পুঁজিবাজার
পতন দিয়ে শেষ পুঁজিবাজারের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই বাজারেই সূচকের পতন হয়েছে। তবে সূচক কমলেও বেড়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবারের (২০ মার্চ) লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমলেও বাছাইকৃত ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ এর সূচক বেড়েছে ৬ পয়েন্ট।
সারাদিনে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৯৭ কোটি টাকা, যা গতদিন ছিল ৪৮২ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৩৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৯ কোম্পানির। অন্যদিকে অপরিবর্তিত আছে ৬০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।আরও পড়ুন: বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়: বিএসইসি কমিশনার
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও ‘জেড’ ক্যাটাগরির অবস্থান ছিল একেবারেই নিরপেক্ষ। জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪, কমেছে ৩৪ এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ৩০ কোম্পানির ২৪ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার ১৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খান ব্রাদার্স সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে মিডাস ফাইন্যান্সিং পিএলসি। অন্যদিকে ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
চট্টগ্রামে সূচকে পতন, লেনদেনে উত্থান
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন। সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮০, কমেছে ৭৯ এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
৪ দিন আগে
বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব নয়: বিএসইসি কমিশনার
একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ পুঁজিবাজারের জন্য বন্ড বা সুকুক মার্কেটের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ফারজানা লালারুখ।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে বিএসইসি আয়োজিত ‘বন্ড বা সুকুক ইস্যুকরণের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে ট্রাস্ট্রির ভূমিকা’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
লালারুখ বলেন, বিএসইসি'র মূল কাজ কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ এবং বাজারকে সুস্থ ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা। বন্ড বাজারের সুষ্ঠু পরিচালনা এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে ট্রাস্ট্রির বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বন্ড বাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে রক্ষার গুরুদায়িত্ব ট্রাস্ট্রির উপর। এজন্যই বন্ড বাজারের ভালো পারফর্ম করা এবং এর ভবিষ্যত অগ্রগতির ক্ষেত্রে ট্রাস্ট্রির ভূমিকা প্রধান নির্ধারক হিসেবে কাজ করবে।
কমিশনার বলেন, ট্রাস্ট্রি যেন তাদের সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারে। বন্ড মার্কেটকে আমরা ডেভেলপমেন্ট স্টেজে নিয়ে আসতে চাচ্ছি। বন্ড মার্কেট ছাড়া বৈচিত্রপূর্ণ পুঁজিবাজার সম্ভব না। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে করপোরেট বন্ড, সুকুকের মতো ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারও এই বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের জন্য তৎপর এবং তারা বিভিন্ন উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
আজকের সভায় ট্রাস্ট্রির ভূমিকা পালনকারী বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংক ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বিএসইসির কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং লাঞ্ছনার অভিযোগ
সভায় বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ গোলাম মওলা বন্ড মার্কেটে ট্রাস্টিদের ভূমিকার ওপর প্রেজেন্টেশন দেন এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে বন্ড বা সুকুক ইস্যুকরণের ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে ট্রাস্ট্রির ভূমিকা প্রসঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এছাড়াও সভায় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম বিএসইসির বন্ড ডিফল্ট প্ল্যাটফর্ম নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন।
সমাপনী বক্তব্যে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বন্ড বাজারের উপর বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করতে এবং আস্থা বৃদ্ধিতে ট্রাস্ট্রিসহ সকলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। বিএসইসি বন্ড বাজারের জন্য কাঠামোগত উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বাজারের উন্নয়নের জন্য ট্রাস্ট্রির ভূমিকাকে আরও জোরদার করা প্রয়োজন বলে জানান বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক।
৫ দিন আগে
আবারও সূচক কমলো ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
৫ দিন আগে
ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
অবশেষে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার সূচকের পতনের ধারা কাটিয়ে উত্থানের মুখ দেখলেও দুই বাজারেই কমেছে মোট শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনের পরিমাণ। তবে লেনদেন কমলেও দুই বাজারে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
