বন্ড আর সাধারণ বীমা খাতে রিটার্ন জমা বাড়লেও বাকি খাতগুলো রীতিমতো ধুঁকছে। বিশেষ করে মিউচুয়াল ফান্ড ও সিরামিক খাতে রিটার্ন জমা কমেছে ৬ শতাংশের বেশি।
সামগ্রিক হিসাবে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম বাড়লেও পৃথক প্রাতিষ্ঠানিক হিসাবে ভালো সময় যাচ্ছে না পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ এ খাতে। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ২৪টিরই শেয়ারের দাম কমেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৪১ শতাংশ এবং লেনদেন কমেছে ৩১ শতাংশ। ২৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পুরো সপ্তাহে দাম বেড়েছে মাত্র একটির, কমেছে ১৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সাধারণ বীমা খাতে ৮৫ শতাংশ দাম বাড়লেও জীবন বীমা খাতে দাম কমেছে ৫০ শতাংশের ওপরে। টেলিকম খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৩২ শতাংশ এবং আইটি খাতে কমেছে ৩৮ শতাংশ। ভালো করতে পারেনি প্রকৌশল খাতও, ১৬ শতাংশ দর হারিয়েছে এই খাত।
পতনের মধ্যেও ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে ম্যারিকো, বিচ হ্যাচারি ও এসিআই লিমিটেড। ম্যারিকো ২৫ কোটি ২০ লাখ, বিচ হ্যাচারি ২৫ কোটি ১০ লাখ ও এসিআই ২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সপ্তাহের শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ‘বি’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটি চার কার্যদিবসে ২৪ শতাংশের ওপরে রিটার্ন দিয়েছে। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৫ টাকা যা এ সপ্তাহে বেড়ে হয়েছে ৩১ টাকা।
অন্যদিকে, ১৫ শতাংশের ওপর রিটার্ন হারিয়ে তলানিতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স। ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার ১২ টাকা থেকে কমে ১০ টাকায় নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: পতন যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
পর্যদুস্ত চট্টগ্রামও
ঢাকার মতো বেহাল দশা চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এক সপ্তাহে সেখানকার সার্বিক সূচক কমেছে ২৫০ পয়েন্ট।
লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরি বাদ দিয়ে চট্টগ্রামের সিলেক্টিভ ইনডেক্স সিএসসিএক্সেও পতন হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’, ‘বি’, ‘জি’ ও ‘এন’ ক্যাটাগরির শেয়ারের সূচক কমেছে ১৪৯ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামের বেঞ্চমার্ক সূচক সিএসই-৫০ কমেছে ১৭ পয়েন্ট এবং শরীয়াভিত্তিক সূচক সিএসআই কমেছে ২১ পয়েন্ট। এছাড়া সিএসই তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানির এসএমই সূচক কমেছে ৪.৫৭ শতাংশ।
সারা সপ্তাহে ৩০১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ২১৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষে আছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড। চার কার্যদিবসে ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৮ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের বাজার মূল্য ৮৭ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৮ টাকা।
এদিকে, পুরো সপ্তাহে শেয়ারপ্রতি ২০ টাকা দর হারিয়ে তলানিতে আছে শমরিতা হাসপাতাল। সিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। চার দিনে কোম্পানিটির ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
আরও পড়ুন: দোদুল্যমান সূচকে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
হতাশ বিনিয়োগকারীরা
টানা দরপতনে বাজারের ওপর হতাশ হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অনেকেই তল্পিতল্পা গুটিয়ে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট শূন্য করে বাজার ছাড়ছেন।
সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) বিও অ্যাকাউন্টের হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঈদের ছুটির আগে শূন্য ব্যালেন্সের বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২১০, যা সর্বশেষ কার্যদিবসে বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৭। অর্থাৎ এই কদিনে ৪ হাজার ১৫৭ জন বিনিয়োগকারী নিজেদের বিও অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন।
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী তারেক হোসেন জানান, ‘বাজার সংস্কারে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। যাদের জরিমানা করা হয়েছে এবং কারসাজির জন্য আটক করা হয়েছে, তাদের বিচারেরও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সব মিলিয়ে বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।’
আরেক বিনিয়োগকারী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কোনো দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। খারাপ কোম্পানি থেকে বেরিয়ে আসতে বাই-ব্যাক আইন চালু কথা বারবার বলা হলেও কমিশন সেদিকে ভ্রূক্ষেপ করছে না। আবার যারা মার্জিন ঋণ নিয়ে সর্বহারা হয়েছেন তাদের ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।’
মার্জিন ঋণ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী ফরিদুর রহমান বলেন, “এই ঋণের কারণে খারাপ কোম্পানির শেয়ারে ধস নামলে বাধ্য হয়ে ভালো কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দিতে হয়। এতে করে ‘জেড’ ক্যাটাগরির অনেক কোম্পানির জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির দাম কমে। সব মিলিয়ে বাজারে সৃষ্টি হয় পতনের ধারা।”
আরও পড়ুন: পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার
আইপিও কেন আসছে না?
