ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস থেকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশ-এর সিগারেট কারখানা অপসারণের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘স্টপ টোব্যাকো বাংলাদেশ’।
রবিবার (২৫ মে) প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দেওয়া এক খোলা চিঠিতে সংগঠনটি পরিবেশ সুরক্ষা ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে কারখানাটি দ্রুত অপসারণের আহ্বান জানিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘১৯৬৫ সালে কারখানাটি স্থাপনের সময় মহাখালী ছিল ঢাকার বাইরের গ্রামীণ জনপদ। এখন এটি একটি ঘনবসতিপূর্ণ মিশ্র-আবাসিক এলাকা, যেখানে হাজার হাজার পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিশু-কিশোরের বসবাস।’
স্টপ টোব্যাকো জানায়, ‘বিএটি’র কারখানা থেকে নির্গত নিকোটিনসহ বিষাক্ত রাসায়নিক ডিওএইচএস, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বায়ুদূষণের বড় উৎস। এতে শিশুদের অ্যাজমা, সিওপিডি ও অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে।’
চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, “পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুসারে সিগারেট কারখানা ‘লাল’ শ্রেণিভুক্ত হলেও বিএটি প্রভাব খাটিয়ে ২০২৩ সালে এটিকে ‘কমলা’ শ্রেণিতে নামিয়ে আনে। এ প্রক্রিয়ায় কিছু সচিব, সামরিক কর্মকর্তা ও প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার অভিযোগও তুলেছে সংগঠনটি।”
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিল দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ
তারা বলেছে, ‘কারখানাটির কারণে এলাকায় শুধু বায়ু ও শব্দদূষণই নয়, বরং ট্রাক-লরির কারণে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বিশ্বের অনেক দেশ এরইমধ্যে শহরের অভ্যন্তর থেকে সিগারেট কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে। অথচ ঢাকার কেন্দ্রস্থলে বিএটি’র কারখানা চালু রাখা জনস্বার্থ ও পরিবেশ আইন—দুটোই লঙ্ঘন করছে।’
খোলাচিঠিতে সিগারেট কারখানাকে ‘কমলা’ শ্রেণিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত এবং পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদানসহ সব বিষয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়।