প্রধান সূচক বাড়লেও বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ২ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ এর সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট।
গতদিন ডিএসই'র লেনদেন ৫০৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন এসে লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৬, কমেছে ১৫৬ এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং বি ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও, দাম কমেছে জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির।
জেড ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৯, কমেছে ৩৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টিরই দাম বেড়েছে। বাকি কোম্পানির মধ্যে অপরিবর্তিত ৩ এবং দাম কমেছে একটির।
ব্লক মার্কেটে ২০ কোম্পানির শেয়ার ৩১ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে মারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় আছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৮ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও সূচকের উত্থান
সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২০৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি টাকা।
৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসই'র শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসি।
৬ দিন আগে
সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: ক্ষুদ্র কোম্পানির উত্থান ভালো, হোঁচট খেল ব্যাংক খাত
সপ্তাহজুড়ে রাজধানীর পুঁজিবাজারে লেনদেনে ভালো অবস্থানে আছে ক্ষুদ্র ও মধ্যম আকারের কোম্পানির এসএমই সূচক। অন্যদিকে এর আগের সপ্তাহে উত্থানের পর গত সপ্তাহে আবারও হোঁচট খেল ব্যাংক খাত।
গত পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ৯৭০ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া এ সূচক সপ্তাহে শেষে ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫ পয়েন্ট।
শুধু এসএমই খাত না, সপ্তাহান্তে ডিএসই'র প্রধান সূচক বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। এছাড়া বাছাইকৃত ব্লু-চিপ কোম্পানি ডিএস-৩০ এর সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট এবং শরীয়া ভিত্তিক সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় রেখে লেনদেন বেড়েছে পুঁজিবাজারে
অন্যদিকে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাংক খাতের শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব বজায় থাকলেও এবার রীতিমতো হোঁচট খেয়েছে এ খাত। ব্যাংক খাতের শেয়ারের দাম কমেছে ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
দাম কমতে শুরু করায় বিনিয়োগকারীরা লেনদেন কমিয়ে দিয়েছেন এ খাতের শেয়ারে। সপ্তাহ ব্যবধানে এ খাতের শেয়ারের লেনদেন কমেছে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে ১৫ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়লেও দাম কমেছে ১৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫ ব্যাংকের শেয়ারের দাম।
ব্যাংক খাতের শেয়ারের পাশাপাশি আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোও সুবিধা করে উঠতে পারেনি গেল পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে। লেনদেনে অংশ নেয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে মাত্র ৩, কমেছে ১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়লেও গেল সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নগামী। ১৭৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয়েছে ১৮৪ কোম্পানির। অন্যদিকে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দামে আসেনি কোনো পরিবর্তন।
সপ্তাহের প্রথমদিন ৯ মার্চ পতন দিয়ে লেনদেনে শুরু হওয়ার পর উত্থানের বাকি দিনগুলোতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ারবিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায়। সপ্তাহের শেষদিন ১৩ মার্চ এসে ঢাকার পুঁজিবাজারের গড় লেনদেন দাঁড়ায় ৩৯০ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩৬২ কোটি টাকা।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
ডিএসইতে গেল সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইউফিউশান, বিচ হ্যাচারি এবং লভেলো কোম্পানির শেয়ার। এরমধ্যে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ লেনদেন বেড়ে শীর্ষে আছে ওরিয়ন ইনফিউশন।
ঢাকার বাজারে দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা বেশিরভাগ কোম্পানিই বি এবং জেড ক্যাটাগরির। শীর্ষ দশে এ ক্যাটাগরির কোম্পানি মাত্র তিনটি। ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেন শেষে দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে বি ক্যাটাগরির কোম্পানি এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস।
অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে এ ক্যাটাগরির কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় আছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
ডিএসইতে খারাপ কোম্পানির দৌরাত্ম্য প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, এখনো পুঁজিবাজার স্বাভাবিক রূপে ফিরে আসেনি। এতে করে প্রায়শই খারাপ কোম্পানিকে পুঁজি করে কারসাজিকারিরা ফায়দা লুটতে চায়। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা চায় ক্ষতি পোষাতে এসব কোম্পানিতে অর্থলগ্নি করে দ্রুত মুনাফা তুলতে। এজন্যই শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় বি কিংবা জেড ক্যাটাগরির আধিপত্য দেখা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির এক সদস্য বলেন, পুঁজিবাজারে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে এখনো সময় লাগবে। বিনিয়োগকারীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলে বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়বে।
