বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ১৯টি ভবনের ছাদে বসানো হয়েছে সৌরচুল্লি। নিজস্ব উৎস থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার লক্ষ্যে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় এসব চুল্লি বসানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশা, সৌরবিদ্যুতের এই প্রকল্প থেকে দৈনিক গড়ে ৩ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। যা ক্যাম্পাসের দৈনিক বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বুয়েটের কাউন্সিল ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে “বুয়েট রুফটপ সোলার প্রজেক্ট (বিআরএসপি)” নামে এই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
২০২২ সালের ১০ নভেম্বর শুরু হওয়া এই প্রকল্প ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক ও পরিবেশগত সুবিধা নিয়ে আসবে বলে আশা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বলা হচ্ছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী ২৫ বছরে বুয়েট প্রায় ১২ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে। ২৫ বছরে সম্পূর্ণ মালিকানা নিয়ে বুয়েট নিজস্ব জনবল দিয়ে প্রকল্পটি পরিচালনা করলে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২৫ কোটি টাকা।
প্রকল্প সহযোগী প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- পিএসএল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড গ্রিন এনার্জি লিমিটেড, জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও প্যাসিফিক সোলার অ্যান্ড রিনিওয়াবল এনার্জি লিমিটেড।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘বুয়েট সব সময় প্রযুক্তি খাতে অগ্রগামী, তাই আমি আশা করি, কয়েক বছর পর ছাদে সোলার প্যানেল সব জায়গায় ব্যবহার করা হবে। এটি খুবই লাভজনক, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব।’
প্রকল্পের তাৎপর্য তুলে ধরে ইডকলের ইডি ও সিইও আলমগীর মোরশেদ বলেন, ‘নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করতে না পারার পেছনে অন্যতম প্রধান বাধা হলো সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য জমির অভাব। ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন কার্যকর বিকল্প। এটি সৌর প্যানেল শিল্পে একটি মাইলফলক হবে।’
বুয়েটের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান সৌরবিদ্যুতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ ব্যবহারের সুবিধার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাদগুলো কখনো ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিষ্ঠান ও আবাসনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে আমাদের যে পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল হয়, তা বিশাল। সুতরাং, এটি বিদ্যুতের খরচ কমাতে এবং ছাদ ব্যবহারের জন্য দুর্দান্ত উদ্যোগ হতে পারে।’