গ্যাস সংযোগে চারদিন বিঘ্নের পর বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় পূর্ণ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শেভরন বাংলাদেশ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্রের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। প্রসেস ট্রেন চালু রয়েছে, ছয়টি ক্ষতিগ্রস্ত কূপের মধ্যে পাঁচটিতে পুনরায় কাজ শুরু হয়েছে এবং স্বাভাবিক পর্যায়ে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়েছে।
৩ এপ্রিল একটি কূপে প্রযুক্তিগত অসঙ্গতি দেখা দিলে অপারেশন স্থগিত করার পরে এই সপ্তাহে ট্রেন ও কূপগুলোতে ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করা হয়।
শেভরন বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক শেখ জাহিদুর রহমান সংকটকালীন সময়ে পেট্রোবাংলার সহায়তা ও অংশীদারিত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে রমজানের প্রথম দিন রবিবার গ্যাস উৎপাদন প্রায় ৪৫০ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন ঘনফুট প্রতি দিন) কমে যায়।
আরও পড়ুন: বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে প্রসেস ট্রেনের একটিতে উৎপাদন পুনরায় শুরু
সোমবার বিকাল থেকে গ্যাসক্ষেত্রে দুটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রসেস ট্রেনের একটিতে উৎপাদন পুনরায় শুরু হওয়ায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, দুটি উৎপাদন কূপ থেকে বালি বের হচ্ছে যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কূপের উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শেখেরটেক, রায়েরবাজার, ধানমন্ডি, শংকর, কাঁঠালবাগান, মধুবাজার, কলাবাগান, রামপুরা, ওয়ারী, মগবাজার, আরামবাগ, ফকিরাপুল, বনশ্রী, গোপীবাগ, মিরপুর, ইস্কাটনসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা গ্যাস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর বড় প্রভাব পড়েছিল কারণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছিল। যার ফলে সারা দেশে বিভিন্ন জেলায় লোডশেডিং হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ এমএমসিএফডি।
আরও পড়ুন: গ্যাস সরবরাহে ঘাটতিতে গ্রাহকদের ভোগান্তি