আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো বিরোধ নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু সত্য কথা বললে যদি তাদের স্বার্থে আঘাত লাগে, তাহলে কিছু করার নেই।’
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ ধরনের দমন-পীড়ন এখনো চলছে। বিক্ষোভের জেরে অন্তত আড়াই হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
‘সত্য বলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রশ্ন তোলা হলো কেন?’ জানতে চান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, 'তারা আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। আমরা কি তাদের দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে পারি না? কেন তারা বাংলাদেশের মতো নিজের দেশেও মানবাধিকার দেখতে পায় না? আমরা বলিনি যে তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের বিরোধী দল যখন অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে, পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর করেছে এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলাও চালিয়েছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র নীরব থাকে।’
তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তার দেশ কর্তৃত্ববাদী নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কর্তৃত্ববাদের সংজ্ঞা ভিন্ন কিছু বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিদেশি চাপ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, চাপ আছে, তবে এটা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
কাদের বলেন, ‘যুদ্ধের প্রভাবমুক্ত নয় বাংলাদেশও। আমদানি-রপ্তানি, জ্বালানি ও ডলার সংকট অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। ফলে আমরা চাপে আছি।'
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনকে আরও অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘এর অর্থ এই নয় যে, অন্য দল নির্বাচনের জন্য প্রতীক বরাদ্দ দিতে পারবে না, তারা চাইলে দলীয় প্রতীক নির্বাচন করতে পারবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।