ভালো কোম্পানির বিনিয়োগ এবং দেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী বিদেশি কোম্পানির আইপিও বাজারে আসলে পুঁজিবাজার আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা।
৯ দিন আগে
সূচকের উত্থানের ধারা বজায় আছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সারাদিনের লেনদেনে বেড়েছে সূচক। গত দুই দিনের উত্থানের ধারা বজায় রেখে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১২ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ২ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ কোম্পানি ডিএস-৩০ এর সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
ঢাকার বাজারে লেনদেন ছাড়িয়ে গেছে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা, যা এ সপ্তাহে সর্বোচ্চ। গতদিনের ৪১২ কোটি টাকার লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৪৫২ কোটি টাকা।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯১, কমেছে ১৪০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে দরবৃদ্ধি এবং দরপতনের কোম্পানির সংখ্যা সমান সমান।
জেড ক্যাটাগরির মোট ৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছ ৩৯, কমেছে ৩৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগরেই দাম ছিল অপরিবর্তিত। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১৩ এবং কমেছে ৫ কোম্পানির।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় রেখে লেনদেন বেড়েছে পুঁজিবাজারে
ব্লক মার্কেটে ৩৯ কোম্পানির ৩৭ লাখ শেয়ার ১৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে গোল্ডেন হারভেস্ট অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি। অন্যদিকে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম কমে তলানিতে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রামের বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৮, কমেছে ৬৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও গতদিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে সিএসইতে। সারাদিনের লেনদেনের মোট ৫ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ১১ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে হামি ইন্ডাস্ট্রিস পিএলসি এবং ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ দাম কমে তলানিতে দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রাম পিএলসি।
১২ দিন আগে
সূচকের উত্থানের ধারা বজায় রেখে লেনদেন বেড়েছে পুঁজিবাজারে
উত্থানের ধারা বজায় রেখে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছেন বেশিরভাগ কোম্পানির দাম এবং সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
ডিএসইতে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮২, কমেছে ১৩৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে অস্থির সপ্তাহ: সূচকের পতন, কমিশনে বিশৃঙ্খলা
ক্যাটাগরির হিসেবে ভালো কোম্পানির শেয়ার 'এ' এবং মধ্যম মানের শেয়ার 'বি' ক্যাটাগরিভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও দাম কমেছে জেড ক্যাটাগরিতে।
এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১, বিপরীতে দাম কমেছে ৪২ কোম্পানির। অন্যদিকে ২৪ কোম্পানির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল অপরিবর্তিত। বাকি ১২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৭ কোম্পানিতে।
ব্লক মার্কেটে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯ কোম্পানির ২১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। বিচ হ্যাচারি সর্বোচ্চ ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস এবং ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে সামিট পাওয়ার লিমিটেড।
ছয় কার্যদিবস পর ডিএসই'র লেনদেন এসে ঠেকেছে ৪০০ কোটির ঘরে। সারাদিনের লেনদেনে মোট ৪১২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট বিক্রি হয়েছে যা গতদিন ছিল ৩৩৮ কোটি টাকা।
চট্টগ্রামেও উত্থানের সুবাতাস
ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও বজায় আছে সূচকের উত্থানের ধারা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: বড় পতনের পর অবশেষে উত্থান পুঁজিবাজারে
লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০২, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি টাকা।
এরমধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড এবং ১০ শতাংশ দাম কমে তলানিতে ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।
১৩ দিন আগে
বড় পতনের পর অবশেষে উত্থান পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের গত এক মাসের সর্বোচ্চ পতনের পর দ্বিতীয় দিনে এসে অবশেষে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (১০ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৫ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে শেয়ার ক্রয়বিক্রয়ও বেড়েছে খানিকটা। সারাদিনের লেনদেনে মোট ৩৩৮ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩৩৬ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭৪, কমেছে ১৩৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও দর কমেছে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। জেড ক্যাটাগরির ৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫, কমেছে ৪২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।আরও পড়ুন: প্রথম কার্যদিবসেই পতনে পর্যুদস্ত পুঁজিবাজার
ঢাকার ব্লক মার্কেটে ১৬ কোম্পানির মোট ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বিচ হ্যাচারি সর্বোচ্চ ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগই দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ৭ এবং কমেছে ৫ কোম্পানির।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তুং হাই নাইটিং লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও উত্থানের ছোঁয়া
ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯১, কমেছে ৯৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন। সিএসইতে মোট ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে যা গতদিনের চেয়ে ৪০ কোটি টাকা কম।
১৪ দিন আগে
প্রথম কার্যদিবসেই পতনে পর্যুদস্ত পুঁজিবাজার
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনে বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সবকটি সূচক কমার পাশাপাশি দর হারিয়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার (৯ মার্চ) সারাদিনের লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ২৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ৪ এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে ৫৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ২৭৪ কোম্পানির। এছাড়া অপরিবর্তিত ছিল ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’- তিন ক্যাটাগরিতেই দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ৩ এবং কমেছে ১১ কোম্পানির।
ডিএসইতে মোট ৩৩৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৫৩ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে তিতাস গ্যাস এবং ১০ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে অস্থির সপ্তাহ: সূচকের পতন, কমিশনে বিশৃঙ্খলা
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার বাজারের মতো বড় পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারও। সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৪৩ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২২০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৬, বিপরীতে দাম কমেছে ১৪১ কোম্পানি। দামের কোনো হেরফের না হওয়া কোম্পানির সংখ্যা ৩৩।
সূচকের পতন এবং বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও শেয়ার বেচাকেনা বেড়েছে চট্টগ্রামের বাজারে। গত কার্যদিবসে ৩ কোটির ঘরে শেষ হওয়া লেনদেন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
সিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে তালিকার শীর্ষে প্রাইম ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে আমান কটন ফিব্রাস লিমিটেড।
১৫ দিন আগে
পুঁজিবাজারে অস্থির সপ্তাহ: সূচকের পতন, কমিশনে বিশৃঙ্খলা
দেশের পুঁজিবাজারের জন্য গত সপ্তাহ মোটেও সুখকর ছিল না। একদিকে সূচকের পতন আর লেনদেন কমে যাওয়া, অন্যদিকে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল; সব মিলিয়ে অস্থিরতা কাটছে না পুঁজিবাজারে।
গেল পাঁচ কার্যদিবসে টানা তিনদিন পতনের পর শেষ দু-দিন সূচকের উত্থান হলেও সামগ্রিকভাবে সূচক ছিল কমতির দিকে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৩ পয়েন্ট।
২ মার্চ ৫ হাজার ২৪৭ পয়েন্ট দিয়ে শুরু হওয়া লেনদেন ৬ মার্চ শেষবেলায় গিয়ে ঠেকেছে ৫ হাজার ২০৩ পয়েন্টে। অন্যদিকে বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
একই অবস্থা শরীয়াভিত্তিক সূচকেও। পাঁচদিনে ডিএসইএসের সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। বেহাল দশা ক্ষুদ্র এবং মধ্যম আকারের কোম্পানি নিয়ে গঠিত এসএমই সূচকে। এক সপ্তাহের লাগাতার পতনে এসএমই সূচক নেমে এসেছে ১ হাজার পয়েন্টের নিচে।
১ হাজার ১৭ পয়েন্ট থেকে ডিএমএমএএক্স ৪৭ পয়েন্ট কমে ৯৭০ পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম।
পুরো সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল দরপতনের তালিকায়। ২৮৯ কোম্পানির দরপতনের বিপরীতে দাম বেড়েছে মাত্র ৮৬ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ২৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ৫০০ কোটি টাকার ওপরে হওয়া গড় লেনদেনে পাঁচ কার্যদিবসে নেমে এসেছে ৩০০ কোটির ঘরে। লেনদেন কমার পাশাপাশি ঢাকার বাজারে মূলধন কমেছে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: টানা পতন কাটিয়ে পুঁজিবাজারে সূচকের সামান্য উত্থান
পুরো সপ্তাহেজুড়ে মাত্র তিন খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে। জ্বালানি, কাগজ এবং চামড়া খাত ছাড়া বড় বড় সবকটি খাতে হয়েছে বড় দরপতন। এরমধ্যে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৭ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং এ খাতে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে দাম কমেছে ২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৯ ব্যাংকের শেয়ারের দাম। সাপ্তাহিক লেনদেনে শেষে মাত্র ৪ ব্যাংকের শেয়ারের দাম ছিল উর্ধ্বমুখী।
ব্যাংকের বাইরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারেও বেহাল দশা। গেল পাঁচ কার্যদিবসে এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ কমেছে ৪০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম কমেছে ১৯, বেড়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
রীতিমতো ধস নেমেছে সাধারণ বীমা এবং জীবন বীমা খাতের শেয়ারে। পাঁচ কার্যদিবসে সাধারণ বীমা খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৪৩ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং জীবন বীমা খাতে এ দরপতনের পরিমাণ ৫৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
ঢাকার পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে অরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের। প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ২১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ক্রইয়-বিক্রয় হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে প্রাইম ব্যাংক এবং শীর্ষ তৃতীয়তে আছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
পাঁচ কার্যদিবসে ব্লক মার্কেটে ১১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে প্রাইম ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪০ কোটি এবং বিচ হ্যাচারি ১৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
দরবৃদ্ধিতে ডিএসইতে শীর্ষে আছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এক সপ্তাহে জেড ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির দাম বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। অন্যদিকে দরপতনে শীর্ষে উঠে এসেছে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেডের নাম। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দাম কমেছে ১৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
করুণ দশা চট্টগ্রামেও
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও অব্যাহত ছিল পতনের ধারা। ১৪ হাজার ৬৩৩ সার্বিক সূচক নিয়ে শুরু হওয়া লেনদেন শেষ কার্যদিবসে এসে ঠেকেছে ১৪ হাজার ৫০২ পয়েন্টে।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২৯ কোম্পানির মধ্যে পুরো সপ্তাহজুড়ে দাম কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৯ কোম্পানির। বিপরীতে দাম বেড়েছে মাত্র ৮৫ কোম্পানির শেয়ারের।
দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বি ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটি পাঁচ কার্যদিবসে সাড়ে ১৭ শতাংশ দাম হারিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের বাজারে ভালো অবস্থানে থাকা এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড গেল সপ্তাহে দর হারিয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ।
চট্টগ্রামে সপ্তাহজুড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। বি ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। অন্যদিকে জেড ক্যাটাগরির আরেক কোম্পানি ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ। পুরো সপ্তাহে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে টেলিকম কোম্পানি রবির শেয়ার।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
কমিশনে অস্থিরতা
পুঁজিবাজারে পতনের পাশাপাশি নজিরবিহীন অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে এ বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি)। ২০২৪ সালের আগস্টে কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ যোগদানের পর লাগাতার পতনে তোপের মুখে পড়েন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের।
সাধারণ বিনিয়োগকারী থেকে ব্রোকারেজ হাউজের কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, কমিশন বাজারে স্নায়বিক চাপ উপেক্ষা করে একের পর এক যে-সব সংস্কার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাতে করে বাজার আরও খারাপের দিকে যাবে।
সে সময়ে বাজার ধসের কারণে রাশেদ মাকসুদকে দায়ী করে তার পদত্যাগের দাবি তোলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তারা মতিঝিলে লাগাতার মিছিল এবং কমিশনের প্রধান ফটকে তালা পর্যন্ত ঝুলিয়েছিলেন।
বিনিয়োগকারীদের সামাল দিতে না দিতে চলতি বছর খোদ নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের তোপের মুখে পড়েছে রাশেদ মাকসুদ কমিশন। বুধবার (৫ মার্চ) কমিশন চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে চেয়ারম্যান এবং কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে রাখে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় রাশেদ মাকসুদ এবং অন্যান্য কমিশনাররা বের হয়ে আসতে পারলেও পদত্যাগ করবে না বলে জানায় এ কমিশন চেয়ারম্যান।
এদিকে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, রাশেদ মাকসুদ পদত্যাগ না করলে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবেন তারা। সে হিসাবে রোববার (৯ মার্চ) থেকে বিএসইসিতে স্থবিরাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক পরিচালক বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বিএসইসি এক ধরনের খামখেয়ালি করে আসছে। এতে করে কমিশনের এসব একরোখা আচরণ এবং সিদ্ধান্তে সবাই অতিষ্ঠ। বর্তমানে কমিশনের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ, যা বাজারে মোটেই ভালো কোনো বার্তা দেয় না।
শিগগিরই কমিশনের এসব সমস্যা সমাধান না হলে এবং বাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্সের দেয়া সুপারিশ ধাপে ধাপে কার্যকর করে আগাতে না পারলে দেশের পুঁজিবাজার দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির মুখে পড়বে- এমনটাই আশঙ্কা বাজার বিশ্লেষকদের।
১৬ দিন আগে