বার্ধক্যজনিত কারণে সকাল ৮টায় খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক এ সভাপতি মৃত্যুকালে তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই ১৯৩৪ সালের ২ মে খুলনা মহানগরীর ২০, বাবুখান রোডস্থ সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। ডা. খাদেম আহমেদ ও আছিয়া খাতুনের ছয় ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে তিনি বড়।
ভাষাসংগ্রামী এম নূরুল ইসলাম উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পাস করার পর ছাত্রজীবনে নিখিল বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগের খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ১৯৫২ সালে হক-ভাসানী-সোহরাওয়ার্দীর যুক্ত ফ্রন্টে, একই সময় তিনি খুলনায় ভাষা আন্দোলনে জনমত গঠনে ভূমিকা পালন করেন এবং খুলনায় সমাবেশ ও মিছিলে সামনে থেকে ভূমিকা রাখেন।
তিনি ৬৯ এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৮ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী যুক্তফ্রন্টে যোগদান করেন এবং ১৯৭৯ সালে খুলনা মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ২০০১ সালে খুলনা-৪ আসন (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দলমত নির্বিশেষ সবার কাছে 'দাদু ভাই' নামে পরিচিত।