গ্রাহকদের নগদ চাহিদা মেটাতে বুধবার (২৪ জুলাই) বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রায় ২৫ হাজার ৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে ধার দিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। আর বাকিটা দিয়েছে অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে।
বৃহস্পতিবার(২৫ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সারা দেশে কারফিউর কারণে কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার মাত্র চার ঘণ্টার জন্য খোলা ছিল ব্যাংকগুলো। এর ফলে ব্যাংকগুলো নগদ উত্তোলনের চাপের মুখে পড়ে। এটিএম বুথে টাকার অভাব এবং দিনের পর দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানিয়েছে যে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো, অ্যাসিউরড রেপো, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) এবং শরীয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংক ১১% বললেও প্রকৃত চিত্র ২৫%: ড. আহসান এইচ মনসুর
এই নিলামে ১৪টি ব্যাংক ও ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৭ দিনের রেপো সুবিধার আওতায় ৫ হাজার ৭ কোটি টাকা, ১৪ দিনের রেপো সুবিধার আওতায় ৯টি ব্যাংককে ২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, ২৮ দিনের রেপো সুবিধার আওতায় ১২টি ব্যাংক ও ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা অর্থ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অ্যাসিউরড রেপোর ১৮০ দিনের আওতায় ৩টি ব্যাংককে ৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা এবং অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্টের আওতায় একদিনের ১১টি প্রাথমিক ডিলার ব্যাংককে ৩ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ইসলামি ব্যাংকগুলোর তারল্য সুবিধার আওতায় ১৪ দিনের জন্য ১টি ব্যাংককে ৪৯৭ কোটি টাকা এবং ৫টি ইসলামি ব্যাংককে ২৮ দিনের জন্য ৯৮৪ কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে কঠোর মুদ্রানীতি ঘোষণা