হামলা ও ভাঙচুর ঠেকাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মেট্রোরেলকে জরুরি সেবা (কেপিআই) হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
এছাড়াও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে আহ্বান জানান তিনি।
রবিবার (২৫ আগস্ট) সকালে মেট্রোরেলের সচিবালয় স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মেট্রোরেল যেন ভাঙচুর না হয়, সে জন্য কেপিআই হিসেবে আপগ্রেড করার চেষ্টা করছি। যাতে এটার নিরাপত্তা বাড়ে। মেট্রোরেলকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। যাতে করে কেউ এভাবে সার্ভিসটাকে ব্যাহত করতে না পারে।
মেট্রোরেলের নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে মেট্রোরেলকে এসেনসিয়াল সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করা এবং কেপিআই আপডেট করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশনা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা।
যাতায়াতকারীদের মেট্রোরেল ব্যবহারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন অতি দ্রুত সংস্কার করা হবে এবং এ ব্যাপারে জাপানের রাষ্ট্রদূতের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে।
মেট্রোরেল ভাঙচুরকারীদের দুষ্কৃতিকারী হিসেবে আখ্যায়িত করে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘যারা দেশকে পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছে, তাদের পক্ষে এ ধরনের কাজ তো করা সম্ভব নয়। এটা দুষ্কৃতিকারীদের কাজ।’
এসময় তিনি বলেন, ‘এ সরকার দুর্বল সরকার নয়; ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফসল এ সরকার।’
বিগত সরকারের আমলে হওয়া সব অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি ও বিভিন্ন খাতে সংঘটিত বৈষম্য রোধে বর্তমান সরকারকে ন্যূনতম কিছু সময় দিতে দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।