এসময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে।
নিষেধাজ্ঞার আইন ভঙ্গ করলে আইন ভঙ্গকারী কমপক্ষে ১ বছর থেকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে।
এদিকে সরকার ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের জন্য ১০ হাজার ৫৬৬.৮৪ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম শুরুর আগেই সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে মোট ২২ দিনের জন্য এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এর আওতায় দেশের ৩৬টি জেলার ১৫২টি উপজেলায় মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৪২টি জেলে পরিবার ২০ কেজি করে চাল পাবেন। গত মৌসুমের তুলনায় অতিরিক্ত ১ লাখ ২০ হাজার ২৬৩টি জেলে পরিবার এ খাদ্য সহায়তা পাবেন।
এ নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী জ্ঞাপন করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
ভিজিএফ চাল আগমী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বরাদ্দপ্রাপ্ত জেলাগুলো হলো- ঢাকা, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, নরসিংদী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর. চাঁদপুর, কক্সবাজার, খুলনা, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা ও ঝালকাঠি।
উল্লেখ্য, ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ অনুযায়ী এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।