ভোলা-বরিশাল সেতুর দ্রুত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ‘আগামীর ভোলা’ নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটি আগামী বছরের জানুয়ারির আগেই এই কাজ শুরুর আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে সেতু বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) শেখ মইনউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
আগামীর ভোলার মুখপাত্র মীর মোহাম্মদ জসিম বলেন, “ভোলার ২৫ লাখ মানুষ রাত ৮টার পর মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রতিদিন ১০–১৫ জন রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যান। দ্রুত ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ হলে এই জনদুর্ভোগ লাঘব হবে।”
তিনি বলেন, “সেতুটি হলে ভোলা বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হবে। এখানে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের মজুত রয়েছে, যা শিল্পকারখানা গড়ে তোলার সুযোগ এনে দেবে।”
সংগঠনের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শেখ মইনউদ্দিন বলেন, “সেতুর ডিজাইন করতে এক বছর সময় লাগে। এরপর কাজ শুরুর প্রস্তুতিতে আরও দুই বছর লাগে। তবে সরকার ইতোমধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আগামী বছরের শুরুতেই ডিজাইন প্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। সুযোগ থাকলে এর আগেই কাজ শুরু করা হবে।”
তিনি জানান, সেতুটি হবে ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে।
জাতীয় পার্টি (পার্থ)–এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও আগামীর ভোলার অন্যতম সংগঠক ইলিয়াস মাতাব্বর বলেন, “ভোলার মানুষ বারবার বঞ্চিত হয়েছেন। এবার আমরা দ্রুত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ চাই।”
সংগঠনের অপর নেতা অ্যাডভোকেট এমরান হোসেন বলেন, “ভোলার মানুষের মৌলিক দাবি আদায়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
ছাত্রসমাজ (পার্থ) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও সংগঠনের নেতা সাইফুল বলেন, “আমরা আর আশ্বাস শুনতে চাই না। এখন চাই বাস্তবায়ন।”
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন বলেন, “দাবি মানা না হলে বৃহত্তর জনসম্পৃক্ত আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।