পুঁজিবাজারের মুখ থুবড়ে পড়ার বড় আরেকটি কারণ হিসাবে দেখা হচ্ছে ভালো কোম্পানির আগ্রহ না থাকা। চলতি বছর ভালো কিছু কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত আর আলোর মুখ দেখেনি।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক পদের এক কর্মকর্তা জানান, ‘চলতি বছর নতুন আর কোনো আইপিও আসার সম্ভাবনা নেই। ভালো ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে বিনিয়োগে ভরসা পাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘সুপারিশ অনুযায়ী কোম্পানি তালিকাভুক্তির নিয়মনীতি ঢেলে সাজাচ্ছে বিএসইসি। গেজেট আকারে নতুন আইপিও আইন আসতে আসতে সেপ্টেম্বর মাস হয়ে যাবে। নতুন আইনের আওতায় নতুন কোম্পানি আসতে আরও পাঁচ-ছয় মাস। এতে করে ২০২৬ সালের মার্চ-এপ্রিলের আগে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা বড় চ্যালেঞ্জ।’
গত বছর আগস্টে দায়িত্ব নেওয়া নতুন কমিশন এতদিনে কেন ভালো কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে পারল না, এ প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা জানান, ‘যেসব কোম্পানি ভালো মুনাফা করছিল, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তাদের প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদে পরিবর্তন এসেছে। নতুন পর্ষদের অধীনে অনেক কোম্পানি এখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি। এদিকে ব্যাংক ঋণের সুদহার আগের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে কোম্পানির মুনাফার ওপরে। সব মিলিয়ে কোম্পানিগুলো ভালো করতে শুরু করলে তারা নিজ থেকেই পুঁজিবাজারের দিকে ঝুঁকবে।’
আরও পড়ুন: সপ্তাহের শুরুতেই সূচকের বড় পতন দেখল পুঁজিবাজার
ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে চাইলে তাদের বড় অঙ্কের কর ছাড়ের ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা। দেশের বড় বড় কোম্পানিকে নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে বাজারে আনতে পারলে বাজার চাঙ্গা হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
১৪ দিন আগে
ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পতন যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
১৭ দিন আগে
পতন যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
টানা তিন কার্যদিবসেই পতনের সাক্ষী হলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। দুই বাজারেই কমেছে সূচক, পড়ে গেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬ পয়েন্ট। কমেছে বাকি দুই সূচকও; শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৭ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
ক্ষুদ্র ও মধ্যম ধাচের কোম্পানিগুলোর এসএমই সূচকও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ডিএসএমইএক্স সূচক হারিয়েছে ১৩ পয়েন্ট।
ডিএসই'র প্রধান সূচক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। যা তিন দিনে দফায় দফায় কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ, সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ১২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও বিপরীতে দাম কমেছে ২১২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
লেনদেন অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৭ কোম্পানির, ৭ কোম্পানির ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত আছে।
ডিএসই'র ব্লক মার্কেটে ২২ কোম্পানির ২১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এসিআই লিমিটেড সর্বোচ্চ ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: দোদুল্যমান সূচকে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
নিম্নমুখী সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও ভাটা পড়েছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনের লেনদেনে ৩৯৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪৪৬ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে দেশ জেনারেল ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ দাম কমে তলানিতে এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) কমেছে সূচকের পরিমাণ। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৪ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২১ কোম্পানির এবং বেড়েছে ৬২ কোম্পানির। ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও কমেছে চট্টগ্রামের বাজারে। সারাদিন ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে—যা গতদিন ছিল ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে ইস্টার্ন ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
১৭ দিন আগে
দোদুল্যমান সূচকে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও সূচকের দশা দোদুল্যমান।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (১৬ এপ্রিল) লেনদেনের শুরুতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএসের অবস্থান শূন্যের নিচে এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৯, কমেছে ১২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৮০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় সার্বিক সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৫ কোম্পানির মধ্যে ৫৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ৫২ কোম্পানি এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির।
সিএসইতে লেনদেনের প্রথমার্ধে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
১৮ দিন আগে
পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
১৮ দিন আগে
সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন
গত কার্যদিবসে পতনের বড় ধাক্কার পর নববর্ষের ছুটি কাটিয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পুঁজিবাজার, লেনদেন চলছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় কমেছে সবকটি সূচক।
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৯ পয়েন্ট, শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী। ১১৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২০৭ কোম্পানি, ৭৪ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহের শুরুতেই সূচকের বড় পতন দেখল পুঁজিবাজার
দিনের প্রথমাংশে ডিএসইতে শেয়ার এবং ইউনিটের মোট লেনদেন ২৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন চলছে বড় পতনের মধ্যে দিয়ে। প্রথম দুই ঘন্টায় সার্বিক সূচক কমেছে ৫৪ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া ১৩৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫, কমেছে ৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
১৯ দিন আগে