মঙ্গলবার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো- নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে লিঙ্গ-ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ পরিবর্তন করার পাশাপাশি আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগের উপর প্রভাব ফেলতে স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
অর্ধমাস ব্যাপী এই ক্যাম্পেইনের মিডিয়া পার্টনার হিসাবে থাকছে বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
জোন্টা বলছে, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা নয়’ বৃহত্তর এই ক্যাম্পেইনটি জোন্টানিয়ানদের (যারা জোন্টা ক্লাবের সাতে যুক্ত)কাছে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা বন্ধের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার একটি দুর্দান্ত সুযোগ।
কর্মসূচি পালনের অংশ হিসাবে বুধবার থেকে তিনটি ওয়েবিনার, একটি টিভি টক শো এবং একটি রেডিও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ২৬ নভেম্বর বাল্য বিবাহ বন্ধের ওপর রেডিও টকশোসহ ওয়েবেনারগুলোতে অংশ নিবেন আইরিন রাব্বানী, তুতলি রাব্বানী এবং আনিজা চৌধুরী।
আগামী ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় প্রথম ওয়েবিনারে অধ্যাপক ড. নাশিদ কামাল এবং ব্যারিস্টার রিজওয়ানা চৌধুরী ব্যক্তিগত নির্যাতনের গল্প এবং বিভিন্ন কেস স্টাডি শেয়ার করবেন।
জোন্টা ক্লাবের সভাপতি ড. সিমেন এম আক্তার ওয়েবেনারটিতে উপস্থিত থাকবেন এবং ওয়েবেনারটি সঞ্চালনা করবেন এডভোকেসি চেয়ারপারসন তুতলি রহমান।
আগামী ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় যৌথভাবে দ্বিতীয় ওয়েবেনারটি হবে ইউল্যাবের সাথে। তুতলি রহমানের সঞ্চালনায় এতে আলোচক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ইউল্যাবের উপাচার্য ইমরান রহমান এবং শিল্পপতি ও পরোপকারী আক্তার মতিন চৌধুরী। ড. সিমেন আক্তারও আলোচনায় যোগ দেবেন।
পরবর্তীতে আগামী ৫ ডিসেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল ৭১’ এ লিঙ্গ সমতার ওপর একটি টকশো অনুষ্ঠিত হবে। এতে জোন্টা ক্লাবের ড. জারিন দেলোয়ার অতিথি বক্তা হিসাবে অংশ নেবেন।
আগামী ৯ ডিসেম্বর রাত ৮টায় কসমস গ্যালারির সাথে যৌথভাবে তৃতীয় ওয়েবিনারটি হবে ‘সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ’ এর ওপর। এতে তিনজন বিশিষ্ট শিল্পী অংশ নেবেন। শিল্পকর্ম দিয়ে সহিংসতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী হাতিহার হিসাবে কিভাবে প্রতিবাদ করা যায়, তাই তুলে ধরা হবে এখানে। তিনজন বিশিষ্ট শিল্পীর সাথে তুতলি রহমানও এতে যুক্ত থাকবেন।
কন্যা শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অবসানের জন্য সচেতনতা বাড়াতে ২০১২ সালে এই প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছিল জোন্টা।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে জোন্টা ক্লাবের সভাপতি ড. সিমেন বলেন, ‘জোন্টা ক্লাবের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত।আশা করি, আমাদের নিঃস্বার্থ প্রতিশ্রুতি তাদের পক্ষে কথা বলতে পারে না, এমন নারীদের জীবনে কিছুটা পরিবর্তন বয়ে আনবে।’
আগামী ১৬ দিনের এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপারে মনোনিবেশ করে কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।