তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতা দেশ স্বাধীনের পরপরই সংবিধানে নারীর অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারই এদেশে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে কল্যাণকর বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রনয়ণ করেছে।’
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের নারী বিষয়ক এক সংস্থা আয়োজিত এক যৌথ মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী ৯-২০ মার্চ নিউইয়র্কে ‘কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেন’ এর ৬৪তম অধিবেশন প্রসঙ্গে মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করা হয়েছিল।
ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান, সমতা প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য হ্রাসের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার ফলে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে চার বছর সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বন্ধ রেখেছিল এবং আওয়ামী লীগ সরকার প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতি বাতিল করেছিল। যার ফলে বাংলাদেশে নারীর অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যায়।
সভায় ‘কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেন’র ৬৪তম সভায় আলোচিত হতে যাওয়া বেইজিং প্লাটফর্ম ফর একশনের ফলাফল, নারীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, শোভন কর্মপরিবেশ, দারিদ্র্য হ্রাস, সহিংসতা প্রতিরোধ, সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর সমতা অর্জন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া, বেইজিং ঘোষণা পরবর্তী ২৫ বছরে দেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের চিত্র তুলে ধরা হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শোকো ইশিকাওয়া ও দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান।
সভায় মুক্ত আলোচনা পর্বে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের শীপা হাফিজা ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মালেকা বানুসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট, বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।