গত ১৯ মার্চ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২০ জন আহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে গঠিত চার সদস্যের কমিটি মূলত দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া ড্রাইভিং এবং অনুপযুক্ত যানবাহনকে দায়ী করেছে।
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কামাল উদ্দিন বিশ্বাসের কাছে ১৪ দফা সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরার নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে চালকের কাছে মাঝারি আকারের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স থাকলেও তিনি বৃষ্টির মধ্যে ভারী যানবাহন চালাচ্ছিলেন।
পল্লব কুমার বলেন, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) গোপালগঞ্জ গত বছরের ১৭ নভেম্বর বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে এমাদ পরিবহনের বাসের নিবন্ধন স্থগিত করে এবং চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি গাড়িটির মেয়াদ শেষ হলেও নিয়ম লঙ্ঘন করে সড়কে চলাচল করে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় আগুনে নিহত ৪, আহত ৭
তিনি বলেন, অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে তারা ১৪ দফা সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে মহাসড়কে যানবাহন চালানোর আগে চালকের লাইসেন্স এবং সমস্ত যানবাহনের বৈধ নথি নিশ্চিত করা, মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের সময় চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্ট ব্যবহার করা, নরম বস্তু দিয়ে যানবাহনের অভ্যন্তর তৈরি করা, উভয় স্থানে গার্ড রেল নির্মাণ করা। এক্সপ্রেসওয়ের পাশে এবং হাইওয়েতে চলমান সমস্ত যানবাহনের আপডেট ডেটাবেস রাখা।
তদন্ত কমিটির আরেক সদস্য জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মনিরুজ্জামান বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের ওপর নজরদারি রাখতে টহল গাড়ির অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জনবল বাড়াতে হবে।
তিনি সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সিসিটিভি ক্যামেরা, ট্র্যাকার এবং অনলাইন মনিটরিং সিস্টেম স্থাপনেরও পরামর্শ দেন।
তাছাড়া রাত, ভোর ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ১৯ মার্চ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় খুলনা থেকে ঢাকাগামী এমাদ পরিবহনের একটি বাস রাস্তার পাশে খাদে পড়ে অন্তত ১৯ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন।
পরে ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।