বিজিএমইয়ের প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো কার্লোস সেসা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় ইপিবি কার্যালয়ে বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্র অনুসন্ধান এবং দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনা চলাকালে তারা অংশীদারিত্ব জোরদার করার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিএমইএ ও ক্যাসকেল
বাণিজ্য সুযোগের পূর্ণ সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে উভয় দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
এ সময় বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ীদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের সুবিধার্থে রোড শো এবং একক দেশের মেলা (সিঙ্গেল কান্ট্রি ফেয়ার) আয়োজনের ওপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেসা এবং বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন।
তারা বলেন, ‘এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে উভয় দেশ শক্তি ও সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম পাবে, যেখানে ব্যবসায়ীরা নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগগুলো খুঁজে দেখবেন।
আনোয়ার হোসেন তৈরি পোশাক খাতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের ওপর গুরুত্ব দেন। বিশেষ করে ম্যান-মেইড ফাইবার ব্যবহার করে উচ্চ-মূল্যের পোশাক বিভাগে যাওয়ার জন্য শিল্পের প্রয়াসগুলো সম্পর্কে সেসাকে জানান বিজিএমইএ প্রশাসক।
তিনি আর্জেন্টিনায় পোশাক রপ্তানি বাড়াতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
আর্জেন্টিনা থেকে তুলা আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানিয়ে প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের অংশীদারিত্ব উভয় দেশেকে পারস্পরিক সুবিধা এনে দেবে। এই সহযোগিতা উভয় দেশের জন্য লাভজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, যা দেশ দুটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।’
বিজিএমইএ প্রশাসক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য আর্জেন্টিনা ভ্রমণের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করে বলেন, ‘এটি উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়াতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: পোশাকশিল্পের সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারে এনডিসি প্রতিনিধিদলকে বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান