পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ু দূষণের উৎস নিয়ন্ত্রণ, বায়ু মান মনিটরিং ব্যবস্থা উন্নত করা এবং আইন প্রয়োগের প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে সরকার জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এটি কঠোর নিয়ম বাস্তবায়ন এবং শিল্প, পরিবহন ও নগরায়ণে পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির প্রসারে একটি পথনকশা হিসেবে কাজ করবে।
মঙ্গলবার ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত জাতীয় বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, এই কর্মপরিকল্পনা বাংলাদেশের টেকসই পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনের বৃহত্তর কৌশলের একটি অংশ, যা গ্রামীণ ও শহুরে অঞ্চলের উদ্বেগজনক দূষণ কমাতে সহায়ক হবে। পরিচ্ছন্ন বায়ুর অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে সরকার পরিবেশ রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার নদী ও খালগুলোকে বাঁচাতে হলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
এই কর্মপরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, সিভিল সোসাইটি ও বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানান রিজওয়ানা হাসান।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, পরিবেশবাদী সংগঠন, একাডেমিয়া এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
আলোচনায় জাতীয় নীতিতে বায়ু মান ব্যবস্থাপনা সংযোজন, উন্নত পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি গ্রহণ এবং দূষণের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়ার অটোমেশন করার লক্ষ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এ ট্রান্সফরমেশন অভ দ্যা এনভায়রনমেন্টাল ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রসেস শীর্ষক নতুন সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, এই নতুন সফটওয়্যার প্রবর্তনের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র প্রক্রিয়ার স্মার্ট পরিবর্তন আনছে। এতে ছাড়পত্র/নবায়ন প্রক্রিয়া সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড ও ছাড়পত্র নেওয়ার সুবিধা থাকবে। উদ্যোক্তারা আবেদন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি অনলাইনে দেখতে পারবেন। অনলাইনে ফি দেওয়া, ছাড়পত্র/নবায়ন ফি, ভ্যাট প্রদান সহজ হবে। এতে বেজা, বিডা, বিসিক, বেপজা, বিএইচটিপিএর অনস্টপ সেবা নিশ্চিত করা যাবে। জাল কাগজপত্র শনাক্তকরণ, ডাটা যাচাই ও ছাড়পত্রের সঠিকতা নিশ্চিত সহজ হবে। সময়, খরচ ও অফিসে যাতায়াত কমবে। হার্ডকপির ব্যবহার কমে যাবে। মনিটরিং সহজ হবে।
এভাবে ডাটা সুরক্ষার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহায়তা বাড়াবে চীন